সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

পেরিয়ে গেছে নির্ধারিত সময়ের একমাস : এখনো টাকা পাননি ১২৮ পিআইসি সদস্য

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : নির্ধারিত সময়ের একমাস পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ফসলরক্ষা বাঁধের ১২৮টি পিআইসির সদস্যরা এখনো প্রকল্প কাজের বরাদ্দের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাননি। গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই টাকা পাওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ে টাকা না পেয়ে ধারদেনা করে পিআইসিরা বাঁধের কাজ শেষ করেছেন। পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পিআইসিদের নানা কটূ কথা শোনার পাশাপাশি অনেককেই বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলার নয়টি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। হাওরগুলো হচ্ছে চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, ঘোড়াডোবা, রুই বিল, সোনামড়ল, কাইলানী, জয়ধনা ও ধানকুনিয়া। মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ফসলরক্ষা বাঁধের ১২৮টি প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। নীতিমালা অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্ত এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয় ৭ মার্চ পর্যন্ত। চারটি কিস্তিতে পিআইসিদের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ বাবদ পাওনা টাকা দেয়া হয়ে থাকে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখনো তা পরিশোধ করা হয়নি। ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের ২ নম্বর পিআইসির সভাপতি আউয়াল মিয়া বলেন, আমাদের বাঁধের প্রকল্প কাজটি নির্ধারিত সময়ে নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন করেছি। বাঁধের কাজ শেষ করলেও আমরা এখনো তৃতীয় কিস্তির টাকাই পাইনি, যা খুবই দুঃখ ও হতাশাজনক। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, তৃতীয় কিস্তির টাকা সময়মতো পিআইসিরা পাননি। এতে করে তাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের বরাদ্দের তৃতীয় কিস্তির টাকা ছাড় হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পিআইসিরা তাদের টাকা পেয়ে যাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়