শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের অভিনন্দন

আগের সংবাদ

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা

পরের সংবাদ

লেনিনের মৃত্যুশতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অক্টোবর বিপ্লবের রূপকার ভøাদিমির ইলিচ উইলিয়ানভ (১৮৭০-১৯২৪)। লেনিন তার প্রকৃত নাম নয়। ছদ্মনাম। লেনিন নামেই তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাত। ভলগা নদীর তীরবর্তী সিমবির্স্ক শহরে ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল লেনিন সম্ভ্রান্ত ও অবস্থাপন্ন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং সরকারি স্কুলের পরিদর্শক। কর্মজীবনে তার পিতা প্রশাসনের উচ্চপদ মর্যাদায়ও আসীন হয়েছিলেন। লেনিনের মাতা ছিলেন বিত্তবান এক জার্মান ডাক্তারের মেয়ে। অর্থাৎ লেনিন একটি সুবিধাভোগী শ্রেণির প্রতিনিধি হয়েও বঞ্চিত-নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সম্পূর্ণ শ্রেণিচ্যুত হয়ে।
জার শাসনের বিশাল রাশিয়া ছিল সমগ্র বিশ্বের ছয় ভাগের এক ভাগ ভূখণ্ডের সাম্রাজ্যের অধীন। একদিকে জার স্বৈরতন্ত্র, সামন্তবাদী শোষণ অপরদিকে শিল্প-সাহিত্যের খ্যাতিমান লিও টলস্তয়, দস্তয়ভস্কির দেশ রাশিয়া। ইউরোপের আধুনিক সংস্কৃতির অন্যতম সংগীতজ্ঞ চাইকোভস্কিও রাশিয়ান। জার সম্রাটের নিষ্ঠুর শাসনে অতিষ্ঠ তরুণদের মধ্যে বিপ্লবাকাক্সক্ষার সৃষ্টি হয়। ১৮৬০ সালে দাস প্রথা কাগজে-কলমে রদ হলেও, বাস্তবে সামন্ত শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ঠ ছিল রাশিয়ার সমষ্টিগত সাধারণ মানুষ। তরুণদের মধ্যে জার শাসন অবসানে সশস্ত্র পন্থা অবলম্বনের সূত্রপাত ঘটে। ১৩ মার্চ ১৮৬০ সালে তরুণ বিপ্লবীদের বোমায় জার আলেকজান্ডার-২ নিজ রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গের শ্বেত প্রাসাদে নিহত হয়।
লেনিনের পিতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮৮৬ সালে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৮৭ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে লেনিনের জীবনে ঘটে এক সকরুণ ঘটনা। সেই ঘটনাই লেনিনকে পুরোমাত্রায় পাল্টে দেয়। পাল্টে দেয় তার চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি। জার সম্রাট আলেকজান্ডারের হত্যার অভিযোগে লেনিনের বড় ভাই আলেকজান্ডার উইলিয়ানভ গ্রেপ্তার হন। সেন্ট পিটার্সবার্গের বোমা হামলায় অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের সঙ্গে লেনিনের বড় ভাই আলেকজান্ডার যুক্ত ছিলেন। বিচারে নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা এবং ক্ষমা ভিক্ষা অস্বীকার করে আদালতে লেনিন ভ্রাতা আলেকজান্ডার বলেন, ‘আমি মনে করি দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুধু সম্ভব তাই নয়, এটা অনিবার্য। বিপ্লবের কারণে আমি মৃত্যুবরণে ভীত নই।’ ২০ মার্চ তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। বড় ভাইয়ের এই আত্মদানই লেনিনকে বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বছর ভর্তি হন লেনিন এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।
পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় লেনিন কার্ল মার্কসের অর্থনীতি, দর্শন, রাজনৈতিক মতাদর্শ একাগ্রচিত্তে পাঠ করেন। রাশিয়ান ভাষায় প্লেখানভের অনুবাদের মাধ্যমে তরুণ বিপ্লবীরা মার্কসীয় দর্শন ও মতবাদের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৮৯৩ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে লেনিন বিভিন্ন মার্কসবাদীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৮৯৫ সালে লিগ অব স্ট্রাগল গঠন করে বিপ্লবকে সংহত করতে চেষ্টা করেন। ওই উদ্দেশে বিদেশ যেতে চাইলেও সরকারি অনুমতি পাচ্ছিলেন না। তবে হঠাৎ করেই সে সুযোগ আসে। প্লেখানভের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটে জেনেভাতে। মত প্রচারে ‘রাবোদনিক’ পত্রিকা প্রকাশের আলোচনা হয়। লাফার্গ, লিবনেখট প্রমুখ মার্কসবাদীদের সঙ্গে লেনিনের পরিচয় হয়। লেনিন দেশে ফিরে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৮৯৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৮৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটানা কারাবাসের পর লেনিনকে তিন বছরের জন্য সাইবেরিয়াতে নির্বাসনে পাঠানো হয়। নির্বাসনে থাকার সময়ে লেনিন “The Development of Capitalism in Russia” এবং “The Tasks of the Russian Social Democats” বই দুটি রচনা করে নারদনিক মতবাদ ও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যকার অর্থনীতিবাদকে প্রত্যাখ্যানে যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। ১৯০০ সালে নির্বাসন থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরে এসে ‘ইস্ক্রা’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯০৩ সালে দ্বিতীয় কংগ্রেসে পার্টির মধ্যকার বলশেভিক ও মেনশেভিক ধারার সৃষ্টি হয়। ব্রাসেলসে শুরু হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পরে দ্বিতীয় কংগ্রেস লন্ডনে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু হয়। লেনিনের বিখ্যাত বই ‘ওয়ান স্টেপ ফরোয়ার্ড, টু স্টেপ ব্যাক’ প্রকাশিত হয়। বাকুতে তেলখনির শ্রমিক ধর্মঘটে মালিক পক্ষের দাবি মেনে নেয়া। সেন্ট পিটার্সবার্গের সর্ববৃহৎ কারখানা পুটিলভে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বৃহৎ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং সেটা দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
৯ জানুয়ারি ১৯০৫ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জারের শ্বেতপ্রাসাদ অভিযানকালে নিরস্ত্র শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায় জারের সশস্ত্র বাহিনী। এতে শতাধিক শ্রমিক নিহত এবং অগণিত শ্রমিক আহত হয়। ইতিহাসে এই দিনটি ‘রক্তাক্ত কালো রবিবার’ নামে অভিহিত। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। চতুর্দিকে শ্রমিক ধর্মঘট বিস্তার লাভ করে। জুন মাসে পটেমকিন যুদ্ধজাহাজ জার সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং শ্রমিকদের পক্ষ গ্রহণ করে। ১৯০৫ সালে বিপ্লবের এই সূচনা বাস্তবে জয়ী হতে পারেনি।
পার্টির পঞ্চম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনে ১৯০৭ সালে। জার সম্রাটের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়িয়ে গোপনে সুইজারল্যান্ডে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ১৯০৮ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে প্যারিস চলে আসেন। বিজ্ঞানী মাখের দর্শনে প্রভাবিত কতিপয় বলশেভিক ও মেনশেভিক বুদ্ধিজীবী কার্ল মার্কসের মতবাদের ওপর অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এই ভ্রান্ত ধারণার বিরুদ্ধে লেনিন অনেক নোট লিখে প্রচার করেন এবং এই বিভ্রান্তকারীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকাশ করেন তার বিখ্যাত বই ‘Materialism and Empirio-Criticism : Critical Comments on a Reactionary Philosoply’
প্রাগে অনুষ্ঠিত পার্টির ষষ্ঠ কনফারেন্সে ১৯১২ সালে মেনশেভিকদের বহিষ্কার করে পার্টির নতুন নামকরণ করা হয়, ‘রাশিয়ান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক লেবার পার্টি (বলশেভিক)।’ এ বছরই লেনিন অস্ট্রিয়ার অধীন পোল্যান্ডের ক্রাকাওতে চলে যান। সেখানেও তার পক্ষে থাকা সম্ভব হয়নি। ঠিকানা বদল করে পোরোনিন নামক পোলিশ গ্রামে আশ্রয় নেন।
প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালের আগস্টে। লেনিন তখন আশ্রয় নেন সুইজারল্যান্ডে। এই যুদ্ধে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকে শ্রমিক-মেহনতি শ্রেণির ভূমিকা নিয়ে অপরাপর দেশের কমিউনিস্টদের সঙ্গে লেনিনের মতবিরোধ প্রবল হয়ে পড়ে। স্বাদেশিকতার নামে সাম্রাজ্যবাদীদের এই যুদ্ধে এক দেশের শ্রমিক অপর দেশের শ্রমিকের ওপর গুলি চালাবে। লেনিন ছিলেন আত্মঘাতী এই প্রবণতার প্রবল বিরোধী। সব দেশের শ্রমিক শ্রেণির মানুষের প্রতি তার ছিল অভিন্ন নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি।
লেনিনকে বলশেভিক এবং অন্যরা ‘অতিমানব’ জ্ঞান করলেও লেনিন কখনো এসব ব্যক্তি-স্তুতিকে সমর্থন করেননি। তার প্রকৃত পরিচয় একজন মতাদর্শিক রাজনৈতিক প্রতিভাসম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ। যিনি সমাজ ও সময়কে বাস্তবতার নিরিখে বুঝতে পারতেন। অসাধারণ বাগ্মী ও তীক্ষèধারার বিচক্ষণ বক্তা। যুক্তিবাদী লেনিন আবেগ, উচ্ছ¡াস, উত্তেজনার বিপরীতে ছিলেন ধীরস্থির, সহিষ্ণু প্রকৃত এক সংগ্রামী মানুষ। আদর্শিক রাজনৈতিক প্রশ্নে তিনি অনমনীয়, আপসহীন, অবিচল এবং কৌশলী এক সংগ্রামী জননেতা। অসাধারণ তার ব্যক্তিত্বপ্রভাব, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মশক্তি। এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘শাণিত, ক্ষুরধার তার বুদ্ধি, আশ্চর্য প্রখর তার মন।’
৮ মার্চ ১৯১৭ সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে চরম শ্রমিক বিদ্রোহ শুরু হয়। জার নিকোলাস-২ সিংহাসন চ্যুত হয় এবং প্রভিশনাল সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। লেনিন এপ্রিল মাসে জার্মানি থেকে রাশিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে বিখ্যাত এপ্রিল থিসিস ঘোষণা করেন। যার মর্মকথা, কোনোরকম বিলম্ব না করে অনতিবিলম্বে বুর্জোয়াশ্রেণির প্রভিশনাল সরকার উৎখাত করে বিপ্লব সংঘটিত করা। শ্রমিক-কৃষক এবং সৈনিকরা সম্মিলিতভাবে সোভিয়েতগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করতে হবে। প্রভিশনাল সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সোভিয়েতগুলোকে ভেঙে বলশেভিকদের নিশ্চিহ্ন করতে। লেনিন আত্মগোপনে চলে যান। ২৪ জুলাই কোরেনেস্কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নতুন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭ নভেম্বর ১৯১৭ বলশেভিকরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, লেনিনের নেতৃত্বে। সম্পন্ন হয় অক্টোবর বিপ্লব। ডিসেম্বরে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের বুর্জোয়াদের গঠিত হোয়াইট গার্ড ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী দেশ বিপ্লব পরাস্ত করতে নিজেদের সৈন্য প্রেরণ করে গৃহযুদ্ধের সূচনা করে।
১৯১৮ সালে জার্মানির সঙ্গে ব্রেস্ট-লিটভস্ক চুক্তিতে সোভিয়েত সরকার এবং জার্মানির যুদ্ধ স্থগিত হয়। ৩০ আগস্ট একটি শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গাড়িতে ওঠার মুহূর্তে আততায়ী এক নারীর গুলিবর্ষণে লেনিন মারাত্মক আহত হন। লেনিন গার্ড রেজিমেন্ট নিয়ে চলাচল করতেন না। তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী একমাত্র গাড়িচালক। যিনি দ্রুত লেনিনকে নিয়ে বাসায় আসেন। বাসায়ই চলে তার চিকিৎসা। লেনিনের দেহে দুটি গুলি অনেক দিন পর্যন্ত ছিল। শেষে এই গুলির বিষক্রিয়ায় মাথাব্যথার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। তার কণ্ঠাস্থিতে থাকা একটি গুলি বের করা হয়। গুলিবিদ্ধ লেনিন তারপরও তীব্র মানসিক শক্তিতে নতুন রাষ্ট্রের সবকিছু সামাল দিয়েছেন। পরপর তিনবার পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেন। শরীর অসাড় হয়ে যায়। ২১ জানুয়ারি ১৯২৪ মহান এই বিপ্লবীর জীবনাবসান ঘটে। ইতিহাসের কিংবদন্তি মহানায়ক বিপ্লবী লেনিন নতুন রাষ্ট্র গঠনের কাজে যথেষ্ট সময় পাননি। বিপ্লবের মাত্র কয়েক বছর পরই তার মৃত্যু হয়।
বিপ্লব-পরবর্তী লেনিনের বেঁচে থাকা সোভিয়েত রাষ্ট্রের জন্য ছিল অপরিহার্য। লেনিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেও গঠন প্রক্রিয়ায় নগণ্য সময় যুক্ত থাকতে পেরেছেন। এটি সোভিয়েত রাষ্ট্রের জন্য কেবল নয়- বিশ্বের অগণিত নিপীড়িত-মেহনতিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যও ছিল চরম আঘাততুল্য। লেনিনের উত্তরসূরি যোসেফ স্টালিন নতুন রাষ্ট্রটিকে বহুদূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ক্ষমতা চলে যায় পার্টি আমলাতন্ত্রের হাতে। পার্টি আমলাতন্ত্র সাধারণ আমলাতন্ত্র থেকেও ভয়ংকর। কেননা তার আচ্ছাদন মতাদর্শের আবরণে। নিকিতা ক্রুশ্চেভের শাসনামল থেকে বিচ্যুতির শুরু এবং শেষ পরিণতি হয় গর্ভাচেভের হাতে।
তবে বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, রাষ্ট্রগঠন কিন্তু লোপ পায়নি, বিশ্বের সর্বত্র বিপ্লবীদের সরব আন্দোলন-সংগ্রাম প্রমাণ করে বিপ্লবের মৃত্যু নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে বিপ্লবের সম্পর্ক মোটেও প্রাসঙ্গিক নয় এবং বিপ্লবের অনিবার্যতাকে সোভিয়েতের পতন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন করেনি বরং বিপ্লবের তাৎপর্যকে উজ্জ্বল করেছে। ১৯৩০ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাশিয়া ভ্রমণ করে বিস্ময়াভিভূত কবি রাশিয়ার চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাশিয়া এসেছি- না হলে এ জন্মের তীর্থদর্শন অত্যন্ত অসমাপ্ত থাকত।’

মযহারুল ইসলাম বাবলা : নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়