প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
রমজান মাসে বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইফতার ও সেহরির সময় গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হোক। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। দিন দিন বাড়ছে গরম। এর মধ্যেই সেচ মৌসুম হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই ঘাটতির মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে পারছে না পেট্রোবাংলা। ফলে রোজা ও গরমের মধ্যে পণ্যমূল্যের মতো ভোগান্তির খাতায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট যুক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা খাত-সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, বাসাবাড়ি, শিল্পকারখানা ও পরিবহনে গ্যাসের সংকট আসন্ন দিনগুলোতে আরো প্রকট হবে। ঢাকার বাইরে অনেক অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের খবর মিলেছে। খোদ রাজধানীর অনেক এলাকায় সকালে ও সন্ধ্যায় চুলা জ্বলছে না। চাপ কম থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শঙ্কা বাড়া স্বাভাবিক। এমনিতে রমজানে সেহরি, ইফতার ও তারাবির সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে চাপে থাকে বিদ্যুৎ বিভাগ। গ্যাস সংকটের কারণে এবার এই চ্যালেঞ্জ আরো বেশি মনে করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। পিডিবি সূত্রে জানা যায়, এবার রমজানে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ১৬-১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের এ চাহিদা থাকবে। এ সময় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ধরা হয়েছে ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট। অথচ গত রবিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৮৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এদিন মোট গ্যাস সরবরাহ ছিল ২৬৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ৬১ কোটি ঘনফুট পাওয়া গেছে এলএনজি থেকে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দিনে ৪২০ কোটি ঘনফুট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোড়াতালি দিয়ে সংকট নিরসন করতে গিয়ে সব ক্ষেত্রে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে রমজানে। সংকট নিরসনে রমজানে কিছু কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে। একই সঙ্গে অনেক এলাকার শিল্প-কারখানায়ও গ্যাস কমিয়ে দেয়া হবে। এতে গ্যাসের সাশ্রয় হলেও বিদ্যুৎ সংকট বাড়বে। রমজান মাসে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা এখন থেকেই নিতে হবে। সেহরি, ইফতার, তারাবিতে যেন লোডশেডিং না হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ অপচয়, অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বাড়িঘর, অফিস-আদালতে গ্যাসের ব্যবহার অপচয় মুক্ত রাখতেও আমাদের সচেতনা দরকার। সর্বোপরি, ইফতার, তারাবির নামাজ ও সেহরির সময়ে কোনোভাবেই লোডশেডিং করা যাবে না। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার পরীক্ষা করে প্রতিস্থাপন এবং স্টোরে পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমার মজুত রাখতে হবে। যেভাবেই হোক উৎপাদন বাড়িয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে এবং তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।