উখিয়ায় ঘর থেকে বের করে রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা

আগের সংবাদ

বিভাজন রুখতে তৎপর কেন্দ্র : আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

সময়টাই উচ্ছলতার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাজমুল হক ইমন

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শরীর ও মনে নানা পরিবর্তন ঘটে। এ সময় তারা দ্রুত বেড়ে উঠতে থাকে। তাদের চিন্তা-ভাবনায়ও অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। যদিও বলা হয় টিনএজ, অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের ফ্যাশনধারার ব্যাপ্তি এখন দুনিয়াজুড়ে। তবে এ বয়সের আসল সৌন্দর্য তাদের উচ্ছলতা। তাদের পোশাকআশাকেও ফুটে ওঠে সহজাত উচ্ছলতা। এ সময়টায় মুড সুইং বা মন খারাপ, মেজাজ হারানো দ্রুত ওঠানামা করে। রাগ, দুঃখ ও আনন্দের অনুভূতিগুলো তীব্র হয়। এই হাসি তো এই মন খারাপ। এ সময় কিশোরীদের দরকার নিজের যতœ নেওয়া।

বয়সটাই এমন
রঙিন চশমা চোখে পৃথিবী দেখার সময়টাও রঙিন। ইচ্ছা হলেই ডানা মেলে দূরে হারিয়ে যাওয়ার বাসনা এ বয়সেই পূর্ণতা পেতে শুরু করে। নিজেকে নতুন করে সাজানোর চিন্তাধারাও এ বয়সেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নিজের জীবনসহ পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আত্মপরিচয় গড়ে উঠতে শুরু করে। কী পরবে, কী খাবে, কাদের সঙ্গে মিশবে-এসব বিষয়ে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। এ সময় মেয়েদের হরমোনাল কারণে আবেগের প্রকাশ তীব্র হতে শুরু করে। কৈশোরে বিষন্নতা, উদ্বেগ, রাগ, নিজের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা, আত্মহত্যা প্রবণতা, মানুষের সাথে মেলামেশায় অস্বস্তি, নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
একই সাথে আবার উল্টো অতি আত্মবিশ্বাসী ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে অনেকে। সে বড় হয়ে গেছে এমন ধারণা থেকে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
এই কারণে এই বয়সে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তার বেড়ে উঠাতে প্রয়োজন সঠিক যতœ। মনে রাখতে হবে, এই বয়সে ঘনঘন মুড সুইং হয়। এ জন্য নিয়মিত মনের যতœ নিতে হবে। যে কাজে মন ভালো থাকে সে কাজে বেশি সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

হাসিখুশি থাকা
কিশোরী বয়সে প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি থাকাটা খুব জরুরি। এ বয়সের প্রাণচাঞ্চল্য তাদের ভেতরের সৃজনশীলতা বিকাশে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এ সময় পরিবার থেকেও সৃজনশীলতা বিকাশে তাদের সহায়তা করা খুব জরুরি। নাচ, গান ও আবৃত্তি শেখা, নিজের শখ লালন করাসহ পছন্দের নানা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে।

উজ্জ্বল ত্বক
এই বয়সে পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকতে হয়। ঘোরাঘুরিও হয় বন্ধুদের সঙ্গে। বাইরের ধুলাময়লা ত্বকে নানা প্রভাব ফেলে। এ জন্য এ সময় ত্বকের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। দাগহীন সুস্থ, সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বক কে না চায়। কম বয়সে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারালে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। এসব দিক মাথায় রেখে ত্বক ও চুলের যতœ নিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেই ত্বকের বেশির ভাগ সমস্যা মিটে যায়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান, ত্বক ময়েশ্চারাইজ রাখা, রোদে গেলে ছাতা ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের বড় সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

স্বাস্থ্যকর জীবনধারা
ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস হতেই পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা-বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে। অনিয়ম নয়। রাত জাগা না। বারবার মুখ ধোয়া, ময়েশ্চারাইজার আবশ্যক। কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুতে পারেন রোজ দুবার করে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। ঘুমের আগে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার, সিরাম লাগিয়ে নেওয়া ভালো।

পুষ্টিকর খাবার
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভেতরকার পরিবর্তনের ছাপ পড়ে ত্বকের ওপরে। ফলে স্বাভাবিক সমস্যা রূপ নেয় বলিরেখায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মেছতা এবং হারিয়ে যেতে থাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পরিমিত পুষ্টি, নিয়মিত যতœ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম। সঠিক খাবার ত্বকের বাহ্যিক সমস্যা কমিয়ে আনে অনেকটাই। এমন কিছু খাবার আছে, যা থেকে আপনার ত্বক পুষ্টি পাবে, উজ্জ্বলতা পাবে। প্রতিদিন যেসব খাবার খাওয়া হয়, তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রঙের সবজি, টকজাতীয় খাবার, পরিষ্কার পানীয়, প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড বেশ কার্যকর।

ঘুরে বেড়ানো
মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে এই বয়সে ঘোরাঘুরি দারুণ উপকার বয়ে আনবে। ভ্রমণে দূরে কোথাও যেতে হবে এমন নয়। ছুটির দিনে জাদুঘর, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় ঘুরতে গেলে জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। বিখ্যাত খাবার খাওয়ার জন্যও শহরের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ানো যায়। বড়দেরও ছোটদের ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া দরকার। মনে রাখতে হবে, ঘুরতে যাওয়া যেন ছোটদের মানসিক চাপ না হয়ে যায়।

নিয়মিত সঞ্চয়কে ব্যবহার করুন
সারা বছরের সঞ্চয়কে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলে তাতে পরিণত করুন। বাড়তি আয় সব সময় দারুণ সব সুযোগ তৈরি করে কিন্তু। সঞ্চয়কে বিনিয়োগে পরিবর্তন করতে আপনার শিক্ষক কিংবা পরিবারের পরামর্শ নিতে পারেন।

মডেল : আনশা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়