গাজীপুরে দেড় কেজি হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব

পরের সংবাদ

হানড্রেড ক্লাবে ঢাকা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে গিয়েও হেরে যায় বাংলাদেশ। হারের দায়টা অনেকে বোলারদের ঘাড়েই দিয়েছেন। তবে সেদিন ব্যক্তিগত অর্জনের নতুন একটি মহাকাব্য লিখে ফেলেন দেশের অন্যতম ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। সেই ম্যাচে বল হাতে অনন্য এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের শততম উইকেট পূর্ণ করেন মিস্টার ঢাকা এক্সপ্রেস। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেদিন ৯৮ উইকেট নিয়ে মাঠে নেমে শতকপূরণের আকাক্সক্ষায় ছিলেন তিনি। লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করেন তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের অষ্টম বোলার হিসেবে শত উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। তাসকিনের আগে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাসকিন ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭২তম ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মোস্তাফিজুর রজহমান। বাঁহাতি এই পেসার ১০০ উইকেট নিয়েছেন ৫৪ ম্যাচে। দ্বিতীয় দ্রুততম আবদুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিনার ১০০ উইকেট পেয়েছেন ৬৯ ম্যাচে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি ৭৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক তাসকিনের। নিজের প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। মাঝে কিছুটা খারাপ সময় কাটলেও কঠোর পরিশ্রম করে নিজ মহিমায় ফিরে এসেছেন তাসকিন। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। একদিনের ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ারের শতকপূর্ণ করা তাসকিনের টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সংগ্রহ অর্ধশতক। সীমিত ওভারে তাসকিন বল হাতে নিয়েছেন ৫৬ উইকেট। টেস্টে তাসকিনের উইকেট ৩০টি।
২০১৪ সালে মাশরাফির ইনজুরিতে হঠাৎ তাসকিনের জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়। টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত হন তিনি এবং টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই গেøন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশি ওয়ানডে অভিষেক বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। তাসকিন ১২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে অভিষিক্ত হন এবং কেন উইলিয়ামসনকে আউট করে তার প্রথম টেস্ট উইকেট তুলে নেন।
২০১৪ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স তাসকিনকে ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াডে জায়গা করে দিয়েছিল। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন, যেটি কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরপর মেলবোর্নে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল। তিন উইকেট নিয়ে আবারো সবাইকে মুগ্ধ করেন তাসকিন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। ‘চেস্ট-বাম্প’ নামে উইকেট পাওয়ার পর তাসকিন এবং মাশরাফির মধ্যে মহাকাব্য উদযাপন ক্রিকেট কন্ট্রি ডটকম কর্তৃক বিশ্বকাপের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে মনোনীত হয়েছে। শুরু থেকেই বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে এবং ২০১৫ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে জয়ে তাসকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে জায়গা পান তাসকিন। তবে টুর্নামেন্ট চলার সময় অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বরখাস্ত করা হয়।

:: রিয়াজ উল্লাহ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়