আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

কালীগঞ্জ পুলিশের পৃথক অভিযান : সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও সয়ামিলসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জ থানার পুলিশ নাটোর থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণসহ আব্দুল্লাহ (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকভর্তি গোখাদ্য নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজধানী উত্তরা থেকে ট্রাকের সহকারী মো. আরিফ (২৬) ও চোরাই গোখাদ্য সয়ামিল ক্রয়ের অভিযোগে অপু দাস (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৩৫ বস্তা গোখাদ্য জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ নাটোরের লালপুর উপজেলার শেখছিলান গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা এলাকার একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন।
অন্য অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আরিফ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হামছায়াপুর গ্রামের শাহ আলীর ছেলে। তিনি গোখাদ্য সয়ামিল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকটির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। অপু গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের অতুল দাসের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী বাজারে গোখাদ্যের ব্যবসা করেন।
ওসি জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক মামলার পর গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্বর্ণ উদ্ধার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা এলাকার একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। তিনি কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলালের ভাতিজি জামাই। সেই সুবাদ মাঝেমধ্যে তিনি ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ২৩ মার্চ সুযোগ বুঝে চাচাশ্বশুর বেলালের ঘরের আলমারিতে রাখা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যান। পরদিন এ ঘটনায় চাচাশ্বশুর থানায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির একটির ঘরের ইলেকট্রিক বোর্ডের ভেতরে নীল রঙের একটি পলিথিন থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার কালীগঞ্জ থানায় মামলায় (নং ২৬) দায়েরের পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, গোখাদ্য সয়ামিল উদ্ধারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভ জানান, গত ১৯ মার্চ ট্রাকের চালক ও হেলাপার নারায়ণগঞ্জ থেকে ৩০০ বস্তা সয়ামিল লোড করেন বগুড়ার আলাল গ্রুপে নেয়ার জন্য। পথে কালীগঞ্জে ট্রাক নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। পরে এ ঘটনায় ওই দিনই কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং ২২) দায়ের হয়। সেই মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাকের হেলপার আরিফকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকটি কালীগঞ্জে তুমলিয়া ইউনিয়নের চুরিয়াখোলা থেকে ৫০ বস্তা সয়ামিলসহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে আরিফ উপজেলার নাগরী বাজারে ২০০ বস্তা সয়ামিল বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ি কাছে। পরে সেই ব্যবসায়ি অপু দাসকে গ্রেপ্তারসহ তার কাছ থেকে ৭৫ বস্তা গোখাদ্য উদ্ধার করা হলেও বাকিগুলো খামারিদের কাছে বিক্রি করে ফেলেন। অভিযানে ১৩৫ বস্তা রসায়সিল উদ্ধার করা হয়। বাকি ৫০ বস্তা সয়ামিল রূপগঞ্জে বিক্রি হয় জানান আরিফ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়