উখিয়ায় ঘর থেকে বের করে রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা

আগের সংবাদ

বিভাজন রুখতে তৎপর কেন্দ্র : আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

মেহেরপুরে সূর্যমুখীর সৌন্দর্যে মজেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : সবুজ গাছে হলুদ সূর্যমুখী, দুধারে নারিকেল গাছের সারি। হলুদ আর সবুজ মিলে প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে হাজারো মানুষ। কেউ করছেন পিকনিক, কেউ তুলছেন ছবি আবার কেউ দুচোখ মেলে উপভোগ করছেন অপার সৌন্দর্য। বলছিলাম, মেহেরপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের ধারে আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারের কথা।
এই খামারে বিভিন্ন সবজীর বীজ উৎপাদনের জন্য ফসল চাষ করা হলেও সূর্যমুখীর বেলায় সেটির ভিন্নমাত্রা যোগ। জানুয়ারির শুরুতেই সূর্যমুখী ফুল ফুটলেই সেখানে ছুটে আসেন হাজারো দর্শনার্থী।
বিএডিসির আওতাধীন আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে চলতি মৌসুমে দুটি প্লটে ৭ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে কর্তৃপক্ষ। বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষ করা হলেও ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতিপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে খামারটি। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছে খামারে।
শনিবার সরকারি ছুটির দিন আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সি মানুষ ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ করছেন ভিডিও, পরিবার নিয়ে কেউ ঘুরে দেখছেন পুরো এলাকা। টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এসেছেন তার পরিবার নিয়ে, কথা হলো তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, এত বড় সূর্যমুখীর বাগান মেহেরপুর বা আশপাশের কোনো জেলায় নেই। ফুল ফুটেছে গাছে, এটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। পরিবার সঙ্গে নিয়ে এসেছি, সঙ্গে রান্না করার সরঞ্জামও এনেছি। দিনব্যাপী থাকব।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের হামিম, নাসির, তুহিন, শিলা, মরিয়মসহ ১৮ জন বন্ধু এসেছেন বেড়াতে। তারা জানান, ফেসবুক দেখে এখানে আসার প্লান করেছিলাম। আমরা বন্ধুরা মিলে এসেছি। ফেসবুকে যা দেখেছে বাস্তবে তার চাইতেও অনেক সুন্দর।
দর্শনার্থীদের সমাগমের কারণে সেখানে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট, আছে ফুসকা, চটপটি ও চায়ের দোকান। সেই সঙ্গে আছেন পেশাদার ফটোগ্রাফারও। আপনি চাইলে আপনার সুন্দর ছবি তুলে দেবেন তারা।
খামারের পাহারাদার আমিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয় এই ফুল বাগান দেখতে। ৫ জন পাহারায় থেকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফুল ফোটার শুরু থেকেই বিভিন্ন বয়সি নারী পুরুষের সমাগম হয়। বিভিন্ন বয়সি নারী পুরুষ এখানে আসেন এক চিলতে বিনোদনের জন্য। অনেক সময় ক্ষেতের ভেতরে ঢুকে সেলফি ও ছবি তোলার কারণে ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও বিনোদনের জন্য এখানে আসায় কিছুটা সহ্য করতে হচ্ছে।
মেহেরপুর আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারের উপসহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার জানান, সূর্যমুখীর এই বীজ শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং বিদেশেও এই বীজ রপ্তানি হয়। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিনোদনের জায়গা কম থাকায় এই বাগানটিতে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে দর্শনার্থীদের। এখানে এসে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সূর্যমুখী চাষে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়