সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম : স্রাইন কমিটির নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা

আগের সংবাদ

গৃহযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ মিয়ানমার

পরের সংবাদ

দুয়ারে বসন্ত!

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শহরে কি বসন্ত বাতাস বয়? ফুলে ফুলে প্রজাপতির ওড়াউড়ি কি চোখে পড়ে? শহুরে প্রকৃতির বেলায় হয়তো না। তবে নাগরিক বসনে ঠিকই টের পাবেন, দুয়ারে বসন্ত। আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। গানের কথার মতো ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’। গাছে গাছে, আড়ালে আড়ালে, কোণে কোণে ফুটতে শুরু করেছে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ, হলুদ গাঁদা ফুল। বসন্তবরণে সবাই নানা নকশার পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে। সবার কথা মাথায় রেখেই সাজ সাজ রবে সেজে উঠেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। কদিন বাদেই বাঙালি মেতে উঠবে বসন্ত বরণে!

নাজমুল হক ইমন

বসন্তে প্রকৃতি যেমন ফুলেল উৎসবে মেতে ওঠে, তেমনি উৎসবপ্রিয় বাঙালি বসন্তের প্রথম দিনটি উদযাপন করে বাহারি রঙের সাজপোশাকে। বসন্ত যে এসে গেছে, তার প্রকাশ যেন সাজপোশাকেই ঘটে। তবে বসন্ত এলেও ঘরে কিংবা অফিসের কর্মব্যস্ততা থেকে তো আর রেহাই নেই। তাই বলে কি উদযাপন হবে না। নিজের পছন্দের পোশাক বসন্তের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যেতেই পারে।
পাতাঝরা শুষ্ক শীতের শেষে আসে রঙে রঙিন বসন্ত। চারদিকে নতুন পাতা আর ফুলের সমাহার। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় কোনো এক গাছের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা কোকিলের কুহু ডাক। বসন্ত আসেই যেন আমাদের হৃদয়ে অকারণ খুশির দোলা দিতে। যেদিকে চোখ যায় যেন রঙের ছটা। পহেলা ফাল্গুনে বাঙালি মুখিয়ে থাকে দিনটি উদযাপনের জন্য। আমাদের দেশে উৎসবের পোশাক মানে শাড়ি আর পাঞ্জাবি। এমন দিনটি তো আসলে উৎসবে মেতে ওঠার। তরুণীদের মধ্যে আবার কেউ কেউ সালোয়ার কামিজ বা কুর্তি বেছে নেন উৎসব বরণে। এসময় টায় যুগলবন্দি পোশাক থাকে চলতি ফ্যাশনে চাহিদায় এগিয়ে। বাড়ির ছোট শিশু বা কিশোর কিশোরীদের জন্যও হলুদ রঙের পোশাক কেনা হয়। তবে, দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোতে বসন্ত সংগ্রহে মূল রং হিসেবে হলুদ, গোল্ডেন হলুদ, প্যারোট গ্রিন, পেস্ট, নীল, ম্যাজেন্টা, লাল, সাদা, পিচ, মিন্ট, কমলা, লেমন হলুদ ও অলিভ ব্যবহার করা হয়েছে।
বসন্তের পোশাক আয়োজন নিয়ে অঞ্জন’সের শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় নির্দিষ্ট মোটিফ নিয়ে বেশি কাজ করে থাকলেও এবার ফুলের নকশাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। বসন্তে শাড়ি পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন অনেকে। শাড়ি পাঞ্জাবিতে উৎসবের রং হিসেবে হলুদ, বাসন্তীর সঙ্গে কমলা, সবুজ, জলপাই রংগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’
শাহীন আহমেদ বলেন, ছেলেরা অন্য সময় ফুলেল মোটিফ এড়িয়ে চললেও এ সময়ে বেশ পছন্দ করে। পাঞ্জাবিতেও জায়গা করে নিয়েছে ফুলেল নকশা। এ ছাড়া শাড়ি, পাঞ্জাবিতে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারির কাজও আছে। পোশাকগুলো সুতি কাপড়েই তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু লিনেন এবং সুতি সিল্কে তৈরি।
বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেসবুক থেকে তথ্য নিয়ে দেখা গেছে নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে ফুল, লতাপাতার বাহার। শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা। আবার কোথাও কবিতা বা গানের লাইন এঁকে সুতি, লিনেন, তাঁত ইত্যাদি কাপড়ের শাড়িতে আনা হয়েছে বাংলা প্রকৃতির আদল। ওড়না, কামিজ-সালোয়ারেও রয়েছে রং, নকশার খেলা। এবারে কিছু কিছু কামিজের ঝুলে নকশা কম থাকলেও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে এমব্রয়ডারি বা হাতে করা সুতার কাজের নকশা।

পোশাক ও ছবি : অঞ্জন’স

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়