সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

এনআইডিতে অনিয়ম : নজরদারিতে আউটসোর্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার গতি বাড়াতে ও অনিয়ম ঠেকাতে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারিতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য আউটসোর্সিং জনবলের পরিবর্তে রাজস্ব খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠ পর্যায়ে উপজেলা বা থানা, জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে তিন হাজারের মতো জনবল আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্পে নিয়োজিত রয়েছে- যাদের অধিকাংশই ভোটার কার্যক্রম তথা এনআইডি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে ডাটাএন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, প্রোগ্রামার, সহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় এনআইডি জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মে আউসোর্সিং

জনবলের সংশ্লিষ্টতা, অবহেলা, গাফিলতির বিষয়টি উঠে আসে। এর ফলে, তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এনআইডি অনুবিভাগের উপপরিচালক (মানবসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. আ. আজিজ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য দেয়া নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে উপজেলা বা থানা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্দেশনা থেকে জানা গেছে, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব ও নির্বিঘেœ এনআইডি পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইন ও বিধি মোতাবেক জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
এক, ভাটার তালিকা নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধনসংক্রান্ত কার্যক্রমে রাজস্ব খাতের জনবলের সম্পৃক্ততা বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যেসব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা (রাজস্ব খাতভুক্ত) পদায়নকৃত রয়েছেন, সেসব অফিসে ভোটার তালিকা নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে আবশ্যিকভাবে তাদের এনআইডি সংক্রান্ত সিস্টেম ও সফটওয়্যারের ইউজার আইডি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে হবে।
দুই, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আউটসোর্সিং জনবলের সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়মিতভাবে মনিটরিং করতে হবে। এক্ষেত্রে মাসিক ভিত্তিতে মনিটরিং প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে।
তিন, মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার নামে বরাদ্দকৃত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিজে ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়