মার্কিন চার সিনেটরের বিবৃতি : সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান

আগের সংবাদ

প্রাধান্য পাবে আর্থ-কূটনীতি

পরের সংবাদ

সরকারের তিন অগ্রাধিকার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি : অভিজ্ঞদের রেখেই নতুন নেতৃত্বের প্রাধান্য দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনে চমক দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা প্রতিকূলতায় নির্বাচন শেষ করাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জে চমৎকারভাবে উতরে গেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনী বৈতরণী পার হলেও প্রথম ১০০ দিনে নানামুখী চাপ সামাল দিতে হবে সরকারকে। এক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ; ডলার সংকট, শেয়ারবাজার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেবে নতুন সরকার। সেই সঙ্গে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, রোহিঙ্গা সংকট, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, গণতন্ত্রচর্চা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রæতির ১১ দফা বাস্তবায়নে কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার।
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির ভোট বর্জন ঘোষণার মধ্যেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের অগ্নিপরীক্ষায় সফলভাবে উর্ত্তীণ হয়েছে আওয়ামী লীগ। দুই দিনের মাথায় বুধবার শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। ওইদিনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভার। বৃহস্পতিবার শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করার সময় জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগের টানা জয়ের ফলে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আবারো অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এর আগে চারবার সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম কমানো, দুর্নীতি বন্ধ করা, বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ চ্যালেঞ্জগুলোকে আওয়ামী লীগের নতুন সরকার মোকাবিলা করেই এগোতে পারবে।
এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান ভোরের কাগজকে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নই মূল টার্গেট। ইশতেহারের ১১ দফা ধরে বাস্তবায়নের কৌশল নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব : স্মার্ট বাংলাদেশ ইশতেহারে প্রথম অঙ্গীকার হিসেবে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেছে আওয়ামী

লীগ। প্রথম একশ দিনে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাই সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রীরা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভোরের কাগজকে বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সরকারকে এগিয়ে যেতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণ স্বস্তিতে নেই। সরকারেরও প্রধান অগ্রাধিকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। তিনি বলেন, সংসদের ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ সামাল দিতে হবে সরকারকে। এর মধ্যে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের দ্রব্যমূল্যসহ সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেয়া হয়নি। দ্রব্যমূল্য ও মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে চাপের মধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া আহসানুল ইসলাম টিটুকে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে তিনি কতটা সক্ষম হবেন- এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লেখক-সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত ভোরের কাগজকে বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। মার্চ মাস থেকে রমজান শুরু হবে। খাদ্যপণ্যের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ার পেছনে কারণ বাজারব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা। আমাদের দেশের একটা প্রবণতা হচ্ছে রমজান শুরুর এক দেড় মাস আগে থেকেই মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেয়া হয়নি। একজন প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়েছে। সরকারকে প্রথমেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টি দিতে হবে।
অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, সরকারকে প্রথমেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরে জনজীবনকে একটা স্বস্তির মধ্যে আনা সরকারের দায়িত্ব। এছাড়া ‘দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া’- প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি পালনে সরকার প্রথম দিন থেকেই পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার উপকমিটির এই সদস্য।
এদিকে কেউ যেন কারসাজি করতে না পারে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকব- মন্তব্য করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রবিবার আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যাব। এরপর সবার সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকার ঠিক করা হবে। একটা বিষয় নিশ্চিত করতে পারি, দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো কৃত্রিম সংকট থাকবে না। তিনি বলেন, ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। কারণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হলে কারসাজি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। বিশেষ করে, তেল ও চিনির বড় বড় সরবরাহকারী হিসেবে যারা আছেন, তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখা : পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, তা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে। জুলাই-আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ শতাংশের উপর। গত দেড় বছরে টাকার তুলনায় ডলারের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি। রিজার্ভ সংকট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের সব রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৩ সালে। বিশ্লেষকদের মতে, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নি¤œমুখী প্রবণতা, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম, অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতিকে একটা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এরকম পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারই নতুন সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। এই তিনটি খাতে বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, তার প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা অত সহজ কাজ নয়। তবে আমাদের একটা বিশ্বাস আছে, আজকে যে এই সংকট অতিক্রম করে একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি, এটা শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের জন্য সম্ভব হয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দক্ষতা, দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন এবং সংকটে রূপান্তরের রূপকের ভূমিকা পালন করেছেন, সে কারণেই মূলত আমরা সাহস রাখি, আশা রাখি।
অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পরই শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বাড়ে। এর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। সাব্বির আহমেদ বলেন, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রæতি। সরকারের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ- ডলার সংকট, টাকার দর নির্ধারণ এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ একটা অবস্থান নেয়। ফলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এমন পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো গঠিত নবনির্বাচিত সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ সব রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোসহ প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছিল। অর্থাৎ বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে তারা সবাই গিয়েছিল।
আর রাজনৈতিক-কূটনৈতিক দিক থেকে সরকার ফুরফুরেই রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অজয় দাশগুপ্ত বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্বাচনে বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। এটি সরকারের সফলতা। এছাড়া সরকারের বিপক্ষে শক্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার সক্ষমতা বিএনপির নেই। অন্যদিকে কূটনীতিতেও সফল সরকার। বিশ্বের প্রায় সব দেশই ইতোমধ্যে সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যিনি পেয়েছেন, তিনি এর আগেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি এবারের মন্ত্রিসভায়ও রয়েছেন। সবাই মিলে আন্তর্জাতিক অঙ্গন খুব ভালোভাবেই সামলে নেবেন।
সাব্বির আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে দেশে রাজনৈতিক সংকট নেই। তবে বিএনপি রাজনীতিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে পরিণত করেছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের চ্যালেঞ্জ। আর কূটনীতিতে সরকারকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সরকারের প্রধান তিনটি অগ্রাধিকার ছাড়াও দুর্নীতি প্রতিরোধ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চলার পথ কখনোই পুষ্প বিছানো ছিল না। আমাদের জন্ম থেকেই এ পথ কণ্টকার্কীণ ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এ পথ সহজ করেছি। সামনে আরো সহজ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়