গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

সাদা পোশাকে আস্থার প্রতীক মুমিনুল

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে আলোচনা খুব কমই হয়। শুধু টেস্ট দলে থাকেন বলে আন্তর্জাতিক সিরিজ এলেই তিনি আসেন সামনে, বাকিটা সময় থাকেন আড়ালে। তবে আড়ালে থাকতে থাকতেই সাদা পোশাকে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটারে পরিণত হয়েছেন এই লিটল মাস্টার। সম্প্রতি শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটার মুমিনুল হক প্রবেশ করেছেন ক্যারিয়ারের ৪ হাজার রানের ক্লাবে। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি ছুঁয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৪ বলে ৩৩ রান করে চার হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। এই রানে পৌঁছাতে যদিও বাকিদের তুলনায় সময়টা বেশি নিয়েছেন মুমিনুল। অভিষেকের পর থেকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে যে ধারাবাহিকতা ছিল তার, শেষ দুই বছরে তা একটু হলেও কমেছে। যে কারণে মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ১২ সেঞ্চুরি পাওয়া মুমিনুল। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শূন্য থেকে হাজার রানে পৌঁছাতে মুমিনুল শুধু ২০ ইনিংস নিয়েছিলেন। আর হাজার রান থেকে দুই হাজারে যেতে খেলেছেন ২৭ ইনিংস। পরের হাজার রানে পৌঁছাতে নেন আরো ২৯ ইনিংস। তবে এবার তিন হাজার থেকে চার হাজার রানে পৌঁছাতে তার লাগল প্রায় ৩৭ ইনিংস।
এদিকে এলিট ক্লাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলেছেন তামিম, চার হাজার রান করতে তার লেগেছিল ১০৬ ইনিংস। এরপর পরই আছেন সাকিব আল হাসান, তামিমের চেয়ে দুই ইনিংস বেশি খেলে ১০৮ ইনিংসে দেখা পান চার হাজার রানের। যেখানে সবার প্রথমে চার হাজার রান করা মুশফিকের লেগেছিল ১২২ ইনিংস সেখানে মুমিনুলের লাগল ১১৩ ইনিংস। টেস্টে মুমিনুলের অভিষেক হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে। যদিও টেস্ট অভিষেক হওয়ার আগে তার অভিষেক হয়েছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে, ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে পরে টিম ম্যানেজম্যান্ট ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির থেকে তাকে টেস্টেই বেশি প্রধান্য দিয়েছে যার ফলে ক্রমেই একজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও রঙিন পোশাকে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার হতাশা হয়ত থাকবে মুমিনুলের। অভিষেকের পর থেকেই টেস্টে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে শুরু করেন মুমিনুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে এক ইনিংস ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। পরের টেস্টেও দ্বিতীয় টেস্টেও ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। মুমিনুল প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই সিরিজের টানা দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করেন তিনি।

:: আবু রুহাব তাহবিব

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়