কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে টাইগারদের ৯ জয়

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১ জুন শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ চলবে ২৯ দিন। ২০০৭ সাল থেকে চালু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৮ ম্যাচে তাদের জয় মাত্র ৯টিতে, হার ২৮ ম্যাচে। সুপার টোয়েলভে জয় পেয়েছে মাত্র ৩টি ম্যাচে।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। সে আসরে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ২ ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। ২৭ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ আশরাফুল। এ জয়ের ফলেই সুপার এইটে ওঠার সুযোগ পায় টাইগার বাহিনী।
যদিও বিশ্বকাপের স্বপ্নের মতো শুরু পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ বাহিনী। সেখানে তিন ম্যাচেই হারে দলটি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পায়নি, যা একটু লড়াই করে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যায় স্রেফ দুই ম্যাচেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৮০ রান তাড়ায় ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে তাদের চমকে দিয়ে ৬ উইকেটে জিতে যায় আয়ারল্যান্ড!
মাত্র ১০ মাস পর অনুষ্ঠিত পরের ২০১০ আসরেও একই পরিণতি হয় বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়ায় এমনিতেও কাজটা ছিল বেশ কঠিন। ২০১২ সালে টানা তৃতীয়বার গ্রুপ পর্বেই থমকে যায় বাংলাদেশের অভিযান। শ্রীলঙ্কার এই আসরে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে পড়ে দলটি। আরো একবার বিদায় নেয় শূন্য হাতে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আসর দিয়ে বদলে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফরম্যাট। প্রথমবারের মতো অংশ নেয় ১৬ দল। আট দল সরাসরি নিশ্চিত করে সুপার এইট। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দুটি দল তাদের সঙ্গী হয়। ‘এ’ গ্রুপে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে অনায়াসে হারায় নেপালকে। তবে হংকংয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচে তালগোল পাকিয়ে আবারো গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল টাইগাররা। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে সুপার টেনে যেতে পারে তারা। কিন্তু সুপার টেনে সব ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোঁচট খেতে বসেছিল দল। তামিম ইকবালের ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। তাদের নাড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। পরের ম্যাচে ওমানকে অনায়াসে হারিয়ে সুপার টেন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। বিশ্বকাপ তো বটেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এটা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি! সুপার টেনে সেই একই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে জয়শূন্য থাকে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
২০২১ সালের বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যর্থতার একই বৃত্তে বন্দি থাকে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে পরের ম্যাচে ওমানকে হারায় ২৬ রানে। ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রাথমিক পর্বের স্বাগতিকদের ১২৭ রানে থামায় বাংলাদেশ। পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানে হারিয়ে সুপার টোয়েলভ নিশ্চিত করে তারা। সুপার টোয়েলভে সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষের কাছে বিধ্বস্ত হয় তারা। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ২টি জয় পায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ৯ রানে জয় পায় তারা। নেদারল্যান্ডসকে ১৪৪ রানের টার্গেট দেয়া বাংলাদেশ তাদের অলআউট করে ১৩৫ রানে। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তাসকিন আহমেদ।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পরবর্তী জয় পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। নাজমুল হোসেন শান্তর ৭১ রানের কল্যাণে ১৫০ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ৩ রানে জয় পায় টাইগার বাহিনী।

:: আবু রুহাব তাহবিব

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়