ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

রুহুল কবির রিজভী : দীর্ঘদিনের অপমান বঞ্চনার প্রেক্ষাপটেই ভারতীয় পণ্য বর্জন

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে সমাদৃত শব্দ ভারতীয় পণ্য বর্জন। এই পণ্য বর্জন একদিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের অপমান, বঞ্চনা ও লাঞ্চনার প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থন দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ বর্জনের আহ্বান জানালেও আজ তা সর্ব মহলে সমাদৃত।
গতকাল রবিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আজকে ভারত বন্ধুত্বের কথা বলে। অথচ, পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না, বন্ধুত্বের কথা বলে প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা করা হচ্ছে।
এসব অন্যায় ও অবিচারের কারণে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদী করে তুলেছে। বাংলাদেশের বাজার বাণিজ্যে তারা একতরফা আধিপত্য বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন। তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র মনে করলে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলতো। ভারত কখনই ব্যবসায়িক নীতি মানেনি।
ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশবাসীই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আর এই অবৈধ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এ কারণেই বাংলাদেশের জনগণের ভারতের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষুদ্ধ হয়েছে।
রিজভী বলেন, ৭২ সালে ভারত যখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তখন থেকেই মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করেন। সকল বাম রাজনৈতিক দলগুলোও এর বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। তৎকালীন জাসদও সে সময় ভারতের এই নীতির জন্য প্রকাশ্যে রাজপথে ছিলেন।
বড় ভাইসুলভ আচরণের জন্য ভারতকে আধিপত্যবাদী শক্তি বলে আখ্যা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়