ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

৭ জন গ্রেপ্তার : ভাটারায় আধিপত্যের দ্ব›েদ্ব গোলাগুলি

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নাম্বার প্লেটের সূত্র ধরে দ্ব›েদ্বর জেরে চালকের পায়ে গুলি ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।
গত শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলভার, একটি বিদেশি শর্টগান, একটি ভাঙা রিভলবার, একটি ভাঙা ৯ এমএম পিস্তল, ৭৫ রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, পাঁচটি পুরাতন ম্যাগজিন, ৪০ গ্রাম গান পাউডারের বারুদ এবং ৬০টি বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাশেদুজ্জামান খান রাজু (৩৫), রকিব হোসেন মুন্না (৩২), মো. শারিকুল ইসলাম খান (৪৫), মো. আজিম পাটোয়ারী (৩৪), মো. মাহবুব খান (৩৫), শরীফ খান (৩৩) ও মো. সোহরাব খান (৩৩)।
রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রবিবার দুপুরে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঠুনকো ঘটনায় অস্ত্রের মহড়া ও গোলাগুলির নেপথ্যে ছিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অবৈধ কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ১৮ মার্চ রাজধানীর ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নাম্বার প্লেটকে কেন্দ্র করে দ্ব›েদ্বর জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ে গ্রেপ্তার রাজু ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তার সহযোগী মুন্না রিকশাচালক রুবেলকে গুলি করলে তার ডান পায়ে লাগে। এরপরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে অস্ত্র উদ্ধার করতে মাঠে নামে ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগ। পরবর্তী সময় তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় রাজধানীসহ গাজীপুর, মাদারীপুর, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থনে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা এলাকায় রাজুর পারিবারিক কবরস্থানের পাশে বাথরুম থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, আসামিরা এই সব অস্ত্র ব্যবহার করে ভারাটাসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা করেছিল। ফলে রিকশার নাম্বার প্লেটের সূত্র ধরে এলাকায় মহড়া চালায়। গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের রিমান্ডে এনে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তাদের সঙ্গে আরো কারা জড়িত রয়েছে জানার চেষ্টা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়