ডা. মোদাচ্ছের আলী : বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে

আগের সংবাদ

বাজারের আগুনে রোজার আঁচ

পরের সংবাদ

রমজান ধর্মীয় পুণ্যের, বাজার বাণিজ্যিক পণ্যের

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজান শুরু হলো। রোজা থাকা, ইবাদত-বন্দেগি করা, দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে থাকা, নানাভাবে সাহায্য করা এই মাসের অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষা। মুসলমানরা এই এক মাস রোজা থেকে দরিদ্র মানুষের কষ্ট অনুভব করার চেষ্টা করে থাকে। রোজার শেষে তাই ঈদের আনন্দ মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে থাকে। সেই আনন্দ সবাই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করারও চেষ্টা করে থাকে। আত্মীয়স্বজন এবং দরিদ্র মানুষকে টাকা-পয়সা, কাপড়-চোপড় বিলিয়ে অনেকেই আনন্দ লাভ করেন। রোজার মাসে তাই পুণ্য লাভের জন্য মুসলমানরা সিয়াম সাধনার পাশাপাশি সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করে থাকে। এসব কাজ-কর্ম ধর্মীয় দৃষ্টিতে অনেক সোয়াব বা পুণ্য লাভের সহায়ক হয়। সে কারণে রমজান শুরু হওয়ার বেশ আগ থেকে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি চলতে থাকে। এক মাস যেহেতু সিয়াম সাধনা করতে হয়, তাই ইফতার এবং রাতের খাবার যাতে পুষ্টি গুণে-মানে ভালো হয় সেই চেষ্টা সবাই যার যার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী করে থাকেন। এর ফলে মানুষের বাড়তি কিছু কেনাকাটা করতে হয়, যা বছরের অন্য মাসগুলোতে বেশির ভাগ মানুষই সাধারণত করেন না। যেমন- ছোলা, বিদেশি নানা ধরনের ফল এবং পানীয় জাতীয় পণ্যসামগ্রী কেনার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। এমনিতে দেশীয় খাবারের মধ্যে মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদি খাবারসামগ্রী কেনার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। একসময় দেশের বেশির ভাগ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত, তখন সেভাবে কেনাকাটা করার সামর্থ্যতা অনেকেরই ছিল না। তবে মানুষ হাঁস-মুরগির ডিম এবং খাল-বিল পুকুরের মাছ ধরার দিকে বেশি মনোযোগী ছিল; সেভাবেই তখন খাদ্যের চাদিহা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পূরণ করা হতো। ধনী মানুষের সংখ্যা গ্রামেও খুব বেশি ছিল না। তাই কয়েক যুগ আগে রমজানের আসা-যাওয়ার সঙ্গে খাদ্যসামগ্রী, কেনাকাটা, ঈদের বাজার করা খুব বড় ধরনের জাঁকজমক দৃশ্যমান হতো না।
কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে, ধর্মীয় এবং জাতীয় জীবনে বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে মানুষের আহার-বিহার, কেনাকাটা এবং উৎসব পালনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আসতে থাকে। মানুষ বিষয়গুলোকে আর্থিক সক্ষমতায় পালন করার চেষ্টা করতে থাকে। এর ফলে আমাদের গ্রামীণ এবং শহুরে জীবনে অনেক পরিবর্তনও আসতে থাকে। মানুষের আয়-উপার্জন যত বৃদ্ধি পেতে থাকে তত তাদের জীবন উন্নত এবং সম্প্রসারিত হতে থাকে। এখন গ্রাম-গঞ্জেও নিয়মিত ব্যবসা-বাণিজ্য চলার মতো বাজার গড়ে উঠছে। লাখ লাখ মানুষ নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আয়-উপার্জনের উপায় হিসেবে গ্রহণ করেছে। বলা হয়ে থাকে দেশে ৫০-৬০ লাখ ছোট-বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন। এসব ব্যবসার সঙ্গে অসংখ্য মানুষ যুক্ত আছেন। সুতরাং দুই-তিন দশক আগের আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গে বর্তমানের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না- এটি নিশ্চিত। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীর বাইরে বেশির ভাগ মানুষই বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিজসম্পদ ও ব্যক্তিগত নানা ধরনের পেশা এবং পণ্যসামগ্রী উৎপাদন বিপণনের সঙ্গে রয়েছে। ফলে ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ এখন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উল্লম্ফনের মধ্যে রয়েছে। জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে মানুষের আর্থসামাজিক সক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তত মানুষ তার সক্ষমতা অনুযায়ী সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে যার যার মতো করে দেখা, বোঝা এবং পালন করার চেষ্টা করে থাকেন। আমাদের দেশে মুসলমানদের দুটি বড় ধর্মীয় বিষয় রয়েছে, যার একটি হচ্ছে মাসব্যাপী রমজান পালন করা এবং ঈদের উৎসব উদযাপন করা। অন্যটি হচ্ছে ঈদুল আজহা তথা কুরবানি করা। এসব ধর্মীয় বিধিবিধানের সঙ্গে মানুষের পুণ্যতা লাভের আকাক্সক্ষা ও চেষ্টা গভীরভাবে জড়িত রয়েছে। মুসলমানরা এর মধ্যে পুণ্য লাভের জন্য যেসব নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলো পালন করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে বেশির ভাগ মানুষেরই সক্ষমতা আগের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে, তাই রোজার মতো মাসব্যাপী ধর্মীয় নিয়ম পালন করার ক্ষেত্রে সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা ও ভোগ্যপণ্য সামগ্রীর চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে থাকে। এর একটি অর্থনৈতিক দিক থাকায় বাজার ব্যবস্থা চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের নিয়মানুযায়ী রমজান মাস একটি বিশেষ অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থার চাহিদা পূরণ করছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা রমজান উপলক্ষে ক্রেতা সাধারণের ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এর ফলে ছোট, মাঝারি, বড় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীই এই এক মাস আয়-উপার্জনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকেন। এভাবেই বাংলাদেশে রমজান উপলক্ষে বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হচ্ছে। বহু মানুষ বিশেষ এই মাসে বিশেষ বিশেষ চাদিহা সামগ্রী বিক্রি করে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। যে কারণে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রমজান একটি বড় অনুষঙ্গ, এর সঙ্গে ঈদ পণ্যসামগ্রী কেনাবেচার জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ। প্রতি বছর এই সময়ে লাখ কোটি টাকার সঞ্চালন ঘটে থাকে। অন্য উৎসবগুলোতেও একটা মোটা অঙ্কের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। সেটি এমনকি বাংলা নববর্ষ কিংবা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা উপলক্ষেও ঘটে থাকে। আকার আয়তনে হয়তো অন্য ধর্মীয় উৎসবগুলোতে কেনাবেচার পরিমাণ রমজান ও ঈদুল ফিতরের চেয়ে অনেক কম হয়ে থাকে। রমজান যেহেতু একটি পূর্ণ মাসব্যাপী অবস্থান করে এবং রমজান শেষে ঈদের উৎসবটিও থাকে মানুষের নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা এবং নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার মতো একটি জাতীয় গমনাগমনের বিস্তৃত বিষয়, তাই আমাদের বাজার ব্যবস্থায় এর একটি বড় ধরনের প্রভাব ক্রমেই আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এমনকি ধনিক শ্রেণির একটি বিরাট অংশ এই উপলক্ষে বিদেশে কেনাকাটা করতে যায়, বেড়াতেও যায়। ফলে রমজান উপলক্ষে আমাদের দেশে বাড়-বাড়ন্ত বাজার ব্যবস্থা অংশীজনদের নানা উদ্যোগ, আয়োজন, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে বৈচিত্র্যমণ্ডিত হয়ে উঠেছে। এখন রমজান উপলক্ষে বাজারে নানা ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে এখানে বাজার নিজস্ব নিয়ম-অনিয়মে বেড়ে উঠছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠছে না। এর কারণ হচ্ছে আমাদের উঠতি বণিক এবং ছোট, মাঝারি, বড় ব্যবসায়ী রমজানের বাজার ব্যবস্থাকে তাদের বাড়তি অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ হিসাবে দেখছেন। অথচ বাইরের দুনিয়ায় ধর্মীয় কিংবা জাতীয় উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ব্যাপক মানুষের পণ্য ক্রয়ের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাপক মূল্য ছাড় দিয়ে থাকেন। তাতে ক্রেতারা হ্রাসকৃত মূল্যে বছরের প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই কেনার সুযোগ পেয়ে থাকেন, কিনেও থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশ বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে পণ্যের মূল্য ছাড়ের সংস্কৃতি নেই, যারা অন্য দেশকে অনুসরণ করে ছাড় দিয়ে থাকেন তারাও ছাড় মূল্যের মধ্যে নানা রকম অপকৌশল অবলম্বন করে থাকেন। এসব কারণে প্রতিবারই রমজান উপলক্ষে বাজার পণ্যে ভোরে গেলেও মূল্য থাকে অস্বাভাবিক, নানা অজুহাত, কালোহাত, ডানহাত, বামহাত, মজুতদারি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি ঘটিয়ে ক্রেতা সাধারণের পকেট কাটার নানা রকম ফন্দিফিকির করতে দেখা যায়।
এ বছর ডলার সংকট আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দামের ওঠানামা, আমদানির ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, বিভিন্ন পণ্য প্রতিবেশী দেশ রপ্তানি না করার অজুহাতে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের একটি বিরাট অংশ বেশ আগে থেকে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। বাজারে আজ একটি পণ্যের দাম বাড়ে তো কাল অন্যটি প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়িয়ে তুলছে। রোজা উপলক্ষে সরকার আমদানিকৃত বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও বাজারে সেসবের প্রভাব খুব বেশি পড়ছে না। একই বাজারে ছোলা, খেজুর, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্যসামগ্রীর দাম দোকানে দোকানে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। আগের বছরগুলোর চেয়ে এ বছর রমজানে ব্যবহৃত পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের মনিটরিং টিম বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করতে গিয়ে এসব অনিয়মের বহু নজির তুলে আনছে। কিন্তু তাতেও খুব বেশি কাজে আসছে না। আসলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত সেটি প্রমাণিত হচ্ছে। রমজানে ধর্মীয়ভাবে সততা, ন্যায় এবং মানুষকে সেবা দেয়ার মাধ্যমে যে পুণ্য লাভের যে শিক্ষা রয়েছে তার ছিটে-ফোঁটাও যেন বৃহত্তর বাজারের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীসহ অনেকেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, নানা প্রতিশ্রæতি আদায় করছেন, কিন্তু বাজারে সেই সব প্রতিশ্রæতির প্রতিফলন এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের নানাভাবে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু সেটিরও কোনো প্রভাবে দেখা যাচ্ছে না। সরকার তাই টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে বেশ কিছু পণ্য ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ এই রমজানে উপকৃত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, টিসিবি এবং ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বেশ কিছু জায়গায় গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিম, দুধ, মাছ, ভোজ্যতেল, খেজুর, চাল, ডাল, ব্রয়লার মুরগি, চিনি, পেঁয়াজ ইত্যাদি ন্যায্য মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। রমজানব্যাপী এই উদ্যোগ ঢাকা শহরে ছড়িয়ে দেয়া গেলে এর সুফল নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও লাভ করতে পারবে। ঢাকার বাইরের শহরগুলোতেও যদি এটি কার্যকর হয় তাহলে সামগ্রিক বাজার অব্যবস্থাপনা বেশ চাপের মুখে পড়তে বাধ্য হবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসায়িকে ভারত থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করারও আহ্বান জানান। ভারত থেকে গরু, খাসি ক্রয়ের উদ্যোগ না নিলে মাংসের মূল্য এবার সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার সম্ভাবনা নাও ঘটতে পারে। দেশের বড়, মাঝারি, ছোট সব স্তরের ব্যবসায়ীর মধ্যেই ভোক্তাদের পকেট কাটার প্রবণতা রয়েছে। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীর নামে বাজারে ও পথেঘাটে অনেক হাত-বেহাতের কারসাজি রয়েছে, চাঁদাবাজিও রয়েছে। এদের নির্মূল এবং আইনের কাছে সোপর্দ করা জরুরি বিষয়। সরকার এখন যে উদ্যোগটি নিচ্ছে সেটিকে মাঝপথে যেন থামিয়ে না দেয় বরং যতক্ষণ পর্যন্ত বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটিকে অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। এই রমজানের পুণ্য অর্জনের বোধ হয়, এটিই একমাত্র উপায় হতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়