গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

বাইডেনকে জেলেনস্কির সতর্কবার্তা : জিততে চলছেন পুতিন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইউক্রেন। যুদ্ধের শুরু থেকেই কিয়েভকে অব্যাহত অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিমা অস্ত্রের নির্ভরতা যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনকে এগিয়ে রাখছে অনেক ক্ষেত্রেই। তবে এই সহায়তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে কী পরিণতি ভোগ করবে ইউরোপ? তারই ইঙ্গিত দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি সতর্ক করে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তা দ্রুত না পৌঁছালে রাশিয়ার কাছে আরো ভূখণ্ড হারাবে ইউক্রেন বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়া না যায়, এর মানে হলো ইউক্রেনের হাতে কোনো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকছে না, কোনো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা থাকছে না। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের জন্য কোনো জ্যামার থাকছে না এবং ১৫৫ মিলিমিটার কামানের গোলা থাকছে না।’
এমন পরিস্থিতির পরিণতি বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, ‘যদি সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান ধরে রাখতে দিনে ৮ হাজার রাউন্ড গোলা প্রয়োজন হয়, কিন্তু কোনো বাহিনীর কাছে আছে দুই হাজার রাউন্ড। তাহলে সেই বাহিনীকে লড়াই সীমিত করতে হবে।’
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জানান, অস্ত্র সহায়তা না আসার সমাধান হতে পারে সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রের এলাকা কমিয়ে আনা। কিন্তু সম্মুখযুদ্ধ ক্ষেত্রের অবস্থান হাতছাড়া হয়, তাহলে রাশিয়া বড় শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হবে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা প্যাকেজ পাসে হিমশিম খাচ্ছে। এই প্যাকেজে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা রয়েছে। কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস করা যায়নি।
দুই বছর আগে রুশ সামরিক বাহিনীর হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা বর্তমানে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত মাসে আভদিভকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় কিয়েভ। গেল বছর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখল করে নেয় রাশিয়া। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে এই যুদ্ধ রাশিয়ার অনুকূলে চলে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়