ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ঢাবি ছাত্র রহিম হত্যা মামলা : চব্বিশ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম (৫৪) হত্যা মামলায় সেনা ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি। এ সময় গকুল চন্দ্র মন্ডল, এপিপি এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ. গফুর ওরফে গফুর (উপস্থিত), মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ (উপস্থিত), বাকী পলাতকরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক, মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বিজিবি সদস্য হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদের মধ্যে ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার ২২ ব্যাটালিয়ন ঢাকা সেনানিবাসের নায়েব সুবেদার। আর হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল ১৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিপাহী পদে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। সে ১১ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফিরে নাই। পরদিন ১২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড়ে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে আব্দুর রহিমের মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারী বেগুনবাড়ি গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ করে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব উল আলম আসামিদের স্বীকারোক্তিতে তদন্তে ৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়