ঢাকার জিনজিরা : বিয়ের পরদিনই বরের মৃত্যু

আগের সংবাদ

তৃণমূলে কোন্দল বাড়ার শঙ্কা

পরের সংবাদ

‘কাজ করলে আলোচনা-সমালোচনা সবই থাকবে’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিনের বিরতি কাটিয়ে ফের পর্দায় ফিরেছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ। স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসারে ব্যস্ততার পর আবারো ফিরছেন অভিনয়ে। সম্প্রতি প্রথমবার মুনতাহা বৃত্তার চিত্রনাট্য ও আলোক হাসান পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘ত্রিভুজ’-এ অভিনয় করছেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে সেটে তার সমসাময়িক কাজ, ব্যস্ততা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা হয় ভোরের কাগজের সঙ্গে।
সাক্ষাৎকার : কুদরত উল্লাহ

কেমন আছেন আপনি?
এইতো বেশ ভালো আছি। ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ে আছি।

দীর্ঘ একটা জার্নি, এরপর ব্রেক নিলেন। এখন আবার কাজে নিয়মিত হয়েছেন। একটু কি নতুন মনে হচ্ছে নিজেকে?
আসলে নাচের মাধ্যমে আমার খুব অল্প বয়সেই মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়। আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত যারা আমাকে শখ নামে চেনে, তাদের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবার দোয়ায় আমি অলরেডি একটা জায়গা ক্রিয়েট করে ফেলেছি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, কেউ কারো জায়গা কখনো নিতে পারে না। দর্শক এখনো আমাকে আগের মতোই ভালোবাসে। এটাই আমার পাওয়া। হ্যাঁ, আমার একটা ব্রেক ছিল, আমি নতুন করে কাজে ফিরেছি। তার মানে এই নয় যে, আমার কাজের জায়গা কমে গেছে। আমার জায়গাতে থেকে আমি আবারো কাজে নিয়মিত হয়েছি।

ব্যক্তিগত জীবন কেমন যাচ্ছে?
অনেক ভালো যাচ্ছে। আমি আসলে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মিডিয়ার সামনে খুব বেশি একটা কথা বলতে চাই না এবং পছন্দও করি না। কাজ নিয়েই মূলত কথা বলতে পছন্দ করি। তারপরও আপনি যেহেতু বলেই ফেলেছেন, তাই বলছি- বেশ ভালো আছি আমার ফ্যামেলি-বাচ্চা সবাইকে নিয়ে।

বিরতির আগের শখ, আর এখন যে শখ- এর মধ্যে কোনো তফাৎ খুঁজে পেয়েছেন?
আমি আগে সিঙ্গেল একটা মেয়ে ছিলাম। খুব ছোট একজন মানুষ ছিলাম। আমি অনেক তাড়াতাড়ি মিডিয়াতে কাজ করা শুরু করেছি। আমার মনে হয় ক্লাস এইট থেকে কাজ শুরু করি। আর এখন আমি একজন পুরোপুরি নারী, একজন মা। তাই বলতে গেলে আমার মধ্যে এখন পূর্ণতা এসেছে। আমি আর আগের সেই বাচ্চা শখ নেই। এটা আমার কাছে মনে হয় অনেক বড় একটা পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া বলতে গেলে শেখার কোনো শেষ নেই, আমি এখনো শিখছি।

অভিনয়ের জন্য এখন খুব বেশি একটা গ্রুমিং হয় না। আপনার ক্ষেত্রেও কি এটা ঘটে?
নাচের সঙ্গে আমার সংযোগ ছোটবেলা থেকেই। তাই আমার কাছে মনে হয় অভিনয়ের সঙ্গে নাচের একটা ব্যাপার আছে। তাছাড়া এখন কোনো কিছু অভিনয়ের আগেই চাই গল্প ও স্ক্রিপ্ট আগে আসুক। তারপর একটু পড়াশোনা করি। এরপর চরিত্র ধারণ করে শুটিংয়ে যাই।

অভিনেত্রী শখ আর ব্যক্তিজীবনে শখ কেমন?
(হাহাহা) শখ একটা শখ, আমি খুব সিম্পল একটা মেয়ে। খুব মিশুক একজন মানুষ। কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক। সেধে গিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলি না তো, তাই অনেকের ধারণা আমার মধ্যে অহংকার আছে। কিন্তু যারা মিশেছে তারা জানে আমি অহংকারী নই।

বর্তমান সময়ে তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশির ভাগ সেলিব্রিটি ব্যক্তিজীবন কিংবা তিক্ততার কথা বলে দেয়। এই বিষয়টা কীভাবে দেখছেন আপনি?
আমাদের প্রত্যেকটা শিল্পীরই উচিত কাজ নিয়ে দর্শক কিংবা ভক্তদের সঙ্গে কথা বলা। ব্যক্তিজীবনটা এর বাইরে রাখা প্রয়োজন। হ্যাঁ, কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে যেটা হয়তো সময়ের প্রয়োজনে উত্তর দেয়া যায়। তবে নিজ থেকে এমন কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই, যেটা আসলে খুব বেশি দরকার নেই। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দও করি না। এমনকি প্রশ্রয়ও দিই না। বাট আমি যদিও কাউকে ছোট করে বলছি না। তবে এটাই হওয়া উচিত সব শিল্পীর ক্ষেত্রে।

আপনার কাজ কিংবা ব্যক্তিজীবন নিয়ে যদি ট্রল হয়
তখন নিজেকে মানিয়ে নেন কীভাবে?
কাজ করলে আলোচনা-সমালোচনা সবই থাকবে। তা গ্রহণ করার মানসিকতাও থাকতে হবে। এসব নিয়ে আমি কখনো পাত্তা দিইনি। কারো পছন্দ-অপছন্দ থাকতেই পারে। এটা যার যার স্বাধীনতা। এখানে আমার করার কিছু নেই।

আপনার অভিনীত এটা প্রথম ওয়েব ফিল্ম। এর গল্প ও চরিত্র নিয়ে কিছু বলুন…
আমি খুবই উত্তেজিত। প্রথম ওয়েব ফিল্মে এত সুন্দর একটা চরিত্রে অভিনয় করছি। গল্পটাও সুন্দর। ‘ত্রিভুজ’ নামের এই ওয়েব ফিল্মে আমার চরিত্রের নাম মিথিলা। সে একজন করপোরেট নারী। তার অনেক ধরনের ক্রাইসিস আছে। যা আসলে অনেককেই বলতে পারে না। আবার অনেক সমস্যার সমাধানও করতে হয় নিজে নিজেই। এরকমই একজন মেয়ে মিথিলা। যাকে দেখা যাবে পর্দায়।

ধরে নিলাম নতুন একটা জার্নি শুরু হলো আপনার। ভক্ত কিংবা দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলুন…
সবাই ভালোবেসে যাবেন। এভাবেই দোয়া করবেন, সাপোর্ট দেবেন। যেন আরো ভালো ভালো কাজ দিতে পারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়