এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া রুটিন ফেসবুকে

আগের সংবাদ

‘খণ্ডিত জাপা’-আ.লীগ জোট না করার অনুরোধ রওশনের : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, অবৈধভাবে নেতৃত্ব দখল করেছে কাদের

পরের সংবাদ

কে এই বৈশালী?

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সব দাবাড়ুর পরম লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যের প্রাপ্তি বলা চলে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করা। খুব স্বল্পসংখ্যক ভাগ্যবান দাবাড়ু রয়েছেন যারা এই কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। আজকের গল্পটি তেমনই এক অবিচল, প্রতিভাময়ী দাবাড়ুকে নিয়ে। নাম তার বৈশালী রমেশবাবু। মেয়েটি ভারতের ৮৪তম গ্রান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করা দাবাড়ু, আর পুরো ভারতে তার পূর্বে মাত্র দুজন নারী ছিলেন যারা গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেছেন। তবে বৈশালীর গল্পটা অন্যদের থেকে যেন একটু আলাদা। ছোট ভাই রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, যে কিনা মাত্র ১২ বছর বয়সে দাবার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গ্রান্ডমাস্টার হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যান। সেই প্রজ্ঞানন্দের বোন, প্রজ্ঞানন্দের ৫ বছর পরে এসে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন, পরিণত হলেন পৃথিবীর একমাত্র ভাই-বোনে যারা গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেছে। বৈশালীর গল্পটা শুরু হয় সেই ছোটবেলাতেই। বাবা রমেশবাবুর হাত ধরে দাবাতে যাত্রা, ছোট্ট মেয়েটি তখনই তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছিল। এরপর শুরু হয় দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত অনুশীলন আর দক্ষতাকে শাণিত করার পালা। বিভিন্ন ছোট ছোট টুর্নামেন্টে অংশও নিতে শুরু করে বৈশালী। ২২ বছর বয়সি বৈশালী তিনটি গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে অংশ নেন। ২০১৯ সালে এক্সট্রাসন ওপেন (সেখানেই প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নর্ম অর্জন), ২০২২ সালে ফিসের মেমোরিয়াল এবং ২০২৩ সালে কাতার ওপেন। অক্টোবরের সেই কাতার মাস্টার্স টুর্নামেন্ট থেকেই তার তৃতীয় জিএম নর্ম পেয়েছিলেন বৈশালী। গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার জন্য তার প্রয়োজন ছিল রেটিং বাড়িয়ে ২৫০০ পয়েন্টে পৌঁছানো। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব অর্জন করতে কোন দাবাড়–র ২৫০০ রেটিং পয়েন্ট দরকার হয়। নভেম্বরে আইল অফ ম্যানে গ্র্যান্ড সুইস টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে চ্যাম্পিয়ন হন বৈশালী। এই খেতাব তাকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। অবশেষ গত ২ ডিসেম্বর স্পেনের ল্যাব্রেগাট ওপেন দাবায় তুরস্কের দাবাড়ু তামের তারিকে দ্বিতীয় রাউন্ডেই পরাজিত করে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট রেটিং পয়েন্ট পেয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার বনে যান বৈশালী। তবে এই অর্জনের পথটা কিন্তু মসৃণ ছিল না মোটেই। একটা সময় হতাশায় দাবাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বৈশালী। কারণ একই ঘরে তার থেকে বছর পাঁচেকের ছোট ভাই গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে গিয়েছেন, অথচ কাক্সিক্ষত গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারছিলেন না তিনি নিজেই। অথচ ছোটবেলায় দিদি বৈশালীকে দেখেই দাবার প্রতি আগ্রহ জন্মায় প্রজ্ঞানন্দের।
: সোহানুর রহমান

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়