কাগজ প্রতিবেদক : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এস্তোনিয়ার মতো বাংলাদেশেও নাগরিকদের কোনো কাজে সরকারকে একবার তথ্য দিলে দ্বিতীয়বার অন্য কোনো কাজে সেই একই তথ্য দিতে হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করতে আসেন এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি ক্যারেলসন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
উত্তর ইউরোপীয় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এস্তোনিয়ার ই-গভর্নেন্স অ্যাকাডেমির সঙ্গে আমরা একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছি। যেখানে এস্তোনিয়ার যে কৌশল, তা কাজে লাগানো হবে।
বাল্টিক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট দেশ এস্তোনিয়ার প্রযুক্তির সফলতার কথা তুলে ধরে তা বাংলাদেশেও প্রয়োগ করার কথা জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী পলক। উদহারণ দিয়ে তিনি বলেন, এস্তোনিয়ায় কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি তথ্য একবার দেন, এরপর কেউ যদি পাসপোর্ট করতে যান, তাহলে একই জিনিস তাকে দ্বিতীয়বার দিতে হবে না। তাদের যে প্রযুক্তিগত কাঠামো আছে, সেগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও কাজে লাগানো সম্ভব।
তিনি বলেন, নাগরিককেন্দ্রিক সুবিধা দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য হবে। এতে সময়-খরচ কমে যাবে। পাশাপাশি দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা দেয়া যাবে। এটা করতে এস্তোনিয়ার সাফল্য ও সক্ষমতা ব্যবহার করব আমরা। পাশাপাশি, এস্তোনিয়ার প্রযুক্তিগত জ্ঞান অনেক আছে, কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নেই। কারণ সেটি ১৩ লাখ মানুষের একটি দেশ। আর আমরা ১৭ কোটি মানুষের দেশ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের অর্থনীতি এত বাড়ছে, আমাদের যে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে, এতে তাদের স্টার্টআপ কিংবা আইটি কোম্পানির পণ্য বাংলাদেশের মার্কেটে বিস্তৃত করতে পারে। তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোও ভালো করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যকার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যাতে আরো ঘন ঘন হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে আইটি সম্পৃক্ত একটি বিজনেস পোর্টাল চালু করা হবে। এজন্য একটি সমঝোতা স্মারকও সই করা হবে। এই সমঝোতায় রপ্তানি আয় বাড়ানো ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয় থাকবে। আমরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে এস্তোনিয়া আমাদের আইটি রপ্তানির কেন্দ্র হবে। পাশাপাশি তাদের বিনিয়োগও বাংলাদেশে বাড়বে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।