ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির বাজার

আগের সংবাদ

ভোটের কৌশলে সফল শেখ হাসিনা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটানা ১৫ বছর শাসন ক্ষমতায় আসীন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটানা ক্ষমতায় টিকে থাকার কারণ কী? তিনি কেন জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর অন্বেষণে দুয়েকটি প্রসঙ্গের অবতারণা করা যায়। শেখ হাসিনা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিসম্পৃক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। তার পিতার রাজনৈতিক জীবনকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ হয়েছিল বলেই তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো বাংলার মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বলেছেন- ‘আমার একমাত্র দায়িত্ব পিতার অধরা স্বপ্ন সফল করা।’ শেখ হাসিনা বলে থাকেন, ‘জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমার রাজনীতি।’ শিশুদের মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখতে ভালোবাসেন, ‘শিশুরা আমাদের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে তাদের ভবিষ্যৎকে আনন্দ, উজ্জ্বল, স্বস্তি ও শান্তিময় করে তুলতে হবে।’ শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন ও সংগ্রাম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার প্রবক্তা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে তাকে বিশেষভাবে শান্তি পুরস্কার ও সম্মানীয় ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। যে কোনো সংকটমুহূর্তে কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮২ থেকে আজ পর্যন্ত অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তিনি প্রচণ্ড দৃঢ়তার সঙ্গে নিয়েছেন। প্রতিকূল পরিবেশ, সহকর্মীদের শত বাধা এবং সুশীল সমাজ কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চিন্তাচেতনা সম্পূর্ণরূপে তার বিপক্ষে থাকার পরও তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে আবার সংসদ থেকে বের হয়ে আসা একটি বিশাল ব্যাপার ছিল। ১৯৯১ সালের পর বিএনপিবিরোধী আন্দোলনে সফলতা, ১৯৯৬ সালের সরকারপ্রধান হিসেবে সাফল্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তেমনি ১/১১-এর প্রেক্ষাপটে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া অনন্য সাধারণ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন দুটি তিনি করেছিলেন দূরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। বিরোধী পক্ষসহ তাবৎ দুনিয়ার ক্ষমতাবান রাষ্ট্রশক্তির হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে কেবল নিজের দলের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে। এ জন্য তার উপলব্ধি তাৎপর্যবহ- ‘বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান আমাকে দিতেই হবে। জনগণের জন্য একটা সুন্দর, উন্নত জীবন উপহার দেব, এই আমার প্রতিজ্ঞা।’ (সবুজ মাঠ পেরিয়ে) এ কথা সবারই জানা যে, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করে। জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ব্যাপকহারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়।
গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯-২০২৩ মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা। বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতার বিবরণ দিয়ে জনগণকে সতর্ক করেছেন এই বলে, ‘১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি যেমন : আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মতো কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কৃষক ও কৃষি-বান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে দেশ দ্রুত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা গ্রহণ করি; যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই- এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেয়া হয়। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুঃশাসন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৫০০-এর বেশি মানুষকে আহত করে। জেলায় জেলায় বোমা হামলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশন জট, ছাত্রছাত্রীদের অনিশ্চিত জীবন ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার সাধারণ চালচিত্র। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, হাওয়া ভবনের দ্বৈত শাসনে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল।
মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। যার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাদের ওপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীকে বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটানা ক্ষমতায় থেকে জনগণের প্রকৃত বন্ধু সংগঠনে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নেতৃত্বের অনন্যগুণে শেখ হাসিনা যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছেন এবং দলকে তৃণমূলে সম্পৃক্ত করেছেন তা ৭ জানুয়ারি ভোটে প্রমাণ হবে। কারণ দলীয় সভানেত্রী গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। এ জন্য ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা পোষণ করেন তিনি। সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার জন্য তার প্রত্যয় অনন্য। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত আছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে। অন্যদিকে সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা শান্তিতে বিশ্বাসী, যুদ্ধ ও সংঘাতের বিপক্ষে তার অবস্থান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতেই তিনি বিশ্বাস করেন। এই নীতি নিয়েই তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করে উন্নত করেছেন।
আওয়ামী লীগকে কেন দরকার? আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় দেশের ১১ কোটি ভোটার। কারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ থেকে শুরু করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলটির ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে যেসব মাইলফলককে জনসেবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়- তার সবই আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এই দলটির অন্যতম কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কিছু অগ্রগতি তুলে ধরা হলে সবাই বুঝতে পারবেন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশের জন্য কেন প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির তথ্যগুলো নিম্নরূপ- ‘প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ বৃদ্ধি। জিডিপির আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। বার্ষিক রেমিট্যান্স ৬ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই ৫ গুণ বৃদ্ধি। একজন কৃষি-শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা ৩ গুণ বৃদ্ধি। শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি। রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি। দারিদ্র্য হার ৪১ দশমিক ৫১ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে হ্রাস। অতি দারিদ্র্য হার ৫ গুণ কমেছে। সুপেয় পানি ৫৫ থেকে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩ দশমিক ২৮ থেকে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি। শিশু মৃত্যুহার হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ জন। মাতৃমৃত্যুহার প্রতি লাখে ৩৬০ থেকে কমে ১৫৬ জন। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি। সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি। কারিগরি শিক্ষা ২২ গুণ বৃদ্ধি। দানাদার শস্য উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, পাতাল রেলের কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। উদ্বোধন করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ- ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মিত হয়েছে। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন স্থাপন করে ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুট চালু ও ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করাও অন্যতম ঘটনা। বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখে বিশ্ববাসী আজ বিস্ময়ে হতবাক। শেখ হাসিনা যে অবস্থায় দেশকে পেয়েছিলেন, সেই ভঙ্গুর দশা থেকে মানুষের জীবনমানকে উন্নয়নের শিখরে টেনে তুলেছেন। উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে, তা টেকসই করে আরো উন্নত জীবন যাতে জনগণ পায় তার জন্যই ৭ জানুয়ারি ভোটে নির্বাচিত হয়ে আগামী ৫ বছরে ক্ষমতায় আসীন করতে হবে শেখ হাসিনাকে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং অগ্রসরতার প্রতি জনগণের বিশ্বাস, আস্থা এবং ভালোবাসাই আগামী দিনে শেখ হাসিনার এগিয়ে চলার পাথেয়। জনগণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই আওয়ামী লীগ বারবার জয়ী হয়। দেশের মানুষ বিগত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। শেখ হাসিনার মতো যারা জনগণের উন্নয়নের রাজনীতি করেন, জনগণ তাদের পাশে থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের পক্ষে থাকবে, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে- এটাই আমাদের বিশ্বাস। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় শেখ হাসিনা।

ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়