মার্চের স্মৃতি

আগের সংবাদ

দুর্ঘটনারোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা : এসি রুমে বসে দুর্ঘটনা দেখেন কর্মকর্তারা > আলোর মুখ দেখে না তদন্ত প্রতিবেদন

পরের সংবাদ

লৌহজংয়ে সড়কে বিদ্যুতের ৩টি খুঁটি রেখেই ঢালাই

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাজুল ইসলাম রাকিব, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : লৌহজং উপজেলার মালিরঅংক সড়কে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি রেখেই (আরসিসি) ঢালাই করার চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা পরিষদ, লৌহজং থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে প্রবেশের প্রধান সড়কে এ দৃশ্য দেখা যায়। ফলে দুর্ঘটনার শিকারে পড়বে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনসহ পথচারীরা। এমনকি সার্বক্ষণিক সড়কে যানজট লেগেই থাকে। সে সঙ্গে কর্মচঞ্চল সড়কটি দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।
গত সোমবার দুপুরে সরজমিন দেখা যায়, মাসখানেক ধরে সড়কটির সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে সার্বিক কাজ শেষে গত শনিবার থেকে সড়কের ডান পাশে আরসিসি ঢালাই চলছে। সোমবার মালিরঅংক বাজারের ৩টি খুঁটি সড়কের উপর রেখেই ঢালাই দিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা। এ সময় স্থানীয় অটোরিকশা চালকসহ জনসাধারণ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। বলা হয় আমরা কি জানি আপনারা ইঞ্জিনিয়ারকে বলুন।
প্রকৌশলী কার্যালয়ের তথ্যমতে, মালিরঅংক বাজার থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৫২৫ মিটার দৈর্ঘ্যে রাস্তার আরসিসি ঢালাই চলছে। যার প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটার ও উচ্চতা ৮ ইঞ্চি। সড়কটির মুখে আরো বেশি প্রস্থ হবে। সে সঙ্গে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যে বেশি পরিমাণে উঁচু করা হচ্ছে। যাতে পানি আটকে না থাকে। মালিরঅংক থেকে নওপাড়া বাজার পর্যন্ত পৃথক পৃথক তিনটি জায়গায় একই প্রজেক্টে ১ হাজার ৫৩ মিটার সংস্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে মালিরঅংকের কাজ চলমান। বৌলতলী ও নওপাড়ার কাজ শেষ হয়েছে।
কাজটির কন্ট্রাক্টর নিউ মদিনার ইমনের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি বলেন, আমরা পল্লী বিদ্যৎ অফিসে পুল (খুঁটি) সরানোর জন্য আবেদন করেছি। তারা সময়মতো সরায়নি তাই কাজ শেষ করতে হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লৌহজং জোনের ডিজিএম নিশীথ কুমার কর্মকার জানান, আমরা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে পুল (খুঁটি) সরানোর জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাইনি।
উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ জানান, ওখানে তিনটি খুঁটি রয়েছে। এগুলো থেকে স্থানীয় দোকানিরা বিদ্যুৎ সংগ্রহ করেছেন। তাই স্থান পরিবর্তন করিনি। প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আর কাঠের খুঁটি পরে কেটে ফেললেই হবে। এদিকে কাঠের খুঁটি কেটে ফেলার আশ্বাস দিলেও আরো একটি লোহার খুঁটিও রয়েছে। এ খুঁটিটি কি করবে এ প্রশ্ন থেকেই যায়! উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে আমার চোখে পড়েনি। এখন যেহেতু জানলাম আশা করছি দ্রুত খ্ুঁটিটি স্থান পরিবর্তন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়