দেয়ালচাপা পড়ে শ্রমিক নিহত

আগের সংবাদ

জাপানযাত্রা ঠেকালেন মন্ত্রী

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনা : চিন্তায় গণমানুষের প্রতিবেশী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ১:০২ পূর্বাহ্ণ

সময়ের সঙ্গে নেতৃত্ব উঠে আসে। অন্ধকার উড়িয়ে দেয়, ছড়িয়ে পড়ে আলো। সে আলো সবার হাতে শোভিত হয় না। সত্য-নিষ্ঠা-ধ্যান-জ্ঞান-গুণ এবং মনমানসিতা ঊর্ধ্বমুখী হলে নির্ভীক ভাবনা ভর করে। সাহস ও পরোয়াহীন মনন জেগে ওঠে। আলোকিত হয় সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি এবং ফল ভোগ করে গণমানুষ। তাদের মনের কথা বোঝে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার দেয়, তাদের মুঠো খাবারের সন্ধানে সৃজন কর্মে লেগে থাকে। বড় বেশি ভালোবাসে মাটি ও মানুষ। সৌভাগ্য বাঙালি জাতির পিতার পর পীড়িত ও স্খলিত জনগণের পাশে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। যিনি তৃণমূল মানুষের নেতা হয়ে উঠলেন। পিতার পরিচয়কে ছাপিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে মানুষের হৃদয়মণি হয়ে উঠলেন। নেতৃত্বের ক্ষেত্র সাজাতে চিন্তাশীলতার উপযোগী ভাব। তা দেখা মেলে তার সৃজনশীল লেখালেখিতে- তিনি রাজনীতিক, তাই মানুষের কথা ভাবতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবনা রোপিত করেন তার রাজনৈতিক প্রবন্ধ রচনায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এসেছিল স্বাধীনতা, তিনি উপহার দিলেন ঝরঝরে দেশের। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন এমন নেতার শূন্যতা ছিল। তিনি পূর্ণতার অভিভাবক এবং সময়ের ভাষ্যকার।
গণমানুষের মনের কথক তিনি। কাজে নিখুঁতজন এবং মমতাময়ী; কিন্তু নেতৃত্বে ছাড়হীন। যা জনগণ এবং দেশের ঊর্ধ্বমুখিতায় সচেতনী স্বভাব বলা চলে। ভাষা সহজ-সরল এবং মিহি জ্যোৎস্নার মতো আলোকিত। যাতে আছে গণমানুষের পেট ও পিঠের কথা। মাটি ও মমতার যোগনিমন্ত্রণ। বিন্দু বিন্দু থেকে সিন্ধু পথের ইশারা। নিচ থেকে উপরে ওঠার সিঁড়ি। ভালোবাসেন জনতা, মাতৃভাষা ও দেশ। মনে যা লেখাও তা তাই প্রকাশে রয়েছে অন্তমিল। ‘ভালোবাসি মাতৃভাষা’ প্রবন্ধে তিনি মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা এবং ভাষাকে টিকিয়ে রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অন্যভাষার প্রতি বিরোধ নেই; কিন্তু মাতৃভাষা গবেষণা ও চর্চায় নিবেদিত। বর্ণনা এরকম- ‘বাংলাদেশে আমরা মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করব। এই গবেষণা কেন্দ্রে পৃথিবীর সব মাতৃভাষা সংগ্রহ করা হবে। মাতৃভাষা উৎকর্ষ সাধনে গবেষণা করা হবে। বিভিন্ন ভাষা শিক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হবে। বাংলাদেশের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পৃথিবীর ১৮৮টা দেশ এখন থেকে মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। এই দিবস পালনকালে বাংলাদেশের ভাষা শহীদ রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউর, সালামের কথা স্মরণ করবে।’ বাংলা ভাষা পৃথিবীর ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক এবং গণমানুষের ভাষা। এ ভাষার স্থান সপ্তম। বঙ্গবন্ধু বাঙালির মনকে অনুধাবন করে নেতৃত্ব প্রদান করে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় প্রথম ভাষণ দেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাই এ ভাষাকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। ভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। তিনিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এদেশের মানুষের প্রয়োজন দেখছেন। বিশ্ব যখন অবাধ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাঙালি কেন পিছিয়ে থাকবে? মনোবল এবং দায়বোধের কারণে ভাষাকে বিকশিত ও সমুন্নত রাখতে যতœবান হয়েছেন।
সত্যে বিশ্বাসী ও আপসহীন তিনি। সত্যকে ধ্যান মনে করার অনুপ্রেরণাও বংশগত। যেখানে জাতির পিতা জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের কথা চিন্তা করে পাশে ছিলেন। পরাধীন থাকলে কখনো মানুষ নিজের পায়ে ভর করতে পারে না। আত্মনির্ভর বা স্বাধীন না হলে প্রাণের বিকাশ ঘটে না। বাঙালি প্রাণের বিকাশ ঘটেছে, তাই মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পেয়েছে। রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা লাভ করেছে। তিনি মনে করেন বাঙালির মধ্যে সাড়া জাগাতে হবে। তাই দৃঢ় মনোবল ছিল। রাজনীতির নানা জটিলতার পীড়ন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে হাল মুঠোবন্দি করেছেন। বিচিত্র মানুষ স্বার্থ ও মোহে আচ্ছন্ন। বিশ্বাসঘাতক দালাল এবং সুযোগসন্ধানীদের হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন, তাই হয়তো চলমান রাষ্ট্রিক চিন্তায় খুব ধীরেসুস্থে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যে গভীর দেশপ্রেম বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল তা বৃক্ষজাত হয়েছে তার মানসিক দক্ষতায়। মানুষের কথা ভেবে তিনি স্থির ও দুর্বার। প্রকৃত অপ্রকৃত চেনার নিপুণতা প্রখর। সেরকম ধারণা পাওয়া যায় ‘সত্যের জয়’ প্রবন্ধে- ‘বড় বিচিত্র আমাদের ভূখণ্ড! একদিকে যেমন আত্মত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত, আবার অপরদিকে রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতায় কলঙ্কিত মোনাফেক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। কিছু কিছু পদলেহনকারী সারমেয় শ্রেণি পরাজয়ের জ্বালা ভুলতে পারেনি। এদের প্রভুদের বাংলার দামাল ছেলেরা যে গাবুরে মার দিয়ে পরাজিত করে, বাংলার পবিত্র মাটি থেকে বিতাড়িত করেছিল সে কথা তারা ভোলেনি। তাই ঘাপটি মেরে বন্ধু সেজে বা মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে থেকেছে, প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেনি এরা। শুধু ঘটনাচক্রে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ভান দেখিয়েছে। আর তলে তলে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করেছে। অপেক্ষা করেছে সুযোগের। এরা বাংলাদেশের শত্রæ বাঙালির প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ।’ (পৃ: ১৫১, সত্যের জয়, নির্বাচিত প্রবন্ধে) তুখোড় ভাবনা তার। কথা বলায় রয়েছে স্পষ্টভঙ্গি। কাউকে তোষামোদ করার মানসিকতা নেই। যা মনে বিশ্বাস করেন রাখঢাকহীনভাবে পেশ করেন। তিনি দায়িত্বে অটুট জবাবদিহি ও সত্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় মিথ্যার ওপর ক্ষেপণ হয়েছে তিনি তাতে সত্য সুন্দর ও গতিময়তায় উপনীত হয়েছেন। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সংস্কৃতি ছিল তা থেকে রক্ষা করেছেন। এখন বাঙালি বলিষ্ঠ জাতি। মেপে কথা বলতে হবে। হুমকি-ধমকিকে ডর নেই। দেশের সর্বপ্রান্তে উন্নয়নের জোয়ার এবং স্পর্শতর। প্রান্ত থেকে প্রান্তরে শোঁ শাঁ করে পথ চলে। কিছু অসাধু দলের ভেতরে বা বাইরে আছে, যাদের কেউ কেউ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে। তাদের ব্যাপারে তিনি সজাগ। তারপরও তিনি মনে করেন জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে। লুটেরা দোসর ত্রাসী এরা সংঘবদ্ধ। খেয়াল রাখা আপামর জনগণের দায়িত্বও বটে। তিনি মনে করেন বিবেকবানরাই দেশের রক্ষাকর্তা। ধ্যানে দেশ মননে জনগণ স্বপ্নে সোনার বাংলা, বাস্তবায়নে রূপকল্পনা গ্রহণ করছেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান তিনি। নানা ঘাত-প্রতিঘাত দেখেছেন। রাজনীতিকে মনেপ্রাণে নিয়ে সম্পৃক্ত হয়েছেন নানাবিধ কর্মকাণ্ডে। রাজনীতি করার আগে রাজনীতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার না হলে মানবিক বিরোধ থেকে যাবে। মানুষের জন্য রাজনীতি তাই উদ্দেশ্য মহৎ হওয়া চাই। আমাদের দেশে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজনীতিতে প্রবেশ করে। অর্থের জোরে হুট করে নেতাও বনে যায়। স্বার্থের কারণে আসে এবং ছোটাছুটি করে। কিন্তু তিনি রাজনীতির স্বতন্ত্রপ্রাণ। তার জন্ম রাজনীতি পরিবারে, শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যে সময়গুলো কেটেছে বাবার অপূর্ণতায়। কারণ তিনি দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বারবার জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। নিজ চোখে দেখা মানুষটির মধ্যে তা নিহিত তাই কাজে অন্তঃপ্রাণ। দেশের অগ্রগতির অন্তরায় কালো টাকার প্রভাব। রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। দুর্নীতি, কালোবাজারি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অবাধে বেড়ে যায়। যাতে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় উঠতি জনগণ। তিনি তা পূর্বেই অনুধাবন করেছেন। সে চিন্তা দেখি- ‘রাজনীতি, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, কালো টাকার প্রভাব ইত্যাদি বিষয় আজ আলোচনায় উঠে এসেছে দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আনন্দিত। এর পেছনে একটা কারণও আছে। যে কথাটা আজ একত্রিশ বছর পর সবাই উপলব্ধি করলেন সে কথাটা কিন্তু পঁয়ত্রিশ বছর পূর্বেই জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন।’ (পৃ: ১৬২ প্লিজ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলুন, নির্বাচিত প্রবন্ধ)।
মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ তিনি। বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যা করে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু সেটা ছিল মিথ্যাচার ও অপপ্রচার। বরং তাদের ইচ্ছাই ছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল। তাই তারা সুবিধার মুকুর দিয়ে বারবার জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। কিন্তু সত্য কখনো লুকানো থাকে না; নাভি ছিঁড়েও বেরিয়ে আসে। দরকার হয় উপযুক্ত সময়ের। গণমানুষের নেত্রী মহৎ চিন্তা ও দেশপ্রেম নিয়ে তৃণমূল মানুষের ম্যান্ডেট নিলেন এবং পথ চললেন। রাজনীতি যখন গণমানুষের জন্য তাহলে কাদের কথা আগে গণমানুষ না আঁটি মানুষ? রাজনৈতিক দূরদর্শিতা থাকায় সুবিধাবাদী মানুষকে চেনা সহজ হয়। তা রপ্ত করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা তো জানা- ইঁদুর ও দস্যু চিহ্নিত করতে পারলে কাজে গতি আসে। রাজনৈতিক দস্যুদের কব্জা করতে পারায় মনোবল সুসংহত হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের পর বাংলাদেশের পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন; কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুুর অর্থনীতি, অন্যদিকে দেশীয় আন্তর্জাতিক চক্রের ঘূর্ণন তাঁকে আহত করেছে। তিনি নির্ভীক ছিলেন, বুকে মায়া ছিল মাটি ও মানুষের। তাই ফুরফুরে ছিলেন। সে কারণে অপেক্ষমাণ এবং সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করে। সে চালনাগোষ্ঠী গণমানুষের নেত্রীকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করছে। এখনো স্বার্থবাদী, সুবিধাভোগী গোষ্ঠী চারপাশে হুড়হুড় করছে বা ঘাপটি মেরে বসে আছে। নেত্রীকে সজাগ এবং চারপাশ আগাছামুক্ত রাখতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্ব বেশি প্রয়োজন।
দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভরসার প্রতিনিধি। আস্থা আলাদা অনুভূতি, যা অর্জন করতে হয় তিনি তা অনায়াসে পেরেছেন। সে অর্জনটা কিন্তু কাজ নীতি-নৈতিকতা ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। এবং বাস্তবমুখী বিষয় রিয়ালাইজড করার দক্ষতা থাকা চাই, তাতে তিনি সফল ও অকুতোভয়। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সেবা ও অর্থনীতিকে ঊর্ধ্বমুখীকরণে প্রকল্প প্রণয়ন গ্রহণ বাস্তবায়ন ও নির্দেশনা প্রদানে তিনি সচেতন। দুর্যোগ, মহামারি ও বড় রোগ দুর্নীতি এসব লোক সম্পর্কে মানুষ জানত না প্রযুক্তি ও ইন্টালিজেন্ট চোসের কারণে সহজেই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এসবের শেকড় যদি উপড়ানো যায় তাহলে অগ্রগতি আরো সহজ ও স্বাভাবিক হতো। এক্ষেত্রে যে সাহস ও উদ্যামতা দরকার তা তিনি লালন করেন; কিন্তু পেটুক ও স্বার্থমোদীদের ছোবল কিছুটা বিব্রত করে। এদের নাড়ি টেনে ধরে এগিয়ে যেতে হবে। এ ভরসা জনগণের, দায়-দায়িত্বের ভার নেয়া মানসিকতা ও সাহসের ব্যাপার। তিনি এক্ষেত্রে নির্ভীক ও সাহসিক। কারণ সমাজের অধিকাংশ মানুষের কথা ভাবেন তিনি- ‘সমাজের অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত। জীবনের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে পারে না। শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বঞ্চিত একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই থেকে। বঞ্চিত কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে। আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত সরল ও উদার। তাদের চাহিদা খুব বেশি না, অল্পতে তারা তুষ্ট তবুও কেন তারা বঞ্চিত থাকবে? কেউ যদি বেশি পরিমাণে দখল করে তাহলে অন্য কেউ বঞ্চিত হয়। তার ভাগে কম পড়ে। কাজেই সম্পদের সুষম বণ্টন প্রয়োজন কেউ খাবে কেউ খাবে না- তা হবে না।’
ভার্চুয়াল সময়ের পর্যবেক্ষক তিনি। প্রজন্ম বিকাশে সময়ের সঙ্গে নেটওয়ার্ক, আউটসোর্সিং অ্যাপস ও বৈশ্বিক ম্যাথড এসেছে। তিনি সময়কে ধারণ করে প্রজন্মের চাহিদা বুঝে উদ্যোগী হয়েছেন। আশা ও ভরসা ছিল। স্বল্প সময়ে নানাধর্মী কেস স্ট্যাডি করে ইকোনমিক উদ্যোক্তা বাড়ানো। সীমাবদ্ধতার জায়গা পরিচ্ছন্ন করে স্বাবলম্বী করানো। তাতে অনেকটা ফলাফল ডিজার্ভ হয়েছে; কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অবনতিও হয়েছে। সে দায় ব্যক্তির নিজের কারণ ভালোর লক্ষ্যে খারাপের মিশ্রণ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়; স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যেতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে; শিল্প-সংস্কৃতি, বইপড়া ও পাঠাগার, মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধাবোধ, অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী মানবসম্পদ, জার্নাল প্রকাশ, সাহিত্য জগৎ প্রসার ও গবেষণা। এসবের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল ভার্সন কাজে লাগিয়ে বিশেষ কাজ করা যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঠিক কর্মদক্ষতার অভাবে গুটিয়ে আছে। দীর্ঘদিন রুগ্ন হয়ে আছে সরকারি-বেসরকারি পাঠাগার। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়গুলো অনেকের নজরে এসেছে। সময়ের সঙ্গে বিকল্প উপায় খুঁজে নিতে হবে- এটা সময়ের আবদার। তিনি নিবেদিত তাই জনগণের আশাও বেশি।
রাজনীতি ও লেখালেখি দুটোতে তিনি সমান্তরাল এবং সংসার ধর্মিতায় মানবীয়। তা জানি বিভিন্ন ছবি ও কথা এবং ভাষণ শুনে। এই তো কিছুদিন আগে ছোট মেয়েটির ফোনের আবদার রেখে কথা বললেন। এমন রাষ্ট্রপ্রধান বাঙালি পাবে কি? বড় আফসোস- ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না।’ রাষ্ট্রিক দায়িত্বে থেকেও এসবে হাত রাখছেন এটি অসাধারণ ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ভালো মা, ভালো নেত্রী এবং ভালো অভিভাবক। আরেকটি গুণ চমকিত করে ধীসম্পন্ন ও চিন্তাশীলতা। এ চিন্তা গণমানুষের কল্যাণ-মঙ্গল ও মসৃণ পথ দেখিয়ে দেয়ার জন্য। পূর্ব থেকে তা লব্ধ করেছেন তাই তো দেখি, রাজনীতিতে সঠিক প্রয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন লেখালেখির মাধ্যমে, সে ভাবনা তার প্রাবন্ধিক চিন্তায়। পরিষ্কার ভাষায় বলতে পারি- তিনি চিন্তায় গণমানুষের প্রতিবেশী।

শাহমুব জুয়েল, কবি ও লেখক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়