৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি : দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

নিরাপত্তার চাদরে পুরো দেশ : মাঠে সাড়ে ৯ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, মনিটরিং সেলে ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট

পরের সংবাদ

পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সিডনিতে আজ তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এর আগে পার্থে ও মেলবোর্নে প্রথম দুটি টেস্টে জয় পেয়েছে অজিরা। তাই এই ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর লড়াই। সিরিজের এই শেষ ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়ার একাদশ অপরিবর্তিত থাকলেও পাকিস্তান দলে এসেছে দুটি পরিবর্তন। ওপেনার ইমাম-উল হক দল থেকে বাদ পড়েছেন। অভিষেক হতে যাচ্ছে আরেক ওপেনার সায়েম আইয়ুবের। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তার জায়গায় একাদশে এসেছেন স্পিনার সাজিদ খান। অন্যদিকে এই টেস্ট দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। যে কারণে আলোচনার কেন্দ্রে এই অজি কিংবদন্তি।
সিরিজের প্রথম টেস্টে পার্থে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেই দ্বিতীয় ইনিংসে লিড তিনশ ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। পরদিন এর সঙ্গে তারা যোগ করে আরো ১৪৯ রান। ৫ উইকেটে ২৩৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ নেয়া তো দূরের কথা, হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। বিশাল লক্ষ্যে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি শান মাসুদ, বাবর আজমরা। পুরোপুরি মুখথুবড়ে পড়েছিল তাদের ব্যাটিং। ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান অল আউট হয় স্রেফ ৮৯ রানে। ৪৫০ রানের লক্ষ্য দিয়ে স্বাগতিকরা জেতে ৩৬০ রানে। ফলে সম্মিলিত বোলিং দাপটে বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে লড়াই করেও হেরে যায় পাকিস্তান। ম্যাচের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় ৭৯ রানে। টানা দুই জয়ে তারা নিশ্চিত করে সিরিজ জয়ও। শেষ পর্যন্ত জয়ের ব্যবধান বড় হলেও একটা সময় লড়াই জমে উঠেছিল তুমুলভাবে। পাকিস্তানের লক্ষ্য এমনিতেই ছিল কঠিন। গত ৯৫ বছরে মেলবোর্নে তিনশর বেশি রান তাড়ায় জেতেনি কোনো দল। সেই অভিযানে শুরুতেই পাকিস্তান ধাক্কা খায় আব্দুল্লাহ শফিককে হারিয়ে। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা ওপেনার এবার মিচেল স্টার্কের অনেক বাইরের বল তাড়া করে ধরা পড়েন স্লিপে। শান মাসুদ তিনে নেমে প্রথম ইনিংসের মতোই দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। আরেক প্রান্তে উইকেট আগলে পড়ে থাকেন ইমাম উল হক। তবে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভেতরে ঢোকা দারুণ ডেলিভারিতে ইমামকে ফিরিয়ে এই জুটি থামান কামিন্স। রিজওয়ান ও সালমান আঘার জুটির সময় সেদিন পাকিস্তানকেই মনে হচ্ছিল কিছুটা ফেভারিট। এক পর্যায়ে ৫ উইকেট নিয়ে ৯৮ রান প্রয়োজন ছিল তাদের।
এরপরই কামিন্সের বলেই রিজওয়ানের আলোচিত আউট এবং এরপর পাকিস্তানের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া। ১৮ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারায় তারা। দুর্দান্ত বোলিং আর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক তাদের অধিনায়ক কামিন্স। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ১০ উইকেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়