ভোটকেন্দ্রে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা শামীম গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভার শপথ আজ : পূর্ণ মন্ত্রী ২৫, প্রতিমন্ত্রী ১১ > বাদ পড়েছেন ১৪ জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী > নতুন মুখ ১৯

পরের সংবাদ

অগণতান্ত্রিকতার সুযোগেই আমলাতন্ত্রের বাড়-বাড়ন্ত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আকাশে ওড়াটা যেমন পাখির স্বভাব ক্ষমতারও তেমনি স্বভাবটা হচ্ছে অপব্যবহারের। এ সত্য জ্ঞানীরা জানিয়েছেন গবেষণা করে, আমরাও টের পাই নিত্যদিনের অভিজ্ঞতায়। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একাংশের ওইসব আচরণে। কিন্তু কেন এমনটা ঘটে? দুটি কারণ তো প্রকাশ্যেই দৃশ্যমান। একটি হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা। নানা দিক দিয়েই নির্ভরশীলতা রয়েছে; রয়েছে এমনকি শাসনক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারেও। রাজা কি রাজা থাকেন সদাপ্রস্তুত কোতোয়াল না থাকলে? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা যত দুর্বল হবে ঠিক সেই হারেই বিভিন্ন বাহিনীর ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা বাড়বে, এটা শুভংকরের নিয়ম। ওই নিয়ম বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অপ্রযুক্ত হবে কেন? কোন সে দোষে? এটা একটা ব্যাপার, পুলিশের অত্যধিক ক্ষমতার দ্বিতীয় কারণ জবাবদিহিতার অভাব। সর্বত্রই দেখছি জবাব দেয়ার দায়টা ক্রমাগত কমছে, কমছে তা পুলিশের ক্ষেত্রেও। তা জবাবদিহিতার দায় যখন স্বয়ং রাষ্ট্রশাসকদেরই নেই, তখন অন্যদের থাকবে কেন? ক্ষমতা আছে অথচ জবাব দেয়ার দায় নেই, এ অবস্থাটা দুঃসহ হতে বাধ্য বৈকি। হচ্ছেও।
ক্ষমতার সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির বেলায়ও পুলিশের ক্ষেত্রে যে অপ্রতুলতা ঘটেছে এমনটা বলা যাবে না। তবে দেখা যাচ্ছে যে তাদের আরো চাহিদা রয়েছে। যেমন পুলিশ সপ্তাহে তাদের কয়েকটি বিশেষ দাবি তুলে ধরা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে আছে পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠা; পুলিশের প্রধানকে আইজি না বলে চিফ অব পুলিশ বলা (চিফ অব আর্মির মতো) এবং এসপির নেতৃত্বে প্রত্যেক জেলায় একটি করে গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপন। দাবিগুলো গৃহীত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি। ভবিষ্যৎ হবে কি না দেখার অপেক্ষা করতে হবে।
কেবল যে পুলিশ তা নয়, সরকারের নির্ভরতা জেলা প্রশাসকদের ওপরও। ‘প্রশাসক’ এই নামটাই তো বলে দিচ্ছে তাদের গুরুত্বের কথা। ইংরেজিতে নামটি ডিসি; ইংরেজ আমলে ডিসিরা ছিল ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। তাদের দায়িত্ব ছিল খাজনা ও ট্যাক্স সংগ্রহের তদারকি করা। পাকিস্তান আমলে জমিদারি প্রথা উঠে যায়, খাজনা সংগ্রহও রাজস্ব আয়ের প্রধান অংশ থাকেনি; ট্যাক্সের জন্য অন্য সব দপ্তর তৈরি হয়েছে, তাই ডিসিরা আর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর থাকেননি ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার হয়ে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের বাঙালিকরণ ঘটেছে। জেলা কমিশনার হয়েছেন জেল প্রশাসক। অনুবাদ যে যথার্থ হয়নি সেটা বলাই যাবে, কেবল যে শব্দার্থের দিক থেকে তাই নয়, ভাবার্থের দিক থেকেও। ভাবার্থের দিক থেকেই বরং অধিক। প্রশাসন পর্যন্ত চলতে পারে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বাংলা হিসেবে; কিন্তু ‘প্রশাসক’ একেবারেই অগ্রাহ্য। ডিসিরা মোটেই প্রশাসক নন, তারা হচ্ছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এমনকি ব্রিটিশ আমলেও রাষ্ট্র যখন চলত আমলাদের শাসনে তখনো ডিসি ছিলেন একজন পাবলিক সার্ভেন্ট; আর এখন তো সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ; রাষ্ট্রের সব কর্মচারীই এখন জনগণের সেবক (সার্ভেন্ট অর্থে)। আমলাদের নিয়োগ দেয় যে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান তার নাম ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন’ই, অন্যকিছু নয়। আর আমাদের সংবিধানে তো (অনুচ্ছেদ ২১) প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সম্পর্কে পরিষ্কার নির্দেশই রয়েছে যে, তারা ‘সব সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা’ করাকে কর্তব্য জ্ঞান করবেন। প্রজাতন্ত্রের ‘কর্মচারী’রা তাহলে ‘প্রশাসক’ হন কীভাবে? কিন্তু যতই অসাংবিধানিক হোক, কিংবা প্রত্যক্ষরূপ সাংঘর্ষিক হোক সংবিধানের সঙ্গে তাতে বাস্তবতার কোনো হেরফের ঘটবে না; ওই অফিসাররা নিজেদের প্রশাসক হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত থাকবেন, এখন যেমনটা আছেন। সরকারকে তারা অনেক কাজেই সাহায্য করে থাকেন; সাহায্য করেন জাতীয় নির্বাচনের বেলায়ও; আর নির্বাচন যদি ‘ভোটারবিহীন’ বা ‘মধ্যরাতে’র কর্ম হয় তাহলে তো তাদের একটা বিশেষ রকমের কর্তব্য থাকেই, থাকবেই। ওদিকে জনপ্রিতিনিধিদের অভিযোগ যে রাষ্ট্রের এই কর্মচারীরা তাদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে যথেষ্ট কার্পণ্য করে থাকেন। এমনকি পিয়নরাও নাকি জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা দানে অপারগ হয়।
ডিসিদেরও সম্মেলন হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে সরকারি প্রত্যাশাগুলোর কথা বিভিন্ন অধিবেশনে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তারা যেন জনগণের সেবক হিসেবেই কাজ করেন, কর্তা হিসেবে নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় তাদের পরিষ্কারভাবেই বলেছিলেন কথাটা : ‘মনে রাখবেন, জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়।’ মন্ত্রী মহোদয়রা তাদের তাদের দায়িত্বগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন। যেমন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা; খাদ্যনিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখা; দূষণ ও দখল রোধের ব্যাপারে নজর দেয়া; সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা; পশুখাদ্যে ভেজাল রোধে সতর্কতা অবলম্বন; দুর্নীতি রোধে সচেতনতা তৈরি করা (বলা হয়েছে, দুর্নীতির সুযোগ কোথায় কোথায় রয়েছে ডিসিরাই তো ভালো জানেন)। গুজব এবং অপপ্রচার ঠেকানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশও রয়েছে এবং বলা হয়েছে সবকিছু ঢাকায় পাঠাবেন না, নিজেরাও সিদ্ধান্ত নেবেন। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো যেন বাতিল করা হয় এই রকমের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
এসব নির্দেশ ও পরামর্শের বিপরীতে ডিসিরাও তাদের প্রত্যাশার কথাগুলো বেশ গুছিয়েই জানিয়েছেন। তাদের একটি প্রত্যাশা হচ্ছে তারা যাতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা। (অনুক্ত বক্তব্যটি সম্ভবত ছিল এই রকমের যে অন্য বাহিনীর কর্মকর্তারা যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে তারা কেন পাবেন না, তারা অযোগ্য কোন দিক দিয়ে?) আরেকটি প্রত্যাশা হচ্ছে উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকির ও মূল্যায়নের দায়িত্ব দেয়ার এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এককালীন অর্থ বরাদ্দকরণের। তাৎক্ষণিকভাবে দাবি এই দুটি মেনে নেয়া হয়নি এবং মনে হচ্ছিল হয়তো স্থগিতই থাকবে। অতিরিক্ত ‘দায়িত্ব’ তারা পাবেন না। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে প্রথম দাবিটা মেনে নেয়া হয়েছে। তার অর্থ এখন থেকে ডিসিরাই উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি ও মূল্যায়নের কাজটি করবেন। উল্লেখ্য, উন্নয়ন প্রকল্পের বিশেষ সৌন্দর্য ও গুণ হচ্ছে এই যে এরা আকারে বৃহৎ হতে পছন্দ করে এবং এদের বাস্তবায়নের সময়সীমা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যয় বরাদ্দও বেড়ে যায়। তবে ডিসিদের এই নতুন কর্তব্যপ্রাপ্তিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলী ও পেশাজীবীরা মোটেই উৎফুল্ল হননি; তারা অবিলম্বে এই নির্দেশনার প্রত্যাহার চেয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন যে অন্যথায় তারা কর্মবিরতি পালন, এমনকি তার চেয়ে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণেও বাধ্য হবেন। তাদের যুক্তি হলো উন্নয়নের ব্যাপারে যে কারিগরি ও প্রকৌশলী জ্ঞান আবশ্যক ডিসিরা তা কোথায় পাবেন? ক্ষমতায়ন এবং তার বিরুদ্ধে ‘বঞ্চিত’দের বিরোধ যে কোনো সুসংবাদ নয় তা কী আর বলতে!

দুই.
দেশে উন্নতি ঘটছে, কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ছে না। ফলে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি নেই। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা। উদরে স্ফীত কিন্তু হৃদযন্ত্রের কর্মকাণ্ডে দুর্বল- ব্যাপারটা এই রকমের। এটি নিশ্চয়ই ভালো খবর নয়, ব্যক্তির জন্য যেমন নয়, দেশের জন্যও তেমনি নয়। এমনিতেই বেকার সমস্যা ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছিল। করোনা এসে তাকে আরো ভয়ংকর করে দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়েরই এক পর্যালোচনা বলছে যে করোনাকালে ১৬ লাখ তরুণ কাজ হারিয়েছে এবং ২ কোটি মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে। এটা অবশ্য কেবল বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, বিশ্বময় একই ঘটনা দেখা গেছে; করোনা লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে, কিন্তু মুনাফা ঠিকই এনে দিয়েছে ধনীদের গৃহে। টিকা এবং ওষুধপত্র উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা, মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে ওষুধ কোম্পানির মালিকরা। করোনাকালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর সবাই আরো বেশি ধনী হয়েছেন, কারো কারো স্ফীতি শতকরা ১০০ ভাগ, বেচারা বিল গেটস নানা ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে সুবিধা করতে পারেননি, তবু ঈশ্বরের কৃপায় তার স্ফীতিও শতকরা ৩০ ভাগ। এসব প্রতিবন্ধক ঠেলে ভালো খবর আসে কী করে?
প্রাণবাজি রেখে বাংলাদেশের যে মানুষ বিদেশে ছুটছে কাজের খোঁজে তাদের অনেকেই বাধ্য হয়েছে জমিজমা, যা ছিল বন্ধক রাখতে বা বিক্রি করে দিতে। ঘরবাড়ি ঠিক নেই। ভেবেছে ফিরে এসে ঠিক করবে। কিন্তু দেশের লাখ লাখ মানুষের যে ঘরবাড়ি নেই তার খবর কী? না, সে খবর আমরা অর্থাৎ যাদের ঘরবাড়ি আছে তারা রাখি না, রাখতে চাইও না। যেমন এই খবরটা, যেটি সব দৈনিকেই বের হয়েছিল, ‘অবশেষে চাকরি পেল আসফিয়া।’ পুলিশ কনস্টেবলের কাক্সিক্ষত চাকরি। আসফিয়ার ভাগ্য ভালো, চাকরিটা সে পেয়েছে। অবশ্য পাওয়ার কথা ছিল। সব পরীক্ষার বেড়া সে ডিঙিয়েছে, এবার যোগদানের পালা। কিন্তু দেখা গেল চাকরি সে পাচ্ছে না। কারণ তার স্থায়ী ঠিকানা বলতে কিছু নেই। পুলিশ দপ্তরের কোনো দোষ নেই, নিয়ম এই যে কর্মচারীদের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা দুটোই লাগবে, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের তো বটেই, তাদের ভুঁইফোঁড় কিছুতেই হলে চলবে না, অজ্ঞাতপরিচয় তো কোনো মতেই নয়, (পুলিশের লোকেরা যদিও অজানা শত শত হাজার হাজারকেও আসামি করার অধিকার রাখেন, সেটা ভিন্ন ব্যাপার)। আসফিয়ার অবশ্য স্থায়ী ঠিকানার একটা ব্যবস্থা কোনো মতে শেষ পর্যন্ত হয়েছে; কিন্তু হাজার হাজার আসফিয়ার খবর কী, যারা উৎপাটিত হয়ে গেছে, যারা ভাসমান থাকে, যাদের স্থায়ী ঠিকানা তো নেই-ই, এমনকি ‘বর্তমান ঠিকানা’ বলেও কোনো কিছু নেই। সব ব্যবস্থাই অস্থায়ী। থাকে পথে ঘাটে।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলে তো নয়ই, স্বাধীন বাংলাদেশ আমলেও আবাসনের কথাটা রাষ্ট্রের অধিপতিরা আমলেই নেয়নি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, জমির চাহিদা এবং ব্যবহার দুটোই বেড়েছে। জমি তলিয়ে গেছে নদীতে, ভূমিদস্যুরা তাদের দস্যুতাকে নব নব উচ্চতায় উন্নীত করেছে। ঘরবাড়ি যা তৈরি হয়েছে প্রায় সবটাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে, অপরিকল্পিত পদ্ধতিতে এবং ভূমির নিদারুণ অপচয় ও অপব্যবহার ঘটিয়ে। সাধারণ মানুষ কোথায় থাকবে, কীভাবে থাকবে, রাষ্ট্রের তা নিয়ে যে তিলমাত্র মাথাব্যথা আছে এমন নিদর্শন কখনোই পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছেলেমেয়ে পড়তে আসে তাদের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো, নইলে অতদূর এলো কেমন করে? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে, দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীরই আবাসিক সুবিধা নেই; অর্থাৎ প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজনেরই মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের অভাব। ওদিকে কাজের খোঁজে মানুষ ছুটে এসেছে ঢাকায়, ফলে ঢাকা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনঘনত্বসম্পন্ন শহরগুলোর একটি। লোকের ভারে তার ডুবু ডুবু দশা। বায়ুদূষণেও রয়েছে সে শীর্ষে। অনড় অবস্থান। (তবে ঢাকাতে বায়ুর দোষের সবটাই যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তা কিন্তু নয়, সীমান্তের অপর পার থেকেও পাচার হয়ে সরাসরি চলে আসে; প্রয়োজনের পানি না দিলেও অপ্রয়োজনে দূষিত বায়ু পাঠাতে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র কোনো কার্পণ্য করে না। তাদের সীমান্ত সুরক্ষিত, আমাদেরটা নয়। তারা পণ্য ও কর্মী পাঠিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যায়। আমরা শুনি।) গৃহহীনদের তো অবশ্যই, অন্যদের অবস্থাও প্রাণান্তকর।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়