ঈদে সাধারণ মানুষ নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে : আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

আগের সংবাদ

চবি-রাবিতে ফিরছে কলেজ

পরের সংবাদ

রমজানের বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র মাহে রমজান মাস সংযমের মাস। মুসলমানের জন্য সংযম সিয়াম সাধনা তথা সব পাপাচার, অন্যায়-অপকর্ম থেকে বিরত থেকে আত্মিক ও নৈতিক উন্নতি ঘটানোর সুবর্ণ সুযোগ এই রমজানের রোজা। রোজা সংযমের বার্তা নিয়ে এলেও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী কারসাজি করে এই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বেপরোয়া অসংযমী হয়ে ওঠে। এতে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতিতে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। রজমানের শুরুতে আমাদের দেশে প্রায় প্রতি বছরই নিত্যপণ্যের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ করা যায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি, রমজান শুরু হওয়ার বেশ আগেভাগেই বাজারে চিনি, খেজুর, ছোলাসহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণ করেই রমজানে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়। তারই অংশ হিসেবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের আমদানি কর কমিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু এরপর প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও ভোক্তারা এর কোনো সুফল পাননি। উল্টো বাড়তে দেখা গেছে চিনি ও খেজুরের দাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে নিত্যপণ্যের সরবরাহে কোনো সংকট নেই। কিন্তু কিছু ‘অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীর একটি অংশ’ বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীদের মতে, ডলারের মূল্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে নানা জটিলতার কারণে সার্বিকভাবে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসেরই দাম বেড়ে গেছে।
সরকার ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারায় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে যে ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজারে তার প্রায় ১০টি পণ্য আগের থেকেই এই দাম রহিত আছে। বাকিগুলোতে কেজিপ্রতি ৫-৭ টাকা কমেছে মাত্র। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সহ-সভাপতি এম নাজের হোসেনের দৃষ্টিতে ব্যবসায়ে অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতার ফলে পণ্যমূল্য বাড়ছে বাজারে। অবশ্যই সরবরাহ পরিস্থিতিও মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার দিশাহারা। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রথাগত সরবরাহ প্রক্রিয়া অর্থাৎ অতিরিক্ত মজুতের মাধ্যমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট দূর করার জন্য বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে। রমজানে বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে তৎপর থাকতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির বিষয়টি নতুন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের জোরালো নজরদারি অব্যাহত রাখা জরুরি।

মো. নাছির উদ্দিন অনিক : লেখক ও উন্নয়ন কর্মী, চট্টগ্রাম।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়