সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার : বেশি দামের অভিযোগ ক্রেতাদের

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে চট্টগ্রাম নগরের ছোট-বড় সব মার্কেটে। বিশেষ করে রাতে ক্রেতাদের চাপে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে চড়া দামের কারণে বেশিরভাগ ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার চড়া দামেও কিনছেন। এদিকে ভিড় বাড়লেও বেচাবিক্রি এখনো সেভাবে জমে উঠেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
নগরীর নিউ মার্কেট, বহদ্দারহাট স্বজন সুপার মার্কেট, ইলিজি স্কাই পার্ক, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, বালি আর্কেড, গুলজা, মতি টাওয়ারসহ বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ির দোকানগুলোয় বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। এছাড়াও গার্মেন্টসের তৈরি পোশাকের দোকান, জুতা স্যান্ডেলের দোকান, প্রসাধনীর দোকানে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে ক্রেতাদের। তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।
চট্টগ্রামে এবারের ঈদ বাজারে ‘পদ্মজা’ নামের থ্রি-পিস, ‘আলিয়া

কাট’ পোশাক বেশ সাড়া ফেলেছে। তাই নগরের শপিংমলগুলোতে তরুণীদের নজর এখন এই দুই পোশাকে। দোকানে এসে তরুণীরা প্রথমেই বিক্রেতাদের কাছে খোঁজ করছেন ‘পদ্মজা আর ‘আলিয়া কাট’র। এছাড়াও শপিংমলগুলোতে তরুণীদের সারারা, গারারা ও নাইরা নামের ভারতীয় পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি কুর্তি, লেহেঙ্গা, ক্রপটপ গাউন আর বার্বি গাউনের দিকেও ঝুঁকছেন অনেকেই। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে পদ্মজা, আলিয়া কাট, সারারা, গারারা ও নাইরা নামের এসব পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সুতি পোশাকের চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে প্রতিবছরই দেশি পোশাকের চেয়ে ভারতীয় আর পাকিস্তানি পোশাকের দিকে নজর তরুণ-তরুণীদের। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। এছাড়া তরুণীরা মজেছেন সারারা আর গারারা ও নাইরা নামের পোশাকে। ভারতীয় পোশাকের দাম একটু বেশি।
গতকাল বুধবার নগরের নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া প্রত্যেক দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু বিক্রেতাদের মুখে হাসি নেই। মার্কেটজুড়ে ভিড় থাকলেও ক্রেতা না থাকায় বেচাবিক্রি হচ্ছে না। যদিও গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশ চড়া বলে ক্রেতাদের আছে নানা অভিযোগ-অনুযোগ। তবে বাড়তি দামের কথাটা অস্বীকার করছেন না বিক্রেতারাও।
নিউমার্কেটে মেয়েকে নিয়ে বাবা আবদুর রহমান এসেছেন জুতার দোকানে। তিনি বলেন, মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছি। এখানে ভালো জুতার কালেকশন পেয়েছি। কিন্তু দাম একটু বেশি। চার দিন ধরে ঘুরে বহু দামাদামির পর দুই জোড়া জুতা কিনতে পেরেছি। দাম আরেকটু কম হলে আরেক জোড়া জুতা বেশি কিনে নিয়ে যেতে পারতাম। ক্রেতা সাহিনা সুলতানা বলেন, যে দোকানেই যাই জিনিস পছন্দ হলেও দাম বেশি। তাই ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছি না। গতবারের চেয়ে এবার জামা-কাপড়ের দাম বেশি মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্তু শপিং করতে পারব কিনা তাই ভাবছি এখন। তাদের মতো অনেক ক্রেতাই দামের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়