গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

সেতুর নির্মাণকাজে মাটিযুক্ত মরা পাথর, মরিচা পড়া রড

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া চরের একটি খালের উপর ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতুর নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নি¤œমানের বালু, মাটিযুক্ত মরা পাথর, মরিচা পড়া রড় এবং ঢালাই কাজে স্টিল কাঠামোর পরিবর্তে কাঠের সাটারিং দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা সেতু নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও অফিস ম্যানেজ হওয়ায় বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বাউফল উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পূর্ব কালাইয়া চরের একটি খালে (তারের পুলের পূর্ব পাশে) ১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। ২০২৩ সালের ২২ মে পটুয়াখালীর মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই সেতুর নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজের মেয়াদ ছিল ১৮০ দিন। মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ করেননি ঠিকাদার। এরপর পুনরায় ১৮০ দিন মেয়াদ বাড়িয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে বক্সপিলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাঠের সাটারিং অবকাঠামোর উপর ঢালাইয়ের কাজ করার জন্য সেতুর বিম ও স্লাব বসানো হচ্ছে। বিমে মরিচা পড়া রড ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশে রাখা আছে কাদামাটি মেশানো মরা পাথর ও বালু (লাল বালু)। বিষয়টি জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশ অনুুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুর নির্মাণকাজ শুরু থেকে সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে সাইটে দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম করে যাচ্ছেন ঠিকাদার। আমরা এলাকাবাসী একাধিকবার ঠিকাদারের অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি। তবে সংশ্লিষ্ট অফিস বিষয়টি আমলে নেননি। অফিসকে ম্যানেজ করেই কাজ করে যাচ্ছেন ঠিকাদার।
মো. হারুন নামের এক কৃষক বলেন, এই খাল দিয়ে নৌযানে বিভিন্ন ফসল পরিবহন করা হয়। সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। অচিরেই ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকরা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে বলেছিল। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। এরপরেও সেতু নির্মাণে নি¤œমানের মালামাল ব্যাবহার করা হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জাফর মিয়া বলেন, কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। শিডিউল মেনেই কাজ চলছে। আপনি পত্রিকায় যা নিউজ করার করুন।
বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস বলেন, কাঠের সাটারিং ব্যবহার করা যাবে। কোনো অসুবিধা নেই। তবে নির্মাণকাজে নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেটা আমরা দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়