পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুসারে তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় এ সুপারিশ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তথ্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।
মূলত তথ্য চাইতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনকে তথ্য কমিশনে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন ওই ইউএনও। বেলা ১১টায় তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেয়া শেষে দুপুর পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে যান তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন। সিএনজিতে উঠে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সন্তান সঙ্গে থাকা অবস্থায় অন্য কোনো নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা যায় কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন। প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে একটি সরকারি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন শফিউজ্জামান রানা। এ সময় আবেদন প্রাপ্তির অনুলিপি চান তিনি। অসদাচরণের অভিযোগে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের নির্দেশনায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ ডেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়