পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু গণমাধ্যম : ৬ মাসে ২৮২ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ২৮২টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১৩০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সচিব সেবাস্টিন রেমা। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম

রেজা। আলোচকরা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গণমাধ্যম। বিশ্বে যে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যত খারাপ সে দেশে গণমাধ্যম তত শৃঙ্খলিত। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ঝুঁকিতে। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। সভায় মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিকাশে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আইনি সুরক্ষা ও সঠিক তথ্য প্রাপ্তি সহজ করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক। বিশ্বে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিপীড়িত প্রত্যেক সাংবাদিক একজন মানবাধিকার যোদ্ধা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিকার বিষয়টি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের নিত্য চর্চার বিষয়। এ কারণে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের কাজ সমমুখী। বৈশ্বিক শান্তি, সহাবস্থান, সহযোগিতা ও সর্বাত্মক কল্যাণের জন্যই যথার্থ মানবাধিকার চর্চা প্রয়োজন। মুক্ত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কমিশন নিবিড়ভাবে কাজ করে থাকে। এ পর্যন্ত দেশের যে প্রান্তেই সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন, কমিশন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার মধ্যদিয়ে বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, অনেকে ইনিয়েবিনিয়ে বলছেন, পদে পদে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ গাজায় হাজার হাজার মানুষ হামলায় মরে গেলেও সেটি নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কীভাবে এক হয়ে কাজ করলে গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, আমরা পারস্পরিক সম্পর্ক কীভাবে নির্মাণ করতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মাত্র নয় মাসে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। আবার ৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনাগুলো ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।
জাতীয় মানবাধিকারবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে কমিশনের পরিচালক কাজী আরফান আশিক বলেন, ভুয়া মানবাধিকার সংগঠন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নাম নিয়ে অনেক ভুয়া সংগঠন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার নামে প্রতারণা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়