মার্চের স্মৃতি

আগের সংবাদ

দুর্ঘটনারোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা : এসি রুমে বসে দুর্ঘটনা দেখেন কর্মকর্তারা > আলোর মুখ দেখে না তদন্ত প্রতিবেদন

পরের সংবাদ

ব্যস্ততা বেড়েছে কুমিল্লার পোশাক কারিগরদের

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি : রমজানের ঈদকে সামনে রেখে জোয়াগ গ্রামের মানুষদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে। এখন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলারও সময় নেই। যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন সবাই। এ দৃশ্য পুরো রমজান মাসজুড়ে দেখা যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রাম জোয়াগের প্রতিটি ঘরে ঘরে। এ গ্রামের সব নারী-পুরুষ এমনকি স্কুলে পড়–য়া ছাত্রছাত্রী সবাই রমজান মাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পোশাক তৈরিতে। সারা গ্রামে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চুমকির কাজ করা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের তৈরি কাপড়। এ গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সের মানুষেই কাপড়ে চুমকির কাজ করা বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের পোশক তৈরি করতে নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে। গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর পাশাপাশি তাদের সন্তানরাও পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে সময় অনুযায়ী কাপড়ে চুমকির কাজ করা যাচ্ছেন। এখান থেকেই তৈরি পোশাক চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় আলিশান মার্কেটগুলোতে। ঈদকে কেন্দ্র করে জোয়াগ গ্রামে যেসব পোশাক তৈরি হচ্ছে তা হলো থ্রি-পিজ, শাড়ি, লেহাঙ্গাসহ বিভিন্ন নিত্যনতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়।
সরজমিন জোয়াগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ সবাই যার যার কাজ নিয়েই ব্যস্ত। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় ওই গ্রামের কারখানার মালিক জসীম, ময়নাল, বদিউল, রানা। তারা জানান, এই গ্রামের মানুষ ১২ মাসই চুমকির কাজ করা পোশাক তৈরি করে। তবে রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করেই দু-তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় তাদের কাজের কর্মচাঞ্চল্যতা। এ সময়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিত্যনতুন ডিজাইনের চুমকির পোশাক তৈরিতে। এখন সবাইর একটি লক্ষ্য থাকে ঈদের বাজার শেষ হওয়ার আগেই দোকানিদের হাতে মাল তুলে দিতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জোয়াগ গ্রামের বুটিক শিল্পের কারিগর জালাল, জাহাঙ্গীর, লুতফুর, কাজের ফাঁকে দুবার বিশ্রাম নেন তারা। মাস শেষে পারিশ্রমিক পান প্রত্যেকেই ১০-১২ হাজার টাকা করে। তবে রোজার মাস এলেই তাদের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়। তখন প্রত্যেক কারিগর পান ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ চুমকির কাজ করে যে টাকা পাচ্ছে সে টাকা পেয়ে কারিগররা সবাই খুশি। তারা বলেন, আমরা আমাদের নিজ গ্রামের বসে পরিশ্রম করে টাকা কামাই করছি এটা তো বড়ই আনন্দের। তবে তাদের চুমকির পোশাক তৈরির কাজ শবেকদর রাত পর্যন্ত চলবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়