কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লার বাসায় গভীর রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের বাসভবনে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করেছে। এতে তার বাসার জানালার গøাস ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যানের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কালাম ফরাজী ও লতাচাপলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলম ফকিরের নেতেৃত্বে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। হামলাকারীরা তার বাসা ঘেরাও করে চারপাশ থেকে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে। এতে আবাসিক এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পরে। মহিপুর থানা পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদের আটক না করে নিরাপদে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আনছার মোল্লা বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমি স্বস্ত্রীক হামলার শিকার হয়েছি। এ মামলার প্রধান আসামি নজরুল ফকির ও তার ভাগ্নে রিয়াজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শনিবার সন্ধ্যায় মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিয়ে আমার মেঝো ছেলে রিফাত মোল্লা, যুবলীগ নেতা ইউসুফ হাওলাদার, শামসু হাওলাদারকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর একের পর এক হামলা করেছে হাতুড়ি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪৫-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বহু নেতাকর্মী। আমি নিরুপায় হয়ে আমার বড় ভাই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ খবর এলাকায় পৌঁছার পরই সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বোপরি আমার পরিবারকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে নানা অপকৌশল নেয়া হচ্ছে। এ বিষয় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার বাসায় হামলার ঘটনা তার জানা নেই। এ বিষয়ে আনছার উদ্দিন মোল্লা একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।