গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তার : পুরুষশূন্য বাড়ি হওয়ায় টার্গেট করে মা-মেয়েকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ভুইগড় এলাকা থেকে সালাউদ্দিন মিয়া (২২) নামে এক তরুণ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব বলছে, ২০২০ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় একইসঙ্গে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার হন সালাউদ্দিন। হবিগঞ্জ চুনারুঘাটের জিবধরছড়ার হুছেন আলীর ছেলে তিনি। ভুক্তভোগীদের বাড়ি পুরুষশূন্য হওয়ায় তাদের বেছে নেয় অভিযুক্তরা।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র?্যাব-৩ এর কার্যালয়ে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ অক্টোবর রাত ৮টার সময় ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকতে থাকে শাকিল নামে তাদের পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি। ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসেন মা আমেনা বেগম। বাইরে এসে তিনি শাকিলের সঙ্গে আরো দুজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান। পরে জানা যায় ওই দুজন ব্যক্তি হলো সালাউদ্দিন ও হারুন। শাকিল জরুরি কথা আছে বলে ঘরের ভেতরে বসতে চাইলে আমেনা বেগম সরল বিশ্বাসে তাদের ঘরের মধ্যে বসতে দেয়। এরপরই পরিকল্পনা মোতাবেক কিছুক্ষণ পর শাকিল হঠাৎ তাদের ঘরে আলো নিভিয়ে দেয়। এর সঙ্গে-সঙ্গেই সালাউদ্দিন, শাকিল ও হারুন ৩ জন মিলে ভুক্তভোগী বিউটি ও তার মা আমেনা খাতুনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এ সময় ভুক্তভোগীরা চিৎকার করলে শাকিল তার হাতে থাকা দা দিয়ে তাদের কেটে ফেলার ভয় দেখায় ও বাইরে তাদের আরো লোক আছে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মা ও মেয়ের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে পালাক্রমে জোর করে দলবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে। জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভুক্তভোগী বিউটি বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় শাকিল, সালাউদ্দিন ও হারুনের নাম উল্লেখ ছাড়াও দুজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে গণধর্ষণ মামলা করে। মামলার পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও শাকিল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও কিশোর হারুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। পরে মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের নভেম্বর মাসে বিচারক গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন ও পলাতক শাকিলের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
র‌্যাব-৩ এর সিও বলেন, ভুক্তভোগী বিউটি ও তার মা আমেনা খাতুন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন ও মামলার অপর আসামি একই এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন একসঙ্গেই শাকিল ও হারুনের সঙ্গে দিন মজুরের কাজ করতেন এবং অধিকাংশ সময় একসঙ্গেই কাটাতেন। ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত পলাতক শাকিল অন্যান্যদের সঙ্গে শেয়ার করে যে, ভুক্তভোগী বিউটি ও তার মা আমেনা বেগম ছাড়া তাদের বাড়িতে অন্য কেউ থাকে না। বিউটি আক্তারের ছোট ভাই সবুর রেল কোম্পানিতে চাকরি করায় বাড়িটি ছিল পুরুষশূন্য। ভুক্তভোগীরা নির্জনতার সুযোগ কাজে লাগায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়