টিআইবি : গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য

আগের সংবাদ

জাদুর কাঠির ছোঁয়ায়! হলফনামায় দেয়া তথ্য > মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বেড়েছে ২ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত

পরের সংবাদ

গুজবের কলসি ফেটে কুপোকাত বিএনপি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এবার ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর স্যাংশন ও ভিসা রেস্ট্রিকশন জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা বা রেস্ট্রিকশন দেয়া হয়েছে ২০ ব্যক্তির ওপর। বাকিদের ওপর আরোপ করা হয়েছে ভিসানীতি। মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি সামনে রেখে স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে এসব ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের দুজন আফগানিস্তান সরকারের মন্ত্রী। বলা হয়েছে, তারা দেশটিতে মেয়েদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করার মাধ্যমে নারী নিপীড়নে জড়িত রয়েছেন। ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। চীনের জিনজিয়ানে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির দুই কর্মকর্তাও এসেছেন নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের থেকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রæতি পূরণেই এ নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও গুজব ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এ স্যাংশন-রেস্ট্রিকশন তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে, সরকারের বা সরকারি ঘরানার কয়েকজনের নাম তো থাকবেই। এ-সংক্রান্ত গুজবের হাট জমিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় ঝড়। ইউটিউবে পড়ে কনটেন্ড তৈরির ধুম। বিরোধী মহল বিএনপিতে এ নিয়ে উচ্ছ¡াসার পারদ ওঠে তুঙ্গেরও তুঙ্গে। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে কিছু না কিছু একটা হয়ে যাচ্ছে মর্মে তোলপাড়ের মধ্যে দুদিন আগেই এলো ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির তালিকা। বেলুন চুপসে যাওয়ার অবস্থা উচ্চাকাক্সক্ষীদের মধ্যে। সরকারের ভেতরও এ নিয়ে টেনশন একদম ছিল না এমনও নয়। এবার মানবাধিকার দিবসে রাজধানীতে সমাবেশের উদ্যোগ নিয়ে পরে আবার থেমে যায়। দল থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না মেলায় সে সমাবেশ হচ্ছে না। দিনটি বিএনপির জন্য খুব প্রিয়। তারা সেদিন মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে। গোটা বিষয়টি এখন পানসে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এলিট ফোর্স র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল। প্রতি বছর মানবাধিকার দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। চট্টগ্রামের কক্সবাজারে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ক্রসফায়ারের ঘটনার সূত্র ধরে তৎকালীন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন সেই সময় র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং বর্তমান পুলিশের আইজিও। এবার যখন বাংলাদেশ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে এবং যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার অবস্থানে রয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কী ধরনের প্রতিবেদন দেয়, তা নিয়ে জনমনে আগ্রহ-জিজ্ঞাসা একটু বেশিই ছিল। এ সুযোগে গুজববাজরা বাজারটাও বেশ জমিয়ে তোলে। নির্বাচনের আগে ১০ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে কন্টেন্ট তৈরির একটা মৌসুম জমিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি তো একশতে একশ করে ফেলা হয়।
সরকার এসব নিয়ে কেয়ার করে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আগেভাগেই। বরং নির্বাচন বয়কট ও ঠেকানোর হুঙ্কারে বিএনপিই এর শিকার হতে পারে বলে দাবি করতে থাকে সরকার।
আন্দোলনের মাঠে গুজব-গুঞ্জনসহ পশ্চিমা ভরসায় বড় রকমের মার খেয়ে ঘরে ওঠে যাওয়ার নিষ্ঠুর শিকার বিএনপি। গুজব ও বিদেশনির্ভরতায় তলে তলে তাল হারিয়ে বিএনপির অতলে ডোবার বিপরীতে পেশাদার গুজববাজদের হয়েছে পোয়া বারো। এরা অধরা থেকে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাচ্ছে। মাঝে মধ্যে দম নেয়। তবে থামে না। তাদের মূল ক্লায়েন্ট বিএনপি। সঙ্গে সমমনারা। আজ এটা, কাল সেটা দিয়ে দেশকে এবং দেশের রাজনীতিকে গুজবের ফানুসে ভাসিয়ে দেয়া চক্রটির মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো। বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচন সামনে রেখে গুজবের তাওয়ায় নতুন করে তাপ দিয়ে এখন আবার দম ধরেছে তারা। তাদের বেশিরভাগ গুজবই সরকারকে টার্গেট করে আবর্তিত। উদ্দেশ্য সরকারকে বিব্রত করা, দেশকে উতাল করা। আর তা করতে গেলে দরকার মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা। সরকারের দিক থেকে এসব গুজব-অপপ্রচার শক্ত হাতে ঠেকানোর হুঙ্কার থাকলেও সাফল্য কম। এর বিপরীতে গুজববাজরা বেশ সংগঠিত, যূথবদ্ধ। তাদের শক্ত গাঁথুনি দেশে-বিদেশে দুই জায়গায়ই।
টার্গেট করে ব্যক্তিগত বিষয়াদি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, দেশের চিন্তাশীল মানুষকে নিয়ে রগরগা কল্পকাহিনী বানানো তাদের কাছে আইটেমের মতো। তাদের রুখতে প্রশাসনের বাইরে কাজ করছে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআইর টিম। সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব, তথ্য এবং সরকারের উন্নয়নচিত্র জানান দেয় তারা। কিন্তু গুজবের জোয়ার দৃষ্টে তা অনেকটাই অকুলান। বিপরীতে গুজব রটনাকারীদের কাজের আওতা বিস্তর-ব্যাপক। রাজনীতি, ধর্ম, কূটনীতি, অর্থনীতি এমনকি শিক্ষা-খেলাধুলা সেক্টরও বাদ দেয় না তারা। পদ্মা সেতুতে মানুষের কল্লার জন্য ছেলেধরা সন্দেহে বেশ ক’জনকে গণপিটুনিতে হত্যা, ব্যাংক রিজার্ভ শেষ, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে গেছে থেকে শুরু করে সরকার পতনের দিন-তারিখ পর্যন্ত বাজারজাত করে ছাড়ে তারা। দিন শেষে তারা ব্যর্থ হলেও সময়ে সময়ে সফল। মানুষকে ঘোরে ফেলা ও দেশে অস্থিরতা তৈরিতে কম-বেশি কামিয়াবি হচ্ছে। তাদের গুজব ক্যারিশমায় মুগ্ধ ও পুলকিত বিরোধী দলকে পুলকে রাখার পাশাপাশি কন্টেন্ট সেল বাড়ছে। কাউকে হাওয়ায় ভাসাতে এবং কাউকে ডোবাতে গিয়ে বিএনপিকে মাঠে আছাড় দিয়ে গুজববাজরা তলের খবরকেও আরো তলিয়ে দিয়েছে। উপরে-উপরে ঘটনার ঘনঘটার মাঝে দেশের ভেতর-বাইরের কিছু ইউটিউবার নানা গরম কথায় মুখরোচক ব্যাখ্যায় দর্শক বাড়িয়ে নিজেদের ব্যবসা লুটেছে কয়েক দিন। আন্দোলনেরও সাড়ে সর্বনাশ করেছে। আন্দোলনের স্পিড এবং স্পিরিটও বরবাদ করে ছেড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই মার খেল, আরেকদিকে ইউটিউবারদের দূরে বসে ঘি-মধু খেয়ে নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত হলো। এরা কার পক্ষে বা বিপক্ষে বোঝা মুশকিল। বিভক্তি তৈরি ও টিকিয়ে রাখায় কামিয়াবি এ কমিউনিটিটি অবশ্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়া আর কাউকে দেখে না। রাজনীতিতে এর বাইরে তেমন সাবজেক্টও নেই। এর মাঝে চরম দৃষ্টান্ত রেখেছেন ভারতীয় সাংবাদিক চন্দন নন্দী। তার সর্বশেষ তথ্য ছিল ৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বেন। সেটি খুব মনে ধরেছিল বিএনপির। গুজবটির প্রচার-প্রসারে কোমর বেঁধে নেমেছিল বিএনপি। চন্দন নন্দীতে অতি উল্লসিত হয়ে পরে বুঝতে বুঝতেই তারা কেবল চোখে অন্ধকার দেখেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা বুঝতেই পারেননি চন্দন নন্দী জার্নালিজমের নামে কী সেনসেশনালিজমটাই না করেছেন।
তথ্যযুক্তির অবাধ প্রবাহ মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ করেছে। এখন পৃথিবীর একপ্রান্তের মানুষ অন্যপ্রান্তের চেনাজানা আপনজন বা অপরিচিত কোনো মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান ও তথ্যের বিনিময় করতে পারে খুব সহজেই। প্রযুক্তির এই উন্নয়ন মানুষের জীবনকে সহজ-সাবলীল করেছে। গোটা মানবজাতিকে গতিশীল করেছে। কিন্তু একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ মানুষকে বিভ্রান্তও করছে। একটি শ্রেণি স্বার্থ হাসিলের মতলবে সমাজে ভুল ও মিথ্যা কিংবা আংশিক মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভয়ভীতি-আতঙ্কের সৃষ্টিও করছে। পজিশন-অপজিশন কারো জন্যই গুজব শুভ নয়। এতে সাময়িক কোনো পক্ষের পুলক মিলতে পারে। কিন্তু আখেরে তা বুমেরাং হয়। বড় ক্ষতিটা হয় দেশের-সমাজের। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও অপপ্রচার রুখতে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উঠেছে বহুদিন আগে থেকেই। কিছু কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিণত হয়েছে গুজবনির্ভর অপপ্রচারের আখড়ায়। নামে-বেনামে তাদের ইউটিউব চ্যানেল, আইপি টিভি, অনলাইন পোর্টালের ছড়াছড়ি। পেজ, গ্রুপ, ইভেন্ট খুলে যে যার ইচ্ছামতো মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা অপপ্রচারে লেগে আছে। এসবের নেপথ্যে বড় ধরনের ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমও রয়েছে।
শক্ত হাতে না ধরলে এ চক্রকে রোখা কঠিন। ভুয়া আইডি এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশ থেকে পরিচালিত হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংঘটিত অপরাধ দমনে আমাদের স্থানীয় আইন সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। বাস্তবতা বুঝেই তারা সামনে আগোয়ান। সাইবারজগতের বিস্তার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দিন যত যাচ্ছে কোটি কোটি মানুষ এর সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ইন্টারনেট সুবিধা সহজীকরণ হয়েছে। এর ভালো দিকের সঙ্গে মন্দ দিক বেশি যোগ হয়ে গেছে। এমন সম্ভাবনাকে নিয়ে আসা হয়েছে শঙ্কার বিষয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব-মিথ্যাচার কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়, বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের অনেক দেশকেও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ইউটিউব-ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এতে গুজব ও সামাজিক অস্থিরতার কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক ও কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়