মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

সাফের আগে অন্তত পাঁচটি ম্যাচ খেলবে সাবিনারা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী অক্টোবরে মাঠে গড়াবে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অন্তত পাঁচটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গত বছরের এপ্রিলে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ের টুর্নামেন্ট খেলতে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নদের। তবে আর্থিক কারণে সে সফর বাতিল হওয়ার পর এবার আবারো মিয়ানমারে দুটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আগামী অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই থাকলেও নতুন বছরে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি সাবিনাদের। ফলে টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুতিতে ভাটা পড়ছে বলে মনে করে মেয়েরা। একই সঙ্গে নিজেদের প্রস্তুতিকে শানিত করে তুলতে টুর্নামেন্টের আগে অন্তত পাঁচটি প্রীতি ম্যাচ খেলার আকাক্সক্ষা মেয়েদের।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা ছিল সাবিনাদের। সেই সফর বাতিল হওয়ায় খেলোয়াড়রা ছুটি পেয়ে যার যার বাড়িতে। তবে এ সময় সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে কয়েকটি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের পক্ষ থেকে ফেডারেশনের কাছে চাওয়া সাফের আগে অন্তত ৫-৬টা ম্যাচ খেলার সুযোগ। সাফের আগে ম্যাচগুলো না খেলতে পারলে আমাদের জন্য শিরোপা লড়াইটা কঠিন হবে।’ কঠিন হওয়ার কারণটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক, ‘এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও নেপাল নারী ফুটবলে শক্তিশালী। শুনেছি এবার নাকি ছেলেদের মতো নারী সাফেও বাইরের দেশ আসতে পারে ফলে তখন প্রতিদ্ব›িদ্বতা আরো বাড়তে পারে।’
অক্টোবরে সাফ টুর্নামেন্টের আগে নারী ফিফা উইন্ডো রয়েছে আর মাত্র দুটি। ২৭ মে-৪ জুন এবং ৮-১৬ জুলাই। সাফের প্রস্তুতির জন্য ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমস খেলার পর বাংলাদেশ শুধুমাত্র ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচের হোম সিরিজ খেলেছে। চলতি বছর জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল তিনটি নারী ফিফা উইন্ডোর কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেনি বাফুফে।
জানুয়ারিতে সৌদি, ফেব্রুয়ারিতে ফিলিস্তিন ঢাকায় এসে এবং এপ্রিলে বাংলাদেশ মিয়ানমারে গিয়ে খেলার কথা থাকলেও কোনোটিই হয়নি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির উইন্ডোতে সফরকারী দল চূড়ান্ত কথা দিয়েও আসেনি। আর এপ্রিল উইন্ডোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুই ফেডারেশন সম্মত থাকলেও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মুহূর্তে সফরে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে। গত বছর অক্টোবরে লেবানন সফর বাতিল হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায়। গত কয়েক মাসে প্রতি উইন্ডোর আগে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ প্রতিপক্ষ দলের নাম ঘোষণা করেন। কিছু দিন পর আবার তিনিই না আসার খবর নিশ্চিত করেন। এশিয়ার মধ্যে নারী ফুটবলে উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশই রয়েছে। বাফুফে সে সব দেশকে আমন্ত্রণ বা যাওয়ার চেষ্টা সেভাবে না করে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, রাজনৈতিক সমস্যা প্রবণ দেশের সঙ্গেই সাবিনাদের খেলা ঠিক করেছে সাম্প্রতিক সময়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়