আইনমন্ত্রী : জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ৬৪৮ এমপির কথা বলা হচ্ছে

আগের সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনের আগেই বিবাদ মেটাতে চায় আ.লীগ : ভোটের কোন্দল

পরের সংবাদ

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রমজানের আগে যে কোনো মূল্যে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে- এমন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাজার নিয়ে অস্থিরতা গত ২ বছর ধরে চলছে। সরকারেরও এবার ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে বাজার ব্যবস্থা। আমরা চাই বাজার সিন্ডিকেট এবার কঠোর হস্তে দমন হোক। বাজার নিয়ে সরকারের নানা কার্যক্রমেরও বাস্তবায়ন হোক। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বাজারে কারসাজির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বারবার। তৎপরতাও খানিকটা লক্ষণীয়। যে কোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি কমানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা পেয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সরকারের যে সদিচ্ছা, তা বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত বাজার তদারকির কাজ করতে হবে। তবেই সরকার সফল হবে। দেখা যাচ্ছে, রোজা শুরু হতে আরো প্রায় ২ মাস বাকি। এর মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে রমজানের আগেই খেজুর, চিনি, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, বেসন, মুড়ি, ছোলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি বছর রোজা আসার আগ থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে রেকর্ড দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত ১৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে আমদানি করা এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বড় থেকে ছোট ব্যবসায়ী সবার প্রবণতা এ সময় বেশি লাভ তুলে নেয়ার। তবে এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলার সংকট। এই কারণে নিত্যপণ্য আমদানি বিল পরিশোধে দেরি হচ্ছে আর এলসি খোলায় জটিলতাও দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। দেশে এ বছর আমনের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই, তারপরও চড়ছে চালের দাম। এছাড়া রসুন, মসুর ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, জিরা, লবঙ্গ ইত্যাদি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্য এসব তৎপরতা প্রতি বছরই দেখা যায়। রমজানে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকা এবং যে কোনো মূল্যে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘোষণা দেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরও রমজানের আগে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি এবং ডলার সংকটের কারণে এবার সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কাজেই রোজা শুরুর আগেই যাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কৌশল বাস্তবায়ন করতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে এখন থেকেই। সর্বোপরি অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সরকার কঠোরভাবে দমন ছাড়া উপায় নেই। বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিতে না পারলে কোনোভাবেই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হবে না। কাজেই সরকারকে মূল ভূমিকা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়