মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৩৮ বছর বয়সি এক নারী মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী গত সোমবার পিরোজপুর নারী ও শিশু আদালতে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নং-৪৬/২০২৪) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিেিবদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইমাম হোসেন বিষটি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন উপজেলার উত্তর মিঠাখালী ২ নম্বর ওয়ার্ড আলম ডাক্তার বাড়ির নজরুল ইসলামের ছেলে আলিফ (২৬), সাইফুল ইসলাম খোকনের ছেলে তীব্র (২৩), ও হেমায়েত হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল (২২)। মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন এবং বিভিন্ন বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। বিবাহযোগ্য মেয়ের সম্বন্ধ করার জন্য পূর্বপরিচিত কথিত ঘটক আলামগীর ওরফে আলেয়া বেগমকে (হিজড়া) সঙ্গে নিয়ে পরিচয় গোপন রেখে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঝুলঝুড়ি গ্রামের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন কথার ছলে ছেলে (পাত্র) দেখেন। আলাপচারিতায় তখন সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে তারা দ্রুত বাসায় ফেরার জন্য দুজন একটি মাঠ পাড়ি দিয়ে ছোট সড়কে ওঠেন। সেখানে আলিফের সঙ্গে দেখা হলে আলিফ তাদের প্রধান সড়কে দ্রুত যাওয়ার জন্য বাগানের মধ্য দিয়ে যেতেন বলেন। কিছুটা বাগানের মধ্যে প্রবেশ করার পর তীব্র এবং রিয়াজুল তাদের পথ রোধ করেন। পরে আলামগীর ওরফে আলেয়া বেগমকে (হিজড়া) পৃথক করে আটকে রেখে ওই নারীকে মুখ চেপে হত্যার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারণ করা হয়। মামলা করতে ঘটনার ১ মাসের বেশি সময় দেরি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নারী বলেন, আসামি আলিফ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার আপন চাচাতো ভাই, তীব্র আপন ভাতিজা ও রিয়াজুল প্রতিবেশী। মামলা না করার জন্য তিনি আমাকে ভয় দেখিয়েছেন, যে কারণে দেরি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শফিকুল আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।