৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি : দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

নিরাপত্তার চাদরে পুরো দেশ : মাঠে সাড়ে ৯ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, মনিটরিং সেলে ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট

পরের সংবাদ

জাতীয় নির্বাচন ও তারুণ্যের ভাবনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনী উৎসবে বাংলাদেশ। নির্বাচন জনগণের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। চারদিকে নির্বাচনী আমেজ উৎসবে পরিণত হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর হাওয়া বইছে। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের আমেজটা একটু ভিন্ন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের জাতীয় নির্বাচনে নতুন ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন। যারা প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে আগামী ৫ বছরের জন্য দেশের আইনপ্রণেতা বাছাই করবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যার চার ভাগের একভাগ তরুণ, যা প্রায় ৫ কোটির কাছাকাছি। নির্বাচনে তরুণদের ভোট মূল ফ্যাক্ট হিসেবে কাজ করে। বর্তমান সরকার তারুণ্যবান্ধব সরকার। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি সিআরআই আয়োজিত তরুণদের সঙ্গে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ ও যুবসমাজকে মূল ভূমিকা রাখার ওপর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় নম্বরে কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। এটি অবশ্যই একজন তরুণের জন্য আনন্দের। একজন তরুণ হিসেবে অপর তরুণদের সঙ্গে তারুণ্যের আড্ডাই দেশের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে নানা আলাপ হয়। সবারই মতামত, আকাক্সক্ষা, চাহিদা, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। সবাই বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করে।
আগে কেমন ছিল বর্তমানে কেমন। যারা বর্তমানে জন্মগ্রহণ করছে, তাদের কাছে আধুনিক এই সমাজে অতীতের কথাগুলো গল্প মনে হতে পারে এটিই স্বাভাবিক। কারণ আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর রাষ্ট্র। উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। সব সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে পুরনো ঝঞ্ঝাট মুছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে কিংবা ফুটপাতে দিন পার করত বর্তমানে এমন গৃহহীন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়ছে। শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসছে দেশ। দেশের ইতিহাসে নয়, শুধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সেরা মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন বাংলাদেশে হয়েছে, হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে এবং প্রযুক্তি বিজ্ঞানে অত্যন্ত দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইন্টারনেটে ও স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতার কারণে সরকারি সব সেবা দ্রুত ও ঘরে বসে পাচ্ছে। একসময় যে কাজ করতে প্রচুর অর্থ, শ্রম ও সময় লাগত তা বর্তমানে এক ক্লিকে ঘরে বসে করা যাচ্ছে। তারুণ্যের শক্তি স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশের মূল প্রতিনিধিত্ব হিসেবে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের দল বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা আশা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত রূপকল্প ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করতে যে মহাপরিকল্পনা তা বাস্তবায়নের অগ্র সৈনিক হিসেবে কাজ করবে তারুণ্যের দল।

মাহবুবুর রহমান সুজন : শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম আইন কলেজ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়