মো. আজিম উদ্দিন, সাভার (ঢাকা) থেকে : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি তেলবাহী লরি উল্টে গেলে এতে আগুন ধরে যায়। তেল ছড়িয়ে পরলে এ সময় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও চারটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ দুর্ঘটনায় দুইজন নিহতের পাশাপাশি দগ্ধ হয়েছেন ৬ জন। নিহত এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৪৫)। আর দগ্ধ সাতজনের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আ. সালাম (৩৫), মিলন মোল্লা (২০), আল আমিন (৩০), নিরঞ্জন (৪৫)।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তেলবাহী লরি থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে তরমুজবোঝাই একটি ট্রাক, একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। নিহত ব্যক্তি সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাশাপাশি সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দগ্ধ প্রাইভেট কারচালক আ. সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং আগুন ধরে যায়। ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আ. সালাম আরও জানান, তার প্রাইভেট কারে কোনো যাত্রী ছিল না। যখন প্রাইভেট কারটিতে আগুন ধরে যায়, তখন তিনি দৌড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাথার একপাশে ও পায়ে দগ্ধ হন। দগ্ধ মিলন মোল্লার (২০) স্ত্রী জান্নাতি জানান, তার স্বামী সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির লেবার। ভোরে ওই গাড়িতে করে কাজে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় ওই গাড়িতে আগুন লেগে গেলে তিনি দগ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা য়ায়, হেমায়েতপুরের আগুনের ঘটনায় আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা

গেছেন। বাকি সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহত একজনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকি দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের র‌্যাকার দিয়ে গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।