সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী : চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ সহযোগিতা চান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্বৃত করে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।’ প্রধানমন্ত্রী চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতদিন অবহেলিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। চীনা রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এ সময় চীন বাংলাদেশের বিশাল উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে যে সহযোগিতা চলছে তা আগামীতে আরো জোরদার হবে। পায়রায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর হবে এবং চীন সে সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই এলাকায় কয়েকটি বড় নদী রয়েছে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবও অনেক বেশি। আমরা এখন এই এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন ছিল। আমরা তা কাটিয়ে উঠে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। একটি টেকসই সরকার গঠন করেছি। বর্তমানে দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চায়। বিশ্বস্ত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। যেগুলো এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করছেন। ২০৪১ সাল নাগাদ শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
জুলাই মাসে আসন্ন সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, আশা করা যায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরো জোরদার হবে। রাষ্ট্রদূত রুটটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে তার আসন্ন চীন সফরে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-বেইজিং ফ্লাইটের প্রথম ফ্লাইটটি ব্যবহার করারও অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশকে কৃষি, গ্রিন এনার্জি, আইসিটি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ ও সাহায্য করতে চায়। চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মেট্রোরেলের জন্য অংশীদারিত্ব করতে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, চীন আরো আম, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী। যুবক, তরুণ নেতা, নারী নেত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতেও তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি একজন বিশ্ব নেতাও বটে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চীন কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়