আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

ঈদ ঘিরে সিলেট নগরীতে সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্মার্ট ফোন, মানিব্যাগ ও ভ্যানিটি ব্যাগ (পার্স) ছিনতাইকারী চক্র। এই চক্রের প্রধান টার্গেট বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিদ্যুৎ চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ক্রেতা ও পথচারীদের ওপর হামলে পড়ে বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।
আম্বরখানা-টুকেরবাজার রুটের সিএনজি অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমান জানান, মূলত চক্রের সদস্যরা জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় ছিনতাই করে থাকে। রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় চক্রের সদস্যরা পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্যও। এ চালক জানান, চক্রের সদস্যরা বিদ্যুৎ চলে যাবার পর ‘ফন্দি’ হিসেবে সিএনজি অটোরিকশার সামনের বা পিছনের সিটে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল রেখে দেয়।
এটা সিএনজি অটোরিকশা থামানোর কৌশল তাদের। সিএনজি থামিয়ে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ‘অন্ধকারে’র মধ্যে তাদের স্মার্ট ফোন, মানি ব্যাগ কিংবা পার্স ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের ভয়ে অনেক সিএনজি অটোরিকশাচালক আতঙ্কিত জানিয়ে তিনি বলেন, এ অবস্থায় অনেক চালক অনেক রুটে যেতে অনাগ্রহী। ক্ষেত্রবিশেষে ছিনতাইকারীরা চালকদের মারধর করে বলেও জানান তিনি।
ওই চালক আরো বলেন, জিন্দাবাজার ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ছিনতাই হয় ইফতারের কিছু আগে। গত সোমবার কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ইফতারের সামান্য আগে এ রকম একটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন বলে জানান তিনি। ছিনতাইকারীদের নেতৃত্বে কিছু উঠতি বয়সি তরুণ রয়েছে বলে তিনি জানান। আরেক ভুক্তভোগী বলেন, সিলেট নগরীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’ চক্র। এরা নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে আড্ডা দেয়। সুযোগ বুঝে তারা নেমে পড়ে ছিনতাইসহ অপরাধে। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কারণে এই চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মাঝখানে কিছুদিন স্থবির থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততার সুযোগে তারা আবার তৎপর হয়ে উঠেছে।
দুদিন আগে নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় দিনে-দুপুরে এক ছিনতাইকারীকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি লোকজন প্রকাশ্যে প্রত্যক্ষ করেন। ভুক্তভোগীরা ওই ছিনতাইকারীকে তাড়া করলেও তাকে ধরতে ব্যর্থ হন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এস আই ফখরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নগরীতে লোডশেডিংয়ের মধ্যে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের বিষয়টি তার জানা নেই। এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে অবহিত হওয়ার পর তিনি বিষয়টি পুলিশের টহল দলকে অবহিত করবেন বলে জানালেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়