মার্চের স্মৃতি

আগের সংবাদ

দুর্ঘটনারোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা : এসি রুমে বসে দুর্ঘটনা দেখেন কর্মকর্তারা > আলোর মুখ দেখে না তদন্ত প্রতিবেদন

পরের সংবাদ

মাধবপুরে আড়াই কোটি টাকার ব্রিজের নির্মাণকাজে অনিয়ম

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে : মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের ১০ নম্বর এলাকায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি ব্রিজ। এই ব্রিজ নির্মাণকাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলিকা বালু। ব্যবহৃত রডের মানও ঠিক নেই। রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করে মান নির্ণয়ের পর রিপোর্ট হাতে এলে কাজ শুরু করার নিয়ম থাকলেও রিপোর্টগুলো এখনো হাতে পাননি কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৗশলী। এদিকে ইতোমধ্যে পাইলংয়ের কাজ শেষ হয়ে এলেও এখনো প্রকল্পের কোনো সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের ১০ নম্বর এলাকায় একটি খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান করলে কাজ পায় হাসান এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজটি। এর মধ্যে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ নির্র্মাণ কাজে সিলিকা বালু ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্রিজের নিচে খালের বালু দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া ৬০ ডিগ্রি রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্রিজ নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০ ডিগ্রি রড।
ব্রিজ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে তার মানও খুব ভালো নয়। ময়লা আর ছোট ছোট পাথর ফেলে রাখা হয়েছে সেখানে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ রাজীব (রুবেল) নামে একজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা সিলিকা বালু দিয়েই কাজ করছেন। কাজের শুরুতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি তাতে কি হয়েছে? লাগানো হবে।
৬০ গ্রেড রড ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও আপনারা ৫০ গ্রেড রড ব্যবহার করছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
হাসান এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ কোটি ৫৪ লাখ ব্যায়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণ কাজের শুরুতে সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও শিগগিরই সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
সিডিউলে কি ধরনের বালু ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিজ নির্মাণকাজে সিলিকা বালু ব্যবহার করা হয়েছে তবে কিছু লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে। রডের গায়ে যে লেখা আছে ৫০ গ্রেড, সেটা যদি আমরা কনভার্ট করি তাহলে ঠিক আছে।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি, লাগানো হবে। সিলিকা বালু ব্যবহার না করে লোকাল বালু ব্যবহার করার প্রশ্নে তিনি বলেন, বালু, রড, পাথর ল্যাবে পরীক্ষা করে লাগানো হয়েছে।
ল্যাবের রিপোর্টগুলো মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, তার কাছে রিপোর্টগুলো রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়