হিমুর প্রেমিক রাফির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

আসন সমঝোতাই বড় চ্যালেঞ্জ : আ.লীগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ভোটে আসা দলগুলোর, ১৪ দলের সঙ্গে সমঝোতা, ঝুলে আছে জাপা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম শহীদ মিনার : অট্টালিকার অক্টোপাস থেকে মুক্ত হোক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মুসলিম হল ও শহীদ মিনারকেন্দ্রিক একটি কালচারাল কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণের। প্রায় ৭ বছর পর এই প্রকল্পের কাজ এখন একেবারে শেষের দিকে। কয়েক দিনের মধ্যে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। কিন্তু একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে এই প্রকল্পে শহীদ মিনারের অবস্থান ও নির্মাণ নিয়ে চরম হতাশ হয়েছে নাগরিক সমাজ। এখন দাবি উঠেছে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের।
নবনির্মিত চট্টগ্রাম কালচারাল কমপ্লেক্সে শহীদ মিনারের অবস্থান দেখে হতাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী ড. অনুপম সেন একটি পত্রিকাকে বলেন, ‘আসাদুজ্জামান নূর সাহেব এটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম ভালো কিছু হচ্ছে। কিন্তু আমরা সেখানে দেখলাম সেটি এমন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে তা দেখাই যায় না। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। আমি তো অল্প কিছু দূর উঠে আর উঠতেই পারিনি। ষাটোর্ধ্ব এমনকি পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষেরও সেখানে উঠতে কষ্ট হবে। এমনকি শিশুরাও সেখানে উঠতে কষ্ট হবে। আমাদের যারা আর্কিটেক্ট আছেন তারা খুবই ভালো, কিন্তু এই শহীদ মিনারটি আমার মনে হয়েছে একবারে অবহেলার সৃষ্টি।’
আসলে সমস্যাটি হলো বহুল প্রতীক্ষিত নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি মাটি থেকে ২১ ফুট উঁচুতে প্লাজার ওপরে অধিষ্ঠিত। একই স্থানে পুরনো শহীদ মিনারটি ছিল অবারিত সমতলের ওপর নির্মিত।
‘চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিকবলয় প্রকল্পটির প্রায় ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৫ তলাবিশিষ্ট গ্রন্থাগার ভবন, ৮ তলাবিশিষ্ট মিলনায়তন ভবন ও একটি মাল্টিপারপাস হল এবং রাস্তার এপার-ওপারকে সংযুক্ত করে নির্মাণ করা হয়েছে টানেল আকৃতির প্লাজা, যেখানে রয়েছে ওপেন এয়ার থিয়েটার ও জাদুঘর এবং প্লাজার ওপরে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। প্লাজার ওপরে শহীদ মিনার তৈরির নজির দেশের কোথাও নেই। এ ছাড়া শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে উঠতে হবে সিঁড়ি মাড়িয়ে। আবার সিঁড়িও ৪ ভাগে বিভক্ত। এক্ষেত্রে জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আসা মানুষের চাপ কীভাবে এই সিঁড়ি সংবলিত পথে সামাল দেয়া সম্ভব হবে, তা ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে।
আমরা জানি না পরিকল্পনাকারীরা কী করতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে তাদের পরিষ্কার ধারণা ছিল কিনা এবং ডিজাইন করার সময় তারা অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন কিনা। আমাদের ধারণা, শহীদ মিনার দোতলার মতো বেদিতে স্থাপিত হতে যাচ্ছে এবং সেখানে যেতে সংকীর্ণ সিঁড়ি অতিক্রম করতে হবে তা বুঝতে পারলে নিশ্চয়ই ভিন্ন মত পোষণ করতেন অনেকে। যাই হোক, এখন যেটা হয়েছে তা যে বাস্তবতাবিবর্জিত অভিজ্ঞান থেকে করা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের শহীদ মিনারটির যথাযথভাবে স্থাপনই এখন নগরবাসীর দাবি।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ?শুরুতে প্রায় ২৩২ কোটি টাকা। চট্টগ্রামবাসীর শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর। তবে বর্তমানে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
১৯২৫ সালে চট্টগ্রামের কিছু সংস্কৃতি ও সমাজসেবীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্রে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় শতাব্দীকাল ধরে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন হয়েছে এখানে। ১৯৫৯ সালে সরকার মুসলিম ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশের মাধ্যমে হলটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। এর তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ১৯৬৩ সালে ইনস্টিটিউটে স্বল্প পরিসরে গণগ্রন্থাগারের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় নতুন নির্মিত আটতলা মুসলিম ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৯০০ আসনের মিলনায়তন এবং ৩৫০ আসনের মিনি অডিটরিয়াম করা হয়েছে। এখানে ১০০ এবং ২০০ আসনের দুটি সেমিনার কক্ষ থাকছে। আছে একটি আর্ট গ্যালারি ও স্যুভেনির শপ। নবনির্মিত ১৫তলা পাবলিক লাইব্রেরিতে একসঙ্গে মোট দেড় হাজার পাঠক বসে পড়তে পারবেন। আছে একটি বড় ও একটি ছোট সেমিনার হল। এ ছাড়া আইসিটি লাইব্রেরি, রেস্ট হাউস ও ডরমেটরিও থাকছে।
প্রকল্পের অধীনে পুরনো শহীদ মিনারের আদল ঠিক রেখে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন শহীদ মিনার ও উন্মুক্ত গ্যালারি। সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স থেকে ২১ ফুট উঁচু পথ ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে সেই শহীদ মিনারে। গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু প্রকল্পের সঙ্গে এটিরও উদ্বোধন করেন।
দেখতে হবে আসলে ভুলটা কোথায়! ভুলটা আসলে আমাদের মাথায়। এখানে একটি ১৫ তলাবিশিষ্ট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার ভবন হয়েছে। ৮ তলাবিশিষ্ট মুসলিম ইনস্টিটিউট হল হয়েছে এবং বিশাল প্লাজাসহ শহীদ মিনার হয়েছে। পাশে গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ হয়েছে। সবকিছু ঠিক আছে। তবে পুরো কমপ্লেক্সটি হয়েছে আমলা ও সরকারি কর্তাদের দৃষ্টিতে, ভাবনাতে। সংস্কৃতিকর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি বা ভাবনাতে নয়। যে কারণে শহীদ মিনারটিকে তারা দোতলায় নিয়ে গেছেন। তাদের মাথায় ছিল একটি ‘কালচারাল কমপ্লেক্স’। ফলে তারা শহীদ মিনারটিও কমপ্লেক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তারা বুঝতেই পারেননি একটি কমপ্লেক্স আর একট সৌধ বা মনুমেন্টের পার্থক্য। এরপর প্রশ্ন উঠেছে কমপ্লেক্সের পরিকল্পনা, ডিজাইন ও লেআউট চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মীরা কি দেখেননি? তখন তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি কেন? এদের মধ্যে কেউ কি পরামর্শক কমিটিতে ছিলেন না। কেউ কি দেখভালও করেননি? যতদূর জানি এটার পরিকল্পনার সময়ে তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে চট্টগ্রামের ঘনিষ্ঠদের অনেকেই ছিলেন। তারা কী দাবি করেছিলেন, কী পরামর্শ দিয়েছিলেন তা জানি না।
আমরা শুনেছিলাম মুসলিম হল, গ্রন্থাগার আর শহীদ মিনারজুড়ে কমপ্লেক্স হবে। রাস্তার ওপর এমন বিশাল একটি প্লাজা এবং সে প্লাজার ওপর শহীদ মিনার স্থাপিত হবে তেমন কিছু শুনিনি। কাজের সুবিধার্থে বছর দুয়েকের জন্য শহীদ মিনার স্থানান্তরিত হয়েছিল মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠে। তা নিয়ে অনেক সংস্কৃতিকর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করে তা যত দ্রুত সম্ভব পূর্বের জায়গায় পুনঃস্থাপনের দাবিও তুলেছিলেন। তবে এদের মধ্যে কেউ কেউ শহীদ মিনার আগের ডিজাইন বদলানোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। এটা তারা কোন যুক্তিতে করেছিলেন জানি না। তবে আমি এটা জানি প্রধানমন্ত্রী দেশের সব শহীদ মিনার ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার সে নির্দেশের ব্যত্যয় কেন ঘটল তাও জানি না। আমরা এবং আমাদের সন্তানরা শহীদ মিনার বলতে ঢাকার শহীদ মিনারের আদলটাকেই বুঝি। আমাদের শহীদ মিনারের যে আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ও নির্মাণশৈলী তার একটা অর্থ আছে। ফলে দেশজুড়ে যার যেমন ইচ্ছা তেমন শহীদ মিনার বানানোর অধিকারও নেই। একটি সৌধ বা মনুমেন্টের একটি অর্থ থাকে।
ইট-সিমেন্টের কয়েকটি খাম্বা একটি সৌধ হতে পারে না। নতুন শহীদ মিনারের সমস্যা হলো এটা নিচে থেকে দেখা যায় না। আগের মিনারটি যেমন দেখা যেত, অনেক দূর থেকেও দেখা যেত। একটি ১৫ তলা ও আরেকটি ৯ তলা ভবনের বিপরীতে এটাকে একটি শহীদ মিনারের বনসাই বলে মনে হচ্ছে। যদিও প্লাজার ওপর প্রচুর খালি জায়গা আছে, কিন্তু সেখানে অনুষ্ঠান বা বইমেলার মতো কিছু করার সুবিধা নেই। শহীদ মিনারটিও দেখতে হলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হবে। আমরা ভেবেছিলাম মুসলিম হল থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত পুরো জায়গাটিই সমতলে একীভূত হয়ে যাবে।
এখন একটি সুড়ঙ্গ হয়েছে। দিনের বেলা যেতেও ভয় লাগার কথা।
পত্রপত্রিকাসহ নানাভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলা’র ছবি যখন দেখতাম আমি মুগ্ধ হতাম। ছবি দেখে আমার ধারণা হয়েছিল অনেক উঁচু বেদিতে নির্মিত আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক এই অপূর্ব ভাস্কর্যটি। কিন্তু আমার সে মুগ্ধতা কেটে গেল প্রথম যেদিন ঐতিহাসিক সে স্থাপনাটি সামনাসামনি দেখলাম। শত শত পোস্টার আর ফেস্টুনে ঢাকা স্থাপনাটি এত নিচুতে নির্মিত যে সেটি আর দশটি ভাস্কর্যের চেয়ে আলাদা মনে হয়নি আমার কাছে।
শৌর্য-বীর্য, বিপ্লব-সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও জাতির গৌরব-অহংকারের এমন মনুমেন্ট, প্রতীক বা ভাস্কর্য এমন উঁচুতে করতে হয় প্রথম দর্শনেই যেন মানুষের মনে তার বিশালত্বের ছাপ পড়ে। দর্শককের মনস্তত্ত্বে প্রভাব বিস্তার করে, মোহিত করে। অনেক উঁচুতে মন্দির নির্মাণ, বৌদ্ধমূর্তি স্থাপন এই চিন্তায় করা হয়েছে। করা হয়েছে কুতুবমিনার, আইফেল টাওয়ার, স্ট্যাচু অব লিবার্টি ইত্যাদি।
অপরাজেয় বাংলার মতো একই অনুভূতি হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দেখে। বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়া আর তেমন কোনো মনুমেন্ট নেই এত উঁচুতে। আমার ধারণা এটা না হওয়ার সূ²তম কারণটি হলো বাঙালির দৈন্য, বাঙালির ক্ষুদ্রতা। এ দেশের একশ্রেণির মানুষ তো আবার এমন স্মৃতিসৌধ, মনুমেন্ট ও ভাস্কর্যবিরোধী। ধর্মীয়ভাবে মনে করে এটা নাজায়েজ। কাজেই খুব আন্তরিক ও খোলামনে এরা চায় না এ দেশে (তাদের ভাষায়) মূর্তিপূজা হোক। এই মানসিকতার একটি সূ² প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে।
আমাদের দেশে এক অদ্ভুত সংস্কৃতি চালু হয়েছে। সরকারি থেকে বেসরকারি পর্যায় সর্বক্ষেত্রে একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছে দালানকোঠা মানেই হলো উন্নয়ন। তাই উন্নয়ন বললেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রকৃতি বিনষ্ট করে অবকাঠামো নির্মাণে। এই কালচারাল কমপ্লেক্স করতে গিয়েও তাই করা হয়েছে। আগে মুসলিম হলের সামনে, ডানে-বামে এবং গণগ্রন্থাগারের সামনে প্রচুর খোলা জায়গা ছিল। এখানে কত বড় বড় বইমেলাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উৎসব-আয়োজন হয়েছে। এখন উন্নয়নের নামে সেখানে কেন খালি জায়গা রাখা হয়নি। ইট-পাথরের স্তূপ করা হয়েছে সেখানে। মুসলিম হল, গণগ্রন্থাগার ও শহীদ মিনারজুড়ে যে বিশাল আয়তন ছিল তা এখন অট্টালিকার অক্টোপাস খেয়ে ফেলেছে। এখন সেখানে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই। নিঃশ্বাস নিতে হলে বাড়ির ছাদে ওঠার মতো দোতলায় প্লাজা উঠতে হবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইমারতের আয়তন বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, কারণ যত বেশি আয়তন তত বেশি লাভ- এই সহজ অঙ্ক মাথায় রেখে। একটি কমপ্লেক্সে সব আয়োজন তো হলের ভেতর করা যাবে না। খোলা চত্বর না হলে উৎসবের আমেজ আসবে কী করে, সেটা ভাবেননি তারা। এখন যেরূপ উন্নয়ন হলো তাতে সংস্কৃতিকর্মীদের খুব সুবিধা হবে বলেও মনে হলো না। আমার মনে হয়েছে এত বিশাল প্রকল্প না করেও পারা যেত। অন্যদিকে মনে হয় দেশ এখন যে গন্তব্যে যাচ্ছে, সমাজে যে হারে ধর্মীয় গোঁড়ামি, কূপমণ্ডূকতা, রক্ষণশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাকে মোকাবিলার পথ প্রশস্ত না করে, শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চার পথ প্রসারিত না করে দালানের পর দালান বানালে আখেরে লাভ কিছু হবে না। একদিন হয়তো দেখা যাবে বড় বড় ইমারত আছে, সেখানে সংস্কৃতিচর্চার লোক নেই দেশে।

কামরুল হাসান বাদল : কবি ও সাংবাদিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়