ভোটের মাঠে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জয়জয়কার

আগের সংবাদ

কেমন হবে ‘স্মার্ট’ মন্ত্রিসভা

পরের সংবাদ

বিজয়ীদের অভিনন্দন : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এবং ভোটগ্রহণের দিন বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও মোটাদাগে সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে আসা এসব পর্যবেক্ষক ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশেরও প্রশংসা করেন। নানা শঙ্কা, আতঙ্ক ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গত রবিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২, স্বতন্ত্র ৬২, জাতীয় পার্টি ১১, জাসদ ১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১ ও কল্যাণ পার্টি ১ একটি করে আসনে বিজয়ী হয়েছে। ময়মনসিংহ-৩ আসনে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আর টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিজয়ীদের আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিএনপির ডাকা হরতালসহ বিভিন্নভাবে আতঙ্ক সৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে নির্বিঘেœ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারায় বিদেশিরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটের দিন ১৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২ জনকে। দুঃখজনকভাবে মুন্সীগঞ্জে একজন প্রতিপক্ষের আঘাতে নিহত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এই প্রথম নির্বাচন চলাকালে একটি আসনের প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। অন্তত ৯টি আসনে ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনের এই চালচিত্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের অতিমাত্রায় দৌড়ঝাঁপ ও বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকি-ধমকিসহ নানামুখী তৎপরতার কারণে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কিনা, এ নিয়ে ছিল কিছুটা সংশয়। এমন পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সংবিধান অনুসারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবার নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এটাই স্বস্তির বিষয়। তবে নতুন সরকারের জন্য দুর্নীতি মোকাবিলা আর সুশাসন প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন আছে। নতুন সরকার উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সিরিয়াস থাকলে তাদের আর্থিক খাতে সুশাসনের কথা চিন্তা করতেই হবে। লেনদেনে ভারসাম্য এনে ডলার বাজারে স্বাভাবিক করার চ্যালেঞ্জ থাকছে শেখ হাসিনার সামনে। ইতিবাচক দিক হচ্ছে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন দৃশ্যমান হয়েছে। আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদে অবকাঠামো খাতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল আর নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মতো যুগান্তকারী সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেখেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বরাবরই বলছেন, তিনি চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না। দেশের মানুষ আপনার ওপর আস্থা রেখে এগিয়ে যেতে চায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়