দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

আগের সংবাদ

বিচার ও স্বীকৃতি যেভাবে সম্ভব : একাত্তরের গণহত্যা

পরের সংবাদ

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে যখন সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস, ঠিক তখনই অতি প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। গতকাল শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) বিবৃতির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা বাড়ানো হচ্ছে। ভারতের আমদানি ও রপ্তানির বিষয়গুলো দেখভাল করা সংস্থা ডিজিএফআই তাদের বিবৃতিতে বলেছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
এদিকে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারতে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো তিন দিনের মধ্যে রেলযোগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তাই পেঁয়াজের বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে গতকাল শনিবার প্রতিমন্ত্রী ও অন্য এমপিদের সংবর্ধনা ও ক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের পরিচিতি সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও, কেউ যদি মজুতদারি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাভাবিক বাজারে বেচাকেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনোরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি তৎপরতার প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে।
চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রমুখ।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের প্রণোদনা : গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। বিএডিসি এসব বীজ সরবরাহ করবে। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, বিশুদ্ধতা ও উৎপাদন কাক্সিক্ষত মানের হতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়