পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত দুই লাইন প্রত্যাহারের আহ্বান চুন্নুর

আগের সংবাদ

চাঁদাবাজির লাইসেন্স ‘ইজারা’

পরের সংবাদ

দাবা এলো যেভাবে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন খেলা দাবার ইতিহাস বৈচিত্র্যময়। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ভারতবর্ষে শুরু হয়েছিল দাবা খেলা। ষষ্ঠ শতাব্দীর আগেই ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় খেলাটির উৎপত্তি। লোককথা অনুযায়ী, লঙ্কেশ্বরী মন্দোদরী রাবণকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার জন্য এই খেলার সূচনা করেন। তবে আধুনিক দাবার জনক উইলহেম স্টেইনিজ। ইতিহাস বলে, দাবার মতো এক ধরনের খেলার সন্ধান পাওয়া যায় প্রাচীন মিসরে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার অব্দে, সেই খেলার নাম ছিল শতরঞ্জ। তবে ভারতবর্ষে চতুরঙ্গ নামে দাবা খেলা শুরু হয় ষষ্ঠ শতাব্দীর আগেই, তখনো গুপ্ত সাম্রাজ্য বিরাজমান। সেই সময় দাবাকে চতুরঙ্গ বলার কারণ খেলাটিতে হাতি, ঘোড়া, রথ ও সৈন্য- এই চারটি অংশ ছিল। চতুর শব্দ থেকে এই ‘চতু’ আগত বলে অনেকে ধারণা করেন, যার অর্থ বুদ্ধিমান। তবে এর গ্রহণযোগ্য অর্থ হলো চার থেকে চতু এবং দিক থেকে অঙ্গ যোগে চতুরঙ্গ- অর্থাৎ চারদিকে গমনযোগ্য। প্রাচীনকালে দাবায় ছিল চারটি অংশ- হাতি, ঘোড়া, রথ ও পদাতিক সৈন্য। সেই থেকেও এই নামের উদ্ভব বলে মনে করা হয়। ভারত থেকে সময়ের পরিক্রমায় খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে ইরানে। এরপর দাবা খেলার চর্চা শুরু হয় দক্ষিণ ইউরোপে। আধুনিক দাবার শুরু সেখানেই। সে সময় পারস্যের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বেশ জমজমাট। পারস্যের বণিকরা খেলাটি দেখেন এবং বেশ পছন্দ করে ফেলেন। তারা নিজ উৎসাহে খেলাটি শিখে ফেলেন। পরে পারস্যে এই খেলার কিছুটা উন্নতি হয়। চতুরঙ্গ নামটা বদলে সেটি হয়ে ওঠে শতরঞ্জ। খ্রিস্টীয় দশম থেকে ১২ শতকে পারস্যে সালাউদ্দিনের শাসনামলে ইউরোপের ক্রুসেডাররা জেরুজালেম রক্ষার জন্য দলে দলে ভিড় জমান পারস্যে।

:: কাগজ ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়