ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির বাজার

আগের সংবাদ

ভোটের কৌশলে সফল শেখ হাসিনা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন

পরের সংবাদ

অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশায় : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল ভোটে অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলটির অনেক নেতাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। কিন্তু বিএনপিসহ সমমনা ১৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করেছে। সেই অর্থে আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলেও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়াই এখন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। পাশাপাশি ভোটারদের কেন্দ্রে আনাও ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশায় পুরো জাতি। স্থানীয় বা জাতীয় যে কোনো নির্বাচনই হোক, সেটা শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেয়া নির্বাচন কমিশনের মৌলিক এবং অপরিহার্য দায়িত্ব। তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকাতে নানারকম নৈরাজ্য চালিয়েছে। বাস, ট্রেনে অগ্নিসন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন বর্বর নাশকতার শেষ কোথায়? বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। এ ধরনের ঘটনা আমরা অতীতেও দেখেছি। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি, এতে অনেক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত হিংস্র মনোবৃত্তির পুনঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে কি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশল বা উপাদান হতে পারে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। মানুষকে চলাফেরা করতে হচ্ছে প্রাণ হাতে নিয়ে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কেউ ভোলেনি। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি লাখ লাখ গাছও। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোট আগুনসন্ত্রাসের খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে মানুষের জানমাল যেন শঙ্কামুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস কঠোর হাতে দমন করতে হবে। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীদের সহিংসতাও কম দেখছি না। এমন অবস্থা যেন নির্বাচনের দিন না হয়। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছিল। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ও জবাবদিহিমূলক শাসন কায়েমে নির্বাচনের ভূমিকা অপরিসীম। তবে নির্বাচন হতে হবে প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিহিংসামূলক নয়, রক্তপাত নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক- এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। আর এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আমলে নেয়া দরকার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারলে তাতে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়