গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

সরকারের তিন অগ্রাধিকার

পরের সংবাদ

একদিনে আট নারীর স্বাভাবিক প্রসব : দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই প্রসূতিরা সন্তান স্বাভাবিক প্রসব করছেন। গত বুধবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে আট শিশু জন্ম নিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মেয়ে এবং সাতজন ছেলেসন্তান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১১৫টি নরমাল ডেলিভারি এবং ৩৩টি সিজারিয়ান হয়েছে। হাসপাতালে এসে নরমাল ডেলিভারি করানোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে আটজনের নরমাল ডেলিভারি হওয়া ইছাপুরের হালিমা, ভুলিরপাড়ের ফারহানা, গোয়ালমাড়ি এলাকার ইয়াসমিন ও মাহমুদা, সেন্দি গ্রামের মুন্নি আক্তার, দৌলতের কান্দির আসমা, দশপারা গ্রামের হাবিবা আক্তার এবং গৌরীপুর এলাকার ভাড়াটিয়া দেবিদ্বার উপজেলা তানজিনার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, নরমাল ডেলিভারির শুরুতে ভয় লাগলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাঠকর্মী ও চিকিৎসকদের সাহসে হাসপাতালে এসে তাদের নিরাপদে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। এতে তাদের একদিকে যেমন খরচ বেঁচে গেছে, অন্যদিকে প্রসবকারী মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন। ডেলিভারি বিভাগের ইনচার্জ মিডওয়াইফ ফাতেমা আক্তার বলেন, আমাদের মাঠকর্মী ও হাসপাতালের সহকর্মী নার্স ডাক্তারদের আন্তরিকতায় নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে এবং দিন দিন নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে না, পাশাপাশি কোনো প্রকার অর্থও ব্যয় হয় না। গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী চিকিৎসা এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে এবং নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে এই হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফরা আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত মাসে একদিনে আটজন স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের ঘটনা এটাই প্রথম না, এর আগেও একদিনে ছয়জন, পাঁচজন ও সাতজনের স্বাভাবিক ডেলিভারি একদিনে হয়েছে। গৌরীপুরে অসংখ্য প্রাইভেট মেডিকেল থাকার পরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আমাদের মাঠকর্মী, মিডওয়াইফ, নার্স ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় নরমাল ডেলিভারিতে কুমিল্লা জেলার মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থানে রয়েছে।

সামনে সবার সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়