যাত্রী কল্যাণ সমিতি : লক্করঝক্কর বাস উচ্ছেদ করে ৫ হাজার উন্নত বাস নামান

আগের সংবাদ

সমন্বয়হীনতার খেসারত : দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভিন্ন অবস্থানে আটকে আছে তিন শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ > নতুন শিক্ষাক্রম

পরের সংবাদ

মতবিনিময় সভায় বক্তারা : পলিসি তৈরিতে যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ক্ষমতায়নের জন্য যুবসমাজকে অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি যুবপলিসি তৈরি ও পাঠ্যপুস্তকে নতুন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার সময় তাদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে মূল ধারায় যুবদের অংশ নেয়া ও আগ্রহ বাড়াতে হবে। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ের এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর হল রুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর আয়োজিত ‘যুবদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন।
ডেমক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজেদ ফিরোজ ও স্বাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রূপান্তরের অপর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণ জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং আস্থা অ্যালায়েন্সের কর্মকর্তারা।
এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সবার আগে যুবদের তাদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞাত হতে হবে। পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহণ ও চেতনায় সমৃদ্ধ করে তাদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের মূলধারায় অংশ নেয়া বাড়াতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, যুব পলিসি তৈরি ও পাঠ্যপুস্তকে নতুন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার সময় যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে তাদের শেখার আগ্রত বিকশিত হবে। চাকরির ক্ষেত্রে যুবরা বিশেষ করে প্রান্তিক যুবরা অনেক পিছিয়ে আছে, এদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম যুবদের তৈরি করতে হবে। অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম বলেন, তরুণদের বেশি বেশি সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা দরকার।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার বলেন, আইসিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একত্রে কাজ করলে যুবদের চাকরিক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের তরুণ ফোরামের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তুললেই তরুণদের অধিকার বাস্তবায়ন সহজ হবে। এনজিওবিষয়ক বুরে‌্যার পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মূল পরিকল্পনা হলো- কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যে কোনো ধর্ম, গোত্র ও সম্প্রদায়ের যুবরা এই প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। এছাড়া আস্থা প্রকল্প একজন যুবককে দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়