ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষে সাফল্য ও চাষিদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাষের মাধ্যমে ১ লাখ ৩৭ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়েছে এবং চিংড়ি ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রায় ৫ হাজার ১৯২ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ২ লাখ ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। তবে এখনো দেশের প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ ঘেরে প্রচলিত সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষাবাদ হওয়ায় চিংড়ির গড় উৎপাদন খুবই কম (গলদা চিংড়ি ৭৫৬ কেজি এবং বাগদা চিংড়ি ৩৬৮ কেজি/হেক্টর)। সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট খুলনা অঞ্চলের ৫টি জেলার ৮ হাজার ৭৫০ জন প্রান্তিক চিংড়ি চাষিকে ৩৫০টি ক্লাস্টারে সংগঠিত করে তাদের মাধ্যমে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিটি চিংড়ি ক্লাস্টার গড়ে ২৫ জন প্রান্তিক চাষির সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে প্রতিটি ঘেরের গড় আয়তন ৫০ শতাংশ। ক্লাস্টারের অন্তর্ভুক্ত ঘেরগুলো একই ভৌগোলিক ও ইকোলজিক্যাল পরিবেশে খুব কাছাকাছি বা পাশাপাশি অবস্থিত। তারা একই উৎসের পিএল, পানি, খাদ্যসহ সব চাষ উপকরণ ব্যবহার করে একই উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে সম্মত হয়েছে।

ক্লাস্টার চাষিদের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন
ক্লাস্টার এলাকায় চাষিদের পুকুর/ঘের (ব্যক্তিগত/যৌথ/লিজকৃত) থাকতে হবে; প্রতিটি ঘেরের আয়তন হবে ৩০-১৫০ শতাংশের মধ্যে এবং ঘেরের সঙ্গে পানির উৎসের (নদী/খাল) সংযোগ থাকতে হবে;
ক্লাস্টারভুক্ত চাষিদের ঘেরগুলো পাশাপাশি অবস্থিত হতে হবে এবং ক্লাস্টারের সব চাষি একই চাষ প্রযুক্তি অনুসরণ করবে; ক্লাস্টারের অন্তর্ভুক্ত চাষিগণের ঘের/পুকুরের অবকাঠামো (মাটি কেটে ঘেরের গভীরতা বৃদ্ধি, পাড় মেরামত ইত্যাদি) উন্নয়ন এবং জৈব নিরাপত্তা বজায় রাখার সক্ষমতা থাকতে হবে; চাষির নিজস্ব বিনিয়োগের সামর্থ্য ও সদিচ্ছা থাকতে হবে; চাষিদের লিখতে-পড়তে পারার সক্ষমতা, সাধারণ হিসাব-নিকাশ ও তথ্য সংরক্ষণ করার দক্ষতা থাকতে হবে; প্রতিটি ক্লাস্টারে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মহিলা থাকতে হবে; ক্লাস্টারের অন্তর্ভুক্ত চাষি ব্যাংক ঋণখেলাপি ও অবৈধ ভূমি দখলদার হতে পারবেন না; ক্লাস্টার গঠনে দরিদ্র/ মধ্যবিত্ত চাষিদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে; ক্লাস্টারের সদস্য/চাষিগণ একই ধরনের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/এনজিও কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকবেন না।

চিংড়ি ক্লাস্টার গঠন প্রক্রিয়া
উপজেলা মৎস্য দপ্তর উপজেলায় চিংড়ি ক্লাস্টার গঠনের উপযুক্ত সব চিংড়ি চাষির তথ্য সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত তথ্যাদি উপজেলা টিম ও ক্লাস্টার মোবিলাইজারগণ একত্রিতভাবে বিশ্লেষণ করবেন এবং ক্লাস্টার গঠনের উপযুক্ত এলাকা নির্বাচন করবেন। উপজেলা টিম এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন এবং প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত উপযুক্ত এলাকার আগ্রহী চাষিদের নিয়ে উন্মুক্ত সভা আয়োজন করবেন। সভায় উপস্থিত চাষিদের মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস্টার ও চাষি নির্বাচনের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং প্রতিটি ক্লাস্টারে গড়ে ২৫ জন (সর্বনিম্ন ২০ এবং সর্বোচ্চ ৩০ জন) চাষির সমন্বয়ে একটি খসড়া তালিকা প্রণয়ন করবেন। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সাধারণ সভার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ক্লাস্টার চাষিদের তথ্য-উপাত্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই এবং পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্লাস্টার চাষি ও এলাকা নির্বাচন করবে। অতঃপর, উপজেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় গঠিত ক্লাস্টারগুলো চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে। উপজেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি দেশের চিংড়ি সম্পদের মান উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গঠিত উপজেলা কমিটি। কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্য সচিব সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং সদস্য হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি ক্লাস্টার পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের ডিপিপি অনুসারে গঠিত ৩৫০টি চিংড়ি ক্লাস্টারের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ৩০০টি ক্লাস্টারে ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদানের সংস্থান রয়েছে। ম্যাচিং গ্রান্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারগুলোকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তা হলো: ম্যাচিং গ্রান্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার বিজনেস প্লানসহ (কমপক্ষে ৩ বছরের উৎপাদন ও আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনাসহ) নির্ধারিত ছকে আবেদন করবে।
ক্লাস্টারের প্রতিটি ঘেরের মাটি কেটে অবকাঠামোগত উন্নয়ন (ঘেরের পানির গভীরতা কমপক্ষে ৩-৪ ফুট বজায় রাখতে হবে) এবং জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাষিদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
ক্লাস্টার চাষিদের সনাতন পদ্ধতির চাষ হতে উন্নত সনাতন পদ্ধতির চাষে উন্নীত হতে হবে।
উত্তম চাষ অনুশীলন (এড়ড়ফ অয়ঁধপঁষঃঁৎব চৎধপঃরপব) বাস্তবায়ন করতে হবে।
ক্লাস্টার চাষিদের পক্ষে ক্লাস্টার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির (ম্যানেজার) সঙ্গে ক্লাস্টার পরিচালনা বিষয়ক একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে হবে।
ক্লাস্টারের পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালায় বর্ণিত (ঊঝগঋ) বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
ক্লাস্টারগুলোতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লাস্টারগুলো খালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। প্রয়োজনে ভরাটকৃত খালগুলো প্রকল্পের অর্থায়নে পুনঃখননের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্লাস্টার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। জৈব-নিরাপত্তা এবং ই-ট্রেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে ঝঈগঋচ/উড়ঋ কর্তৃক প্রত্যায়িত এসপিএফ (ঝচঋ) পিএল, গুণগতমানের খাদ্য এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। প্রকল্প অনুমোদিত উত্তম চাষ অনুশীলন (এঅচ) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যা জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ক্লাস্টারের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদানের জন্য ক্লাস্টার নির্বাচন প্রক্রিয়া
হ ম্যাচিং গ্রান্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত ক্লাস্টারগুলো উপজেলা মৎস্য দপ্তর যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করবে।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারটি সনাতন পদ্ধতি হতে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে উন্নীত হয়েছে কিনা এবং গুড অ্যাকুয়াকালচার প্র্যাকটিস অনুসরণ করে কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রত্যয়ন প্রদান করবেন।
হ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ প্রতিটি ক্লাস্টারের জন্য ‘চিংড়ি ক্লাস্টারে ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদান সংক্রান্ত মূল্যায়ন স্কোর কার্ড’ পূরণ করবেন।
হ বিজনেস প্লান ও স্কোর কার্ডগুলো উপজেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় মূল্যায়নপূর্বক একটি অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করবেন।
হ অগ্রাধিকার তালিকাটি (প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ) জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট উপপ্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করবেন।
হ উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পভুক্ত উপজেলা হতে প্রাপ্ত তালিকাটি একীভূত করবেন, সংশ্লিষ্ট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালককে অবহিত করবেন এবং প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করবেন।
হ প্রকল্প পরিচালক আঞ্চলিক উপ-প্রকল্প পরিচালক হতে প্রাপ্ত ক্লাস্টার বিজনেস প্ল্যানগুলো গ্রান্ট ইনভেস্টমেন্ট কমিটিতে উপস্থাপন করবেন। গ্রান্ট ইনভেস্টমেন্ট কমিটি প্রাপ্ত ক্লাস্টার বিজনেস প্ল্যানগুলো পর্যালোচনা করে গ্রান্ট প্রদানের জন্য সুপারিশ করবে, যা বিশ্বব্যাংকের অনাপত্তি সাপেক্ষে মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদানের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবে।

চিংড়ি চাষিদের ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদান
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯০টি ক্লাস্টারে চিংড়ি চাষে উপকরণ সহায়তা বাবদ মোট ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা গ্রান্ট প্রদান করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ পর্যন্ত আরো ১৬১টি ক্লাস্টারকে গ্রান্ট প্রদানের জন্য মোট ৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় শর্তাদি পালন সাপেক্ষে চিংড়ি চাষিদের চাষের উপকরণ সহায়তা হিসেবে এবং পানির গুণগত মান ও রোগ-বালাই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় টেস্ট কীট, পাম্প ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য সরাসরি ক্লাস্টারের ব্যাংক হিসাবে ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চাষিদের নিজস্ব বিনিয়োগ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ এবং প্রকল্পের গ্রান্ট ঘেরের মোট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা, যা ক্লাস্টারের যৌথ মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকল্প হতে একটি চাষ মৌসুমে চিংড়ি চাষ বাবদ গ্রান্ট সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু ক্লাস্টারভুক্ত সব চাষি নিজস্ব বিনিয়োগের মাধ্যমে বা ঘূর্ণায়মান তহবিলের মাধ্যমে কমপক্ষে ৩ বছর প্রকল্পের নির্দেশিত প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করবেন। গ্রান্টের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিকভাবে চিংড়ি ক্লাস্টারের উৎপাদন কার্যক্রম মনিটরিং করছেন এবং প্রতি মাসে আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই করা হচ্ছে। চাষ মৌসুম শেষে চূড়ান্ত উৎপাদন প্রতিবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের চিংড়ি সেক্টরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক পরিবার। ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষের মাধ্যমে ক্লাস্টারভুক্ত চাষিরা ইতোমধ্যেই দ্বিগুণেরও বেশি চিংড়ি উৎপাদনে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি জৈব নিরাপত্তা এবং উত্তম চাষ অনুশীলন প্রতিপালনের মাধ্যমে রোগবালাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি, সফল চাষি হিসেবে নিজেদের দক্ষতা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে। ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষের ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চিংড়ি উৎপাদন আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট সবার অভিমত। সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি আয় ৩ গুণ বৃদ্ধি করার অঙ্গীকার রয়েছে, যা অর্জনে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী : প্রকল্প পরিচালক, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়